রমেশ স্যার প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে স্কুলে চলে যেতেন। গ্রামের দূরবর্তী এলাকাগুলো থেকেও ছাত্ররা তার কাছে আসতো। অনেকের বাড়িতে যাওয়ার খরচ জোগানোর সামর্থ্য ছিলো না। কিন্তু রমেশ স্যার সবসময় তাদের সাহায্য করতেন। তিনি শিক্ষার মধ্যে ভেদাভেদ করতেন না। ধনী বা গরিব সবাইকে তিনি সমান ভাবে সাহায্য করতেন। সবার প্রতি তার ভালোবাসা ছিলো সমান। তার মনে হতো যে একজন শিক্ষকের মূল কাজ হলো সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। এবং সেই দায়িত্ব পালন করতে পারলেই তিনি খুশি থাকতেন। একদিন এক ছাত্র যার নাম রাজু। সে হঠাৎ করে ক্লাসে আসা বন্ধ করে দেয়। রাজু ছিলো চঞ্চল স্বভাবের ছেলে। সে খুব মেধাবী ছিলো, কিন্তু হঠাৎ করেই স্কুলে না আসাতে সবাই অবাক হয়ে যায়। রমেশ স্যারও তার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করেন। কয়েক দিন অপেক্ষা করার পর, তিনি নিজেই রাজুর বাড়িতে যান।
রাজুর বাড়ি গিয়ে তিনি দেখতে পান রাজু তার বাবা মার সাথে কাজ করছে। তিনি রাজুর বাবার সাথে কথা বললে তারা জানালো স্যার, আমাদের আর রাজুকে স্কুলে পাঠানোর সামর্থ্য নেই। আমি কাজে যেতে পারি না, অসুস্থ। তাই রাজুকে এখন কাজ করতে হচ্ছে, তাই সে স্কুলে আসতে পারছে না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।