লোভের পরিণতি ধ্বংস (তৃতীয় পর্ব)

thinking.element -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কিন্তু চৌধুরীর কপালের কালো মেঘ আরও ঘন হয়ে ওঠে যখন সরকার তাঁর সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়। তাঁর অর্থের স্রোত বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন তাঁর কাছে ফোন আসতে থাকে— গ্রাহকদের, বিনিয়োগকারীদের, ব্যাংক কর্মকর্তাদের। সবাই তাঁর কাছ থেকে উত্তর চাইছে কিন্তু তাঁর কাছে কোনও উত্তর ছিল না। জালিয়াতির দলিলপত্র ধরা পড়ছে একের পর এক। এর ভেতরে তার বন্ধু শিবু ও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। চৌধুরী নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ছুটে বেড়ায়— এক অফিস থেকে আরেক অফিস, এক উকিল থেকে অন্য উকিল।

কিন্তু যতই দিন যাচ্ছিল, ততই তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। একসময়, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চারপাশে যারা তাঁর সহযোগী ছিল, তারা সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়। এতদিন সালমা চৌধুরী যাদের উপরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিল তারা সবাই সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সালমান চৌধুরী নামে অসংখ্য মামলা করে। আদালতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং কয়েক কোটি টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়। সম্পদের সিংহভাগ বাজেয়াপ্ত হয়, আর জেলখানায় কাটানোর জন্য তাঁকে দশ বছরের শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু সালমানের দুর্নীতি কেবল অর্থনৈতিক বা সামাজিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না।

তাঁর জীবন ধ্বংস করে দিয়েছিল নিজের পরিবারকেও। স্ত্রী আর সন্তানেরা তাঁকে ছেড়ে চলে যায়, তাঁর বন্ধু-বান্ধবরাও কেটে পড়ে। জেলখানার ছোট্ট কুঠুরিতে বসে সালমান তাঁর অতীতের কথা মনে করে। প্রতিটি প্রতারণা, প্রতিটি মিথ্যা, প্রতিটি নির্দোষ মানুষের কান্না তাঁর মনের মধ্যে বাজতে থাকে। জেলখানার অন্ধকারে সালমান কেবল একা নয়, তাঁর বিবেকের সাথে যুদ্ধ করতে থাকে।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ