আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৪৮ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, মর্জিনা ঘরের সামনে বসে বসে কান্না করছে। আর তখনই রতন ফকির আসে। এরপর মর্জিনা তার কাছে চান্দুর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। এরপর রতন তাকে জানায়, চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছিল সে আর মানিক। আর তাদেরকে নাকি জানিয়েছে, এক বছরের নিচে চান্দুকে ছাড়া দেবে না পুলিশ। এটা শুনে তো মর্জিনা আরো বেশি মন খারাপ করে। তারপরে আমরা দেখতে পাই সকালে চান্দুর সাথে মর্জিনা দেখা করেছে। আর চান্দু তার জন্য বিস্কুট নিয়ে এসেছে। এরপর তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুষ্টামি করতে থাকে। আসলে রাতের বেলায় মর্জিনা এগুলো কল্পনা করছিল। আর তখনই সুন্দরী খালা আসে। আর তাকে ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য বলে। আর তখনই সুন্দরী খালা মর্জিনাকে জানায়, চান্দুকে তারা নয় বরং তার বাবা জেলে দিয়েছে। অন্যদিকে আবার সুন্দরী খালার সাথে কাদের ফকির অর্থাৎ মর্জিনার বাবার কালকে বিয়ে। মর্জিনা আবার একা একা কিভাবে বিয়েটা ভাঙবে এটাই ভাবছে। অন্যদিকে আবার সুন্দরী খালা বলে দিয়েছে, বিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করলে তাকেও নাকি জেলে দেবে। এসব বলে সুন্দরী খালা চলে যায়।
এরপর আমরা সকালবেলায় দেখি কাদের ফকিরের শরীর মেসেজ করে দিচ্ছে। আর বিয়ের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করছে। ওই পথ দিয়ে যখন সায়েম ফকিরের বউ হেঁটে যাচ্ছিল, তখন তারা তাকে দাঁড় করিয়ে সুন্দরী খালাকে আর মর্জিনাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে বলে। কিন্তু সায়েমের বউ সাজিয়ে দেবে না বলে সেখান থেকে চলে যায়। আর এটাও বলে পারলে বিউটি পার্লার থেকে সাজিয়ে নিয়ে আসতে। কিছুক্ষণ পর ওখান থেকে রবিও চলে যায়। আর কাদের ফকির তো মনে মনে এটাই ভেবে রাখে, সুন্দরী খালার সাথে তার বিয়ে হওয়ার পর রবির সাথে মর্জিনাকে বিয়ে দেবে না। পারলে রবিকেও নাকি পুলিশে ধরিয়ে দেবে। তারপরে আমরা রতন মানিককে দেখতে পাই তারা ভিক্ষা করছিল। আর তখন তারা মর্জিনাকে নিয়েই মন খারাপ করছিল। তারা যখন এসব বলে চলে যাচ্ছিল তখন ডাক্তার আপার সাথে দেখা হয়। আর ডাক্তার আপা তাদেরকে আশ্বাস দেয়, চান্দুর অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। সত্যের জয় অবশ্যই হবে। এরপর রতন আর মানিক ও ভিক্ষা করবে না বলে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়। এরপর আমরা আসমানীকে দেখতে পাই রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। আর তখনই মর্জিনা তার কাছে দৌড়ে আসে।
এরপর মর্জিনা আসমানীকে জিজ্ঞেস করে মাদকের জিনিস কোথায় পাবে এই গ্রামে। তারপরে আসমানী পুরো বিষয়টা জানার চেষ্টা করে। এরপর মর্জিনা ভালোভাবে সবকিছু তাকে খুলে বলে। তারপরে আসমানী সিদ্ধান্ত নেয় চান্দু ফকিরকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনবে। আর মর্জিনাকে বলে সন্ধ্যার মধ্যেই সে চান্দুকে নিয়ে আসবে। মর্জিনা যদিও কিছুই বুঝতে পারে না। কিন্তু আসমানী আবার তাকে বলে দেয়, তার কথা যেন আর কেউই না জানে। এরপর আসমানী তার উদ্দেশ্যে চলে যেতে থাকে। মর্জিনা ও আবার এই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে থাকে। রাতের বেলায় আমরা সুতা ফকির আর নতুন ফকির দুইটাকে দেখতে পাই। তারা পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছিল। এরপর তারা চান্দুর বিষয়টা নিয়ে ভাবে, কারণ চান্দু তো তাদের সাথে নেই। তাহলে কেনই বা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। সারা এই বিষয়ে বেশি মাথা না দিয়ে তাদের ব্যবসা আরো বড় করার চিন্তা করছে। তারপর তারা চলে যাওয়ার পর সুতা ফকির নতুন মেয়েটাকে মানে আসমানীকে খুঁজতে চলে যায়।
এরপর আমরা দেখি সায়েম ফকির তার বউকে এসে জিজ্ঞেস করছে, সুন্দরী খালাকে কেন সাজাতে রাজি হয়নি। তারপর তারা এই বিষয়টা নিয়ে কিছুক্ষণ ঝগড়া করে। সায়েম তার বউকে বিয়ের দাওয়াতে নিয়ে যেতে চাইলেও সে যায় না। তারপর সে রাজি হয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তারা ওখানে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। তারপরে কাদের ফকিরকে দেখি মানিক রতনের কাছে এসেছে। আর তাদেরকে দাওয়াত দিয়ে যায়। এরপর তারা দুইজন কাদের ফকিরকে অনেক কথা শোনায়। কাদের ফকির ও তাদের কথা শুনে অনেক কষ্ট পায়। আর ওখান থেকে চলে যায়। এরপর তারাও বুঝতে পারে না কি করবে। এরপর তারা ওখান থেকে নাস্তা খাওয়ার জন্য চলে যায়। তারপর আমরা বিদেশী আকাশ আর দুইটা ছেলেকে দেখতে পাই কোনো কিছু একটা নিয়ে প্ল্যান করছিল। তখনই ওখান দিয়ে চম্মন হেঁটে যাচ্ছিল। আর ওই ছেলে দুইটা তাকে খারাপ খারাপ কথা বলে। বিদেশী আকাশ তাদেরকে ওখান থেকে পাঠিয়ে দিয়ে তাকে আরো কথা বলতে থাকে। আর চম্মনও তাকে কিছু কথা শুনিয়ে চলে যায়।
এরপর আমরা পুলিশকে দেখতে পাই, মাদক ব্যবসায়ীদের খোঁজার জন্য প্ল্যান করছিল। আর তখনই ওখানে আসমানী আসে। এরপর পুলিশের সাথে কথা বলতে থাকে। আর চান্দু ফকিরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলে। এরপর আসমানী তাদেরকে বিভিন্ন কথা শোনায়। এরপর সে তার পরিচয় দেয়। তখনই পুলিশ তাকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করে। আসলে আসমানী হচ্ছে একজন সিআইডি অফিসার। আসমানী নিজের সাথে আবার কিছু প্রমাণ এনেছিল মোবাইলে ভিডিও করে। ওইগুলো পুলিশকে দেখায়। তারপর পুলিশ বুঝতে পারে আসল দোষী কারা। আর পুলিশ আসল দোষীদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয়। আসমানী আবার ফকিরদের কে সন্দেহ করছে কয়েকজনকে এটা পুলিশকে জানায়। আর পুলিশ বলে আমরা সব সময় আপনার পাশে আছি। এরপর চান্দু ফকিরকে নিয়ে আসলে চান্দু ফকির আসমানীর সাথে চলে যায়। শেষে আমরা দেখতে পাই, রতন চান্দু আর মর্জিনাকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলছে। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। এখন দেখা যাক পরে কি হয়।
এই পর্বটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছিল। তবে এই পর্বে কয়েকটা বিষয় আমাদের সামনে এসেছে। কাদের ফকির চেয়েছে চান্দুকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি সুন্দরী খালাকে বিয়ে করে নিতে। আর রবিকে মর্জিনার সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বললেও, বিয়ে দেবে না এটাই মনে মনে চিন্তা করে রেখেছে। অন্যদিকে আবার মর্জিনা জেনে গিয়েছে চান্দু ফকিরকে আর কেউ নয় বরং তার বাবাই পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে ষড়যন্ত্র করে। এই পর্বে একটা বড় বিষয় সামনে এসেছে। এতদিন আমরা জানতাম না আসমানী আসলে কে। আর এই পর্বে আমরা জানতে পেরেছি আসমানী একজন সিআইডি অফিসার। আর চান্দু ফকিরকেও ছাড়িয়ে নিয়েছে আসমানী। মর্জিনাকে দেওয়া কথা আসমানী রেখেছে। এখন আসল অপরাধীদের ধরার জন্য পুলিশ আসমানীর সঙ্গ দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কি হবে এটাই দেখতে হবে। সে পর্যন্ত আপনারা অপেক্ষায় থাকুন। আমি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার জন্য।
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।