আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 144

taskiaakther -
আসসালামুআলাইকুম

মা বলল, 'কথাটা খুব ভুল বলেনি। স্কুলের চাকরি মেয়েদের পক্ষে ভাল, নিরাপদও। ছুটিও পাবে প্রচুর।"
হঠাৎ বাবার গলার স্বর গম্ভীর হল, 'প্রশ্নটা তোমাকে করা হয়নি। অবশ্য তোমার ছেলে যদি তোমাকে উকিল হিসেবে ধরে থাকে তা হলে আলাদা কথা।'
মা বলল, 'ও। তা বলে আমি নিজে কথা বলতে পারব না।'
'যখন জিজ্ঞাসা করা হবে তখন বলবে।'
'তাহলে আমাকে ডাকা হল কেন? আমি তো এ-বাড়ির পাপোশ।' বাবা বললেন, 'সেটা আলাদা ইস্যু। হ্যাঁ সুবীর, তোমার বক্তব্য বলো।'
'আমি যা বলার বলে দিয়েছি।' দাদা নির্বিকার।
'তোমার স্ত্রী যদি কাজের সূত্রে বাইরের লোকের সঙ্গে কথা বলে তা হলে তুমি সন্দেহ করছ যে
তার চরিত্রহানি হতে পারে। তা হলে বোনের ব্যপারে কী বলবে?' 'তোমরা যখন বেঁচে আছ তখন ওর ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে চাই না।'
'আমরা বেঁচে না থাকলে?' 'আমি আপত্তি জানাতাম।'
তিতির হেসে ফেলল। কিছু একটা বলতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সামলে নিল।

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, 'বউমা তুমি কিছু বলবে?'
'আমার কথা তো আমি বলেই দিয়েছি বাবা। ওর এই সব অযৌক্তিক কথা আমি শুনতে রাজি নই। এমন তো নয় যে ও মঙ্গলগ্রহ থেকে এসেছে! আর অফিসের মেয়েদের বহুদিন ধরে দেখছে ও। তাদের বাড়িতে অনুষ্ঠানে গিয়েছে। ওর এখনকার কথা স্রেফ ঈর্ষা থেকে। কিন্তু আপনারা যদি আমাকে আদেশ করেন'। রঞ্জনা কথা শেষ না করে ঠোঁট কামড়াল।
'না। আমি তোমাকে বারণ করতে পারি না। নিজের মেয়েকে অনুমতি দেব শুটিং করতে যাওয়ার জন্য আর তোমাকে বলব চাকরি কোরো না, এমন দু'মুখো কথা আমার পক্ষে বলা সম্ভব
মা বললেন, 'আচ্ছা, তিতির তো চিরজীবন অভিনয় করতে যাচ্ছে না, শখ হয়েছে তাই একটা
নয়।' বাবা বললেন।
সঙ্গে সঙ্গে তিতির প্রতিবাদ জানাল। 'মোটেই না। আমি যদি এটাতে ভাল করতে পারি আর অন্যরা যদি কাজ করতে ডাকে তা হলে বাড়িতে বসে থাকব নাকি?'
সিরিয়াল করছে।'
বাবা হাত নাড়লেন, 'ব্যাস, তা হলে তো হয়েই গেল।' রঞ্জনা উঠে দাঁড়াল, 'আর একটা কথা আছে বাবা।'
বাবা বললেন, 'বলো।
কাজ করে টায়ার্ড হয়ে এসে মাঝরাতে মাতলামো সহ্য করা আমার পক্ষে অসম্ভব। ও যদি

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

সেরকম অবস্থায় বাড়িতে ফেরে তা হলে আমাকে যেন বিরক্ত না করে।'
'ঠিক কথা। সুবীর, তোমার এমন নেশা কখনওই করা উচিত নয় যার উপর কোনও কর্তৃত্ব থাকবে না। আমাদের বংশের কোনও পুরুষ মাতাল হয়ে কান্নাকাটি করেনি। গতরাত্রে তোমার জন্যে আমি খুব লজ্জিত হয়েছি। বাবা বললেন।
সুবীর ঘুরে দাঁড়াল। 'এইসব ব্যক্তিগত কথা এখানে না বললে হত না?' 'না। এটা আর এখন ব্যক্তিগত কথা নয়। গতরাত্রে তুমি তা রাখতে পারোনি।' রঞ্জনা তার
শোওয়ার ঘরে চলে গেল। প্রায় চোরের মতো দাদা বেরিয়ে গেল বাড়ির বাইরে সম্ভবত ফ্যানের দোকানে খবর দিতে। মা বাবার পাশে এসে বলল, 'সবসময় অত নীতিবাগীশ হলে চলে না।'
'যেমন?' বাবা তাকালেন।
'তোমার কি মনে হয় আমি কখনও আলগা করেছি?'
'মেয়েমানুষের রাশ আলগা করতে নেই।'
'করনি? সব ব্যাপারেই বউমাকেই সার্পোট দাওনি?'
তিতির উঠে দাঁড়াল, 'মা, একটা কথা বলব?'
মা তাকাল।
'এদেশে মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু মেয়েরাই, তা তুমি আবার প্রমাণ করে দিলে।' তিতির নিজের ঘরে চলে গেল।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।