শীতকালের আমেজ মানেই চারপাশে মাহফিলের সমারহ। প্রতিটি গ্রামে শীতকালে মাহফিলের আয়োজন দেখা যায়। বিগত বছরগুলোতে এত পরিমাণের মাহফিলের আয়োজন দেখা যেত না। এ বছর যেন প্রতিটি দিনে মাহফিল থাকে। কালকের মাহফিল টি আমাদের পাশের গ্রামে ছিল। সন্ধ্যা বেলা যাওয়ার ইচ্ছা মনস্তাত করল ও পরবর্তীতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। যখন এশার নামাজ পড়ে আসলাম, এরপর বাড়ির সবাই বলল মাহফিলে যাওয়ার জন্য। তখন মাহফিলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেই। এবং সবাই মিলে খুব আনন্দের সাথে মাহফিল ময়দানে যায়।
আমরা যখন যাই তখন দ্বিতীয় বক্তার আলোচনা চলতেছে। দ্বিতীয় বক্তার আলোচনা শেষে প্রধান বক্তা উঠবে সে আশা নিয়ে আমরা মাহফিলের মাঠে দাঁড়িয়ে ওয়াজ শুনতে ছিলাম। বক্তার অধিকাংশ কথায় ছিল স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে।
মাহফিলের ময়দানে মানুষের সমাগম কেমন ছিল না। বিগত বছরগুলো তুলনায় এবারের মাহফিলে মানুষ অনেক কম ছিল। কারো হিসাবে যেটিকে দাঁড় করা যায়, অতিরিক্ত মাহফিল, ও শীতের প্রভাবের কারণে মানুষের আনাগোনা কম দেখা যায়।
তবে মাহফিলের গেট ও আশপাশে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। যা রাতের আলোতে খুব সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠে। এবং তাদের ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো ছিল।
মাহফিলের আশপাশে দোকানপাট থাকবে এটা যেন স্বাভাবিক। তার ব্যাতিক্রম কিছু ছিল না এখানে, অনেক পরিমাণে দোকান ছিল। ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, বাচ্চাদের খেলনা জিনিসপত্র, ও পানের দোকানের সময় হয়েছিল। দোকানে আমরা ঝাল মুড়ি খেয়ে থাকি।
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@tanvirahammad |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
এরপর আস্তে আস্তে সবাই বাড়ির দিকে চলে আসি। পরিবারের সাথে মাহফিলে যাওয়ার অন্যরকম একটা আনন্দ অনুভব হয়। খুবই ভালো লাগে সেখানে যেয়ে।