মৃত্যু পরবর্তী জীবন ছাড়াও এ পৃথিবীতে আমাদের ঈমান ও ইসলামের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। মানুষের কর্তব্য হলো, কেবল অদ্বিতীয় মহান মালিক আল্লাহ তা'আলার ইবাদত করা। এক অদ্বিতীয় মালিকের দুয়ার ছেড়ে যারা দ্বারে-দ্বারে মাথা ঠুকে ফিরে, তারা পশুর চাইতেও অধম। অবোধ কুকুরও তার মালিকের দুয়ার ছেড়ে অন্যত্র যায় না। সেখানেই ভরসা করে পড়ে থাকে। সুতরাং যে ব্যক্তি তার সত্য মালিককে ভুলে গিয়ে দ্বারে-দ্বারে প্রণাম করে ফেরে, সে আবার কেমন মানুষ!
ঈমানের সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন পড়ে মানুষের মৃত্যুর পর। মৃত্যুর পরের জগত থেকে মানুষ কখনো ফিরে আসতে পারবে না। সেখানে মৃত্যু-মৃত্যু বলে সারাদিন চিৎকার করলেও তার মৃত্যু হবে না। সেখানে অনুতাপ করেও কোনো কাজ হবে না। মানুষ যদি পৃথিবী থেকে ঈমান ছাড়া বিদায় নেয়, তাহলে তাকে অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। এ পৃথিবীর আগুনের একটি অঙ্গারও যদি আমাদের গায়ে ছুড়ে মারা হয়,
তাহলে আমরা কষ্টে ছটফট করতে শুরু করি। এমতাবস্থায় জাহান্নামের আগুন কীভাবে আমাদের সহ্য হবে? জাহান্নামের আগুন পৃথিবীর আগুন থেকে সত্তর গুণ বেশী তীব্র। যারা বেঈমান, তারা সেই আগুনে চিরকাল জ্বলবে। শরীরের চামড়া ঝলসে যাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে নতুন চামড়া তৈরি হবে এবং আবারও ঝলসে যাবে। এভাবেই তাকে চিরকাল জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে।