লাইফ স্টাইল :- হাজবেন্ডের জন্মদিন উপলক্ষে কাচ্চি ডাইনে কাটানো মুহূর্ত।(পর্ব ২)

tasonya -

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম ‌। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমার হাজবেন্ডের জন্মদিনের খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা শেয়ার করতে। আসলে সেদিন অনেক বেশি ফটোগ্রাফি করা হয়েছে। ফটোগ্রাফি শেষ হলে সবাইকে টেবিলে বসানো হল। এরপর আমরা দুইজন ওয়েটারকে অর্ডার করেছিলাম। আমরা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম সবাইকে কি খাওয়ানো হবে। এখানকার জনপ্রিয় খাসির কাচ্চি সেটাই অর্ডার করলাম সবার জন্য। আমরা ভেবেছিলাম হয়তোবা প্যাকেজিং হিসেবে অর্ডার করবো তাহলে হয়তো বা কিছুটা সাশ্রয় হবে।

কিন্তু দেখি প্যাকেজিং এ মাত্র পাঁচ দশ টাকার তফাৎ। তাই জন্য আর প্যাকেজিং অর্ডার না করে সবার জন্য একটা করে কাচ্ছি অর্ডার করে ফেললাম। যেহেতু আমরা এখানে আগে এসে খেয়েছিলাম তাই জন্য আমাদের একটু বেশি ভালো লেগেছে। কারণ খাবারের মান আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তো আমরা সবাই টেবিলে বসে অপেক্ষা করছিলাম খাবারের জন্য। কারণ অর্ডার করার পর খাবার রেডি করে আনতে একটু সময় লাগে। তো আমরা সবাই কথা বলতে বলতেই ওয়েটার খাবার আনতে শুরু করল।

আমরা এখানে মোট ২০ জনের মত এসেছিলাম। তো সবাইকে পাঁচটা টেবিলে বসানো হয়েছিল। এরপর ওয়েটাররা প্রত্যেকটা টেবিলে আস্তে আস্তে খাবার পরিবেশন করল। কাচ্চি দেখে খিদে আরো বেশি পেয়ে গেল। আমার নিজেরও আসলে খাসির কাচ্চি অনেক পছন্দের। তো খাবার আসার সাথে সাথেই খাবার খাওয়া সবাই শুরু করলো। আসলে এই কাচ্ছিটা খেতে একটু মিষ্টি লাগে। এমনিতে এরস্বাদ অনেক ভালো লাগে। তবে আমি একটু মিষ্টি কম পছন্দ করি তাই জন্য লেবু দিয়ে খেতে পছন্দ করি। একটু টক ভাব থাকলে খেতে ভালো লাগে।

তো সবাই একসাথে খাবার খেতে শুরু করলো। ভেবেছিলাম হয়তোবা পুরোটা খেতে পারবোনা। তবে ভালো লেগেছে তাই জন্য পুরোটা খেয়ে নিলাম। আসলে রেস্টুরেন্টে খেতে আসলে খাবারের মান ভালো না লাগলে আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তবে খাবারের মান ভালো থাকলে বেশি খাবার খাওয়া যায়। তাছাড়া এমনিতে এখানকার কাচ্চির পরিমাণও বেশ ভালই দিয়ে থাকে। একেবারে পেট পুরে খাওয়ার মত। তো আমি আমার পুরো খাবারটা শেষ করে ফেললাম। দেখলাম আস্তে আস্তে সবাই সবার খাওয়া শেষ করে নিল।

খাওয়ার শেষ করে এরপর চলে গেলাম হাত ধুতে। এরপর হাত ধুয়ে এসে আবারো বসলাম টেবিলে। খাওয়া শেষ করে আমরা সবাই একটু হালকা রেস্ট নিচ্ছিলাম। আর সবাই বসে কিছুক্ষণ কথা বলছিলাম। খাওয়ার পরে আমার তো একটু বসতেই হয় না হলে অনেক বেশি ক্লান্ত লাগে। তবে ওই যে রেস্টুরেন্টের উপরের দিকে খুব বেশি মানুষ না থাকাতে আমাদের একটু সুবিধা হয়েছিল। পুরো জায়গাটা আমরাই দখল করে রেখেছি। তবে হ্যাঁ এখানে কিন্তু আরো একটা পর্ব রয়েছে। এটা আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পরিচয়

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি