আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আবার ছেলের চোখের সমস্যা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম । ছেলের সমস্যাগুলো যেন যেতেই যাচ্ছে না একটা না একটা সমস্যা লেগেই থাকছে । কদিন ধরে বেশ পেরেশানিতে আছি তারপরও আবার নতুন একটা প্রবলেম দেখা দিয়েছে । এইতো কদিন আগে চশমার জন্য আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছিল ।কিছুদিন আগে ভালোভাবে সবকিছু চেকআপ করে ডক্টর দেখিয়েছি । চোখের পাওয়ার অনেক বেরিয়ে গিয়েছে যার কারণে চশমাটা পরিবর্তন করতে হয়েছে । আবার একমাস পরে ডাক্তার এর কাছে যাওয়ার কথা কিন্তু এর ভেতরে ছেলেটা চশমাটা ভেঙ্গে ফেলল । ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হলো ।
ছেলেটা সারাদিন অনেক বেশি দৌড়াদৌড়ি ও খেলাধুলা করে থাকে । বিশেষ করে ক্রিকেট ফুটবল তার সব সময় কার খেলা । ইদানিং আবার নতুন যুক্ত হয়েছে টেবিল টেনিস খেলা । আর বাসার আশেপাশে জায়গা থাকার কারণে সে অনেক বেশি খেলার সুযোগ পায় আলহামদুলিল্লাহ ।খেলতে গিয়ে হঠাৎ করে বলটা এসে চশমার সাইডে লাগে এবং সাথে সাথে চশমাটা ভেঙ্গে যায় । চশমা ছাড়া মোটামুটি সে দূরের জিনিস দেখতেই পারে না । স্কুলে গিয়েছি বোর্ডে লিখতে দিয়েছে সে বারবার বলছে আমি কিছু দেখতে পারছি না সেটা বিরাট একটা সমস্যা লিখতে পারে নাই ভালো করে । আর চশমা প্রথমে একটাই বানিয়েছিলাম কারণ ডাক্তার বলেছে প্রথম একমাস পরে চশমাটা আবার চেঞ্জ করতে হবে যার কারণে দ্বিতীয়টা নেওয়া হয়নি । আর চশমা একবার ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে পাওয়া যাবে না দু তিন দিন দেরি হয় ।
এদিকে আমাদের ডাক্তারও দেখাতে হবে এই কারণে ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়ে চলে গেলাম । ডাক্তারের কাছে প্রথমে যাওয়ার সাথে সাথে তারা চোখের ভালো ভাবে চেকআপ করলো তখনও ডাক্তার আসেনি চেকআপ টা হয়ে থাকে আগেই । চোখের এবং চশমার চেকআপ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা একটু সময় অপেক্ষা করার পর ডাক্তার আসলো ।তারপর আমাদেরকে ডেকে নিল ডাক্তার ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোটামুটি সব কিছু দেখার চেষ্টা করল । কিছু কিছু গ্লাস দিয়ে ভালো দেখে আবার কিছু কিছু গ্লাস দিয়ে তেমন একটা দেখতে পারে না । দূরের অক্ষর গুলো এলোমেলো বলছে এরপর যেটা দিয়ে ভাল দেখে সেই গ্লাসটাই দিলো । ডক্টর পাওয়ার লেখার সময় দেখল যে চোখের পাওয়ার সামান্য একটু কমেছে কিন্তু খুব বেশি না । ছেলেকে রেগুলার চশমাটা পড়তে হবে শুধুমাত্র ঘুম আর গোসল ছাড়া 24 ঘন্টায় চোখে চশমা রাখতে হবে ।
যাই হোক সেখান থেকে বের হয়ে এলাম তার পরের দিন ছুটলাম চশমা বানাতে । ওদিন ডাক্তার দেখিয়ে আসতে আসতে রাত হয়ে গিয়েছে যেহেতু বাসা থেকে একটু দূরে যেতে হবে তার কারণে ওই দিন না গিয়ে পরের দিন চশমার জন্য চলে গেলাম । আর যেখানে ডাক্তার দেখিয়েছি সেখানে চশমা ওরা অন্য জায়গার তুলনায় দ্বিগুণ দাম রাখে । যার কারণে ওখান থেকে না বানিয়ে আমরা আগে যেখান থেকে বানিয়েছি সেখানেই চলে গেলাম । আগে যেটা ছিল সেটারই অন্য কালার টা নিয়ে নিলাম কারণ ওই চশমাটাই ওর চোখে ভালো মানিয়েছিল । বানাতে দিলে ওরা পরের দিনই দিয়ে দিবে বলল । সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম এবং পরের দিন বিকেলবেলা গিয়ে ওর বাবা আবার চশমাটা নিয়ে আসলো । এখন থেকে চশমাটা সবসময় চোখে দিয়ে রাখে এবং একটু সাবধান থাকতে হয় । ও ছোট মানুষ ওকি আর সাবধান থাকে নিজেদের সতর্ক করে দিতে হয় । আল্লাহ যেন আমার ছেলেটার চোখটা তাড়াতাড়ি ভালো করে দেয় । তাছাড়া চশমা একবার চোখে উঠে গেলে সেটা নামানো আসলেই কষ্টকর হয়ে পড়ে ।তারপরও আপনারা আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সব দিক থেকে ওকে ভালো রাখে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।