লাইফ স্টাইল :- হাজবেন্ডের জন্মদিন উপলক্ষে কাচ্চি ডাইনে কাটানো মুহূর্ত।
10 comments
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে ছিল আপনাদের ভাইয়ার জন্মদিন। যদিও আমি পোস্ট করতে অনেক বেশি লেট করে ফেললাম। আসলে ওই দিনটা আসার আগেই আমি নিজেথেকেই গিফট কি দিবো এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলাম। আসলে আমি এর আগে ওকে যতবার গিফট করেছি সেটা আমরা দুজনেই গিয়ে কিনেছিলাম। তবে এবার ভেবেছিলাম একটু সারপ্রাইজ গিফট দিবো। হঠাৎ করে ওর সাথে ওর জন্মদিন নিয়ে আলোচনা করাতে তখন ও বলল সবাইকে জন্মদিন উপলক্ষে ট্রিট দিবে।
এটা শুনে আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে ভেবেছিলাম হয়তোবা মজা করতেছে। পরে দেখলাম সে মজা করতেছে না সিরিয়াসলি নিয়েছে। তো এই উপলক্ষে আমাদের কাছের কিছু মানুষকে দাওয়াত দিয়ে ফেলেছে ওই দিনের জন্য। যেহেতু এখান থেকে ফেনীর কাচ্চি ডাইন অনেকটা দূরে তাই জন্য একটা গাড়ি বুক করেছে। তো সবাইকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে চলে আসতে বলেছিল। তো আমরা সবাই রেডি হয়ে গাড়িতে বসে পড়লাম। এরপর সবাই একসাথে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি নিচের তলায় কিছু মানুষ থাকলেও উপরে একদম খালি ছিল।
শুধুমাত্র আমরা যারা গিয়েছি তারাই ছিলাম। আসলে জন্মদিন উপলক্ষে ওর কেক কাটার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। তাই জন্য কোন কেক কাটা হয়নি। শুধুমাত্র সবাইকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেই এখানে আসা। তবে এই রেস্টুরেন্ট এর আগেও আমরা এসেছিলাম। এর ডেকোরেশন এবং লাইটিং আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এখানে ফটোগ্রাফি করার জন্য আলাদা একটা জায়গা রাখা হয়েছে। যেটা দেখে আরও বেশি ভালো লাগলো। তো তাই জন্য আমরা সবাই সেখানে প্রবেশ করেই ফটোগ্রাফি করা শুরু করি।
আসলে এমনিতে নিজেদের ছবি খুব বেশি তোলা হয় না। তো ঐদিন জায়গাটা সুন্দর হওয়াতে নিজেদের ছবি তুললাম। এদিকে আবার সবাই বার্থডে বয়ের সাথে ছবি তুলছিল। আমি নিজেও বেশ কিছু ছবি তুললাম। আবার সবার ছবি তোলা দেখে ও ভীষণ ভালো লাগতেছিল। তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ওই সময় সেখানে অন্য কোন মানুষ না থাকায়। আমরা নিজেরাই বেশ এনজয় করেছি। মেয়েটাও সেদিন বেশ খুশি ছিল। সে তো একেবারে নিজে এনজয় করাতে ব্যস্ত। কাকে ছবি তুলতে কয়েকবার ডেকেছিলাম কিন্তু সে তুলবে না। তো কি আর করার।
ও না তুললেও আমরা নিজেরাই ছবি তুলে নিলাম। একে একে সবাই ছবি তোলা শেষ করল। তবে চারপাশের আলোর কারণে ছবি তুলতে ভীষণ ভালোই লাগছিল। তো আমাদের সবার ফটোসেশন শেষ হওয়ার পর সবাইকে টেবিলে বসতে বলল। এরপর আমি আর আমার হাজব্যান্ড দুইজনের পছন্দ অনুযায়ী ওয়েটারকে অর্ডার করলাম। আমরা মূলত আগে থেকেই ভেবে রেখেছি কি অর্ডার করবো। তো আমরা সবাই মিলে কি খেয়েছিলাম সেটা আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
lifestyle writing steemexclucive bangladesh amarbanglablog
Comments