ছেলেকে নিয়ে আবার চোখের ডাক্তার এর কাছে

tauhida -

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আবার ছেলের চোখের সমস্যা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম । ছেলের সমস্যাগুলো যেন যেতেই যাচ্ছে না একটা না একটা সমস্যা লেগেই থাকছে । কদিন ধরে বেশ পেরেশানিতে আছি তারপরও আবার নতুন একটা প্রবলেম দেখা দিয়েছে । এইতো কদিন আগে চশমার জন্য আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছিল ।কিছুদিন আগে ভালোভাবে সবকিছু চেকআপ করে ডক্টর দেখিয়েছি । চোখের পাওয়ার অনেক বেরিয়ে গিয়েছে যার কারণে চশমাটা পরিবর্তন করতে হয়েছে । আবার একমাস পরে ডাক্তার এর কাছে যাওয়ার কথা কিন্তু এর ভেতরে ছেলেটা চশমাটা ভেঙ্গে ফেলল । ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হলো ।


ছেলেটা সারাদিন অনেক বেশি দৌড়াদৌড়ি ও খেলাধুলা করে থাকে । বিশেষ করে ক্রিকেট ফুটবল তার সব সময় কার খেলা । ইদানিং আবার নতুন যুক্ত হয়েছে টেবিল টেনিস খেলা । আর বাসার আশেপাশে জায়গা থাকার কারণে সে অনেক বেশি খেলার সুযোগ পায় আলহামদুলিল্লাহ ।খেলতে গিয়ে হঠাৎ করে বলটা এসে চশমার সাইডে লাগে এবং সাথে সাথে চশমাটা ভেঙ্গে যায় । চশমা ছাড়া মোটামুটি সে দূরের জিনিস দেখতেই পারে না । স্কুলে গিয়েছি বোর্ডে লিখতে দিয়েছে সে বারবার বলছে আমি কিছু দেখতে পারছি না সেটা বিরাট একটা সমস্যা লিখতে পারে নাই ভালো করে । আর চশমা প্রথমে একটাই বানিয়েছিলাম কারণ ডাক্তার বলেছে প্রথম একমাস পরে চশমাটা আবার চেঞ্জ করতে হবে যার কারণে দ্বিতীয়টা নেওয়া হয়নি । আর চশমা একবার ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে পাওয়া যাবে না দু তিন দিন দেরি হয় ।


এদিকে আমাদের ডাক্তারও দেখাতে হবে এই কারণে ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়ে চলে গেলাম । ডাক্তারের কাছে প্রথমে যাওয়ার সাথে সাথে তারা চোখের ভালো ভাবে চেকআপ করলো তখনও ডাক্তার আসেনি চেকআপ টা হয়ে থাকে আগেই । চোখের এবং চশমার চেকআপ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা একটু সময় অপেক্ষা করার পর ডাক্তার আসলো ।তারপর আমাদেরকে ডেকে নিল ডাক্তার ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোটামুটি সব কিছু দেখার চেষ্টা করল । কিছু কিছু গ্লাস দিয়ে ভালো দেখে আবার কিছু কিছু গ্লাস দিয়ে তেমন একটা দেখতে পারে না । দূরের অক্ষর গুলো এলোমেলো বলছে এরপর যেটা দিয়ে ভাল দেখে সেই গ্লাসটাই দিলো । ডক্টর পাওয়ার লেখার সময় দেখল যে চোখের পাওয়ার সামান্য একটু কমেছে কিন্তু খুব বেশি না । ছেলেকে রেগুলার চশমাটা পড়তে হবে শুধুমাত্র ঘুম আর গোসল ছাড়া 24 ঘন্টায় চোখে চশমা রাখতে হবে ।


যাই হোক সেখান থেকে বের হয়ে এলাম তার পরের দিন ছুটলাম চশমা বানাতে । ওদিন ডাক্তার দেখিয়ে আসতে আসতে রাত হয়ে গিয়েছে যেহেতু বাসা থেকে একটু দূরে যেতে হবে তার কারণে ওই দিন না গিয়ে পরের দিন চশমার জন্য চলে গেলাম । আর যেখানে ডাক্তার দেখিয়েছি সেখানে চশমা ওরা অন্য জায়গার তুলনায় দ্বিগুণ দাম রাখে । যার কারণে ওখান থেকে না বানিয়ে আমরা আগে যেখান থেকে বানিয়েছি সেখানেই চলে গেলাম । আগে যেটা ছিল সেটারই অন্য কালার টা নিয়ে নিলাম কারণ ওই চশমাটাই ওর চোখে ভালো মানিয়েছিল । বানাতে দিলে ওরা পরের দিনই দিয়ে দিবে বলল । সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম এবং পরের দিন বিকেলবেলা গিয়ে ওর বাবা আবার চশমাটা নিয়ে আসলো । এখন থেকে চশমাটা সবসময় চোখে দিয়ে রাখে এবং একটু সাবধান থাকতে হয় । ও ছোট মানুষ ওকি আর সাবধান থাকে নিজেদের সতর্ক করে দিতে হয় । আল্লাহ যেন আমার ছেলেটার চোখটা তাড়াতাড়ি ভালো করে দেয় । তাছাড়া চশমা একবার চোখে উঠে গেলে সেটা নামানো আসলেই কষ্টকর হয়ে পড়ে ।তারপরও আপনারা আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সব দিক থেকে ওকে ভালো রাখে ।

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

@tauhida

*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy