সততার পুরস্কার (তৃতীয় পর্ব)

thinking.element -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কিন্তু ফুয়াদ সৎ থাকার কারণে তাদেরকে শহরের বাইরে যেতে হলেও অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কারণ সরকারি চাকরিতে যে বেতন সেটা দিয়ে কোন রকমে চলা যায়। কিন্তু সেই টাকায় বিলাসিতা সম্ভব নয়। এই কারণে ফুয়াদের স্ত্রী তাকে সব সময় নানা রকম কথা শোনাতে থাকে। শুধু যে স্ত্রী তাকে কথা শোনায় তা নয়। তার বাদ বাকি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। কিন্তু সবাই তাকে নিয়ে যত হাসি ঠাট্টাই করুক। ফুয়াদ তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। সে কখনো দুর্নীতি না করার প্রতিজ্ঞা থেকে সরার চিন্তাও করে না।

ফুয়াদ চাকরিতে ঢোকার আগেই নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞা করেছিলো। যে কটা দিন চাকরি করবে পুরোপুরি সৎ ভাবে চাকরি করবে। এভাবেই নানা রকম ঝামেলা মাথায় নিয়ে ফুয়াদের দিনকাল কেটে যাচ্ছিলো। তবে মাঝে মাঝেই তার ঝামেলা অনেক বেড়ে যেতো। বিশেষ করে যখন কোন ক্ষমতাবান মানুষের ফাইল অফিসে আসতো তখন ফুয়াদকে অনেক চাপে থাকতে হয়। অনেকবার এমনও হয়েছে তাকে প্রাণ-নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে ফুয়াদ এসবে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তবে ইদানিং ফুয়াদের জীবনে নতুন ঝামেলা নেমে এসেছে।

ওদের এক কলিগ যার সাথে ওর মোটামুটি কিছুটা সখ্যতা রয়েছে। অফিসে সেই কলিগ একদিন ফুয়াদের বাসায় এসেছিলো। তারপরে ফুয়াদ একদিন অফিস থেকে ফিরে দেখে তার সে কলিগ তার বাসায় বসে রয়েছে। ফুয়াদের স্ত্রী তার সাথে গল্প করছিলো। বিষয়টা ফুয়াদের কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। তার কলিগ চলে যাওয়ার পর ফুয়াদ তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে ও কখন এসেছিলো বাসায়? ফুয়াদের স্ত্রী তখন বললো তুমি আসার কিছুক্ষণ আগেই এসেছিলো। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ