ভ্রমণ :- ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের স্মৃতি জাদুঘর ভ্রমন।

tasonya -

device : Redme note 9

লোকেশন

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। কিছুদিন আগে আমি ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের স্মৃতি জাদুকর ঘুরতে গিয়েছিলাম। আজকে আপনাদের মাঝে সেই ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

আসলে গত কিছু দিন ধরে প্রায় অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই দিন কাটছে। একেবারেই সব সময় সারাদিন বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে আর কাজের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তাই জন্য ভাবলাম যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি ভালই লাগবে। আসলে আমাদের আশেপাশে চিন্তা করলাম ঘুরতে যাওয়ার জায়গা কোথায় আছে। ভাবলাম কিছুদিন পরে পরে আশেপাশে একটু ঘুরে আসব। তাই জন্য এবার ঠিক করেছি ভাষা শহীদ সালামের স্মৃতি জাদুঘর ঘুরতে যাবো। ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম আমাদের ফেনী জেলায় লক্ষণপুর বর্তমানে সালামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করে।

এই সালাম নগর জায়গাটা আমাদের এলাকার একদমই পাশে। মূলত বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার দাবির একটা মিছিলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই মিছিলেই সালাম যোগ দিয়েছিল। আর সেখানেই পুলিশের গুলিতে বদ্ধ হয়ে আহত হন। এই বিষয়টা নিশ্চয়ই আমাদের জানা রয়েছে। আর এই জন্য সালামনগরে একটা গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। এখানে আবার একটা স্কুল ও করা হয়েছে। এই জায়গায় আবার করা হয়েছে একটা শহীদ মিনার। প্রতিবছর ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে চারপাশের প্রত্যেকটা এলাকা থেকে সবাই এখানেই আসে শহীদদের স্মরণে ফুল দেওয়ার জন্য।

এমনকি প্রত্যেকটা স্কুল থেকেও ছাত্রছাত্রী শিক্ষক সবাই শহীদের স্মরণে সালামনগর এসে শহীদ মিনারের ফুল অর্পণ করে। আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখনই স্কুল থেকে অনেকবার যাওয়া হয়েছিল এই জায়গাটায়। প্রায় কয়েক বছর আগের কথা। তার জন্য ভাবলাম জায়গাটায় গিয়ে একবার ঘুরে আসি। সেখানে গিয়ে দেখলাম স্কুল মাঠে ছোট ছোট ছেলেরা খেলাধুলা করছে। তখন আমরা সেখানে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।। জাদুঘরের সামনেই একটা বসার জায়গা ছিল। আমরা কিছুক্ষণ ওই জায়গায় বসে ছিলাম। জায়গাটাতে বসে কথা বলে ভীষণ ভালো লেগেছে।

আবার আমরা গ্রন্থাগার এবং জাদুঘরের ভেতরেও গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ভেতরে বিভিন্ন ধরনের বই পত্র দেখতে পেলাম। আসলে ভীষণ ভালো অনুভূতি হয়েছিল সেখানে। আমার দেয়ালের মধ্যে সালাম সহ আরো শহীদদের ছবি লাগানো ছিল। সেগুলোও দেখেছিলাম। আমরা কিন্তু গিয়েছিলাম শনিবারে। তার জন্য স্কুলটাও বন্ধ ছিল। যেহেতু স্কুল বন্ধ ছিল আমাদের জন্য আরও বেশি সুবিধা হয়েছে। চারপাশটা আমরা একটু ঘুরে দেখতে পেয়েছি। তবে এই জায়গায় ঘুরতে বেশ ভালই অনুভূতি হয়েছে।

আবার জাদুঘরের সামনের জায়গাটাতে বসে আমরা কিছুক্ষণ গল্প ও করেছিলাম। অনেক বছর পর এখানে আশাতে মনে হয়েছিল যেন অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। এলাকাটা খুবইও অপরিচিত লাগছিল। আসলে ভাষা শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকে আমরা আমাদের বাংলা ভাষাটাকে ফিরে পেয়েছি। এ বিষয়টা এখানে যাওয়ার পর যেন বারবার মনে পড়ছিল। তার সাথে প্রত্যেকটা ভাষা শহীদদের মনে পড়ছিল। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা আজকে বাংলা ভাষায় মন খুলে কথা বলতে পারছি। সব মিলিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। ঘোরাঘুরি করার পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম। আজকে এপর্যন্ত। পরবর্তীতে আবার ও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।

আমার পরিচয়

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি