"দার্জিলিং এর " রক গার্ডেন" ও কেভেন্টার রেস্টুরেন্টে ব্রেকফাস্ট এর কিছু মুহূর্ত"

tanuja -

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। কুয়াশায় চাদরে ঢাকা মিষ্টি সকালের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আবার ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে চলে আসছি।আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম "রক গার্ডেনের কথা। কয়েকদিন একটানা জার্নির পর শরীরটা চলতে চাইছিলো না আর। তারপরও আমরা কিন্তু ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করিনি। আসলে আমি দার্জিলিং এর ভিডিও দেখে প্রায় সব জায়গার নাম জেনেছিলাম। দার্জিলিং এর নাম করা রেস্টুরেন্ট কেভেন্টারের কথা জেনে ছিলাম।আমার বহু দিনের ইচ্ছা ছিল কেভেন্টারে ব্রেকফাস্ট করার। আর সেই ইচ্ছা পূরণ হবে না তা কি হয়?দার্জিলিং এ যাবো হতচ কেভেন্টারে ব্রেকফাস্ট করবো না তা কি হয়। আমরা সবাই মিলে রওয়ানা দিলাম কেভেন্টারে। আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে কেভেন্টারে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে। আমাদের ইচ্ছা ছিল ছিলো ছাদে বসার। চারপাশের পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ব্রেকফাস্ট করার। তাই আমরা সরাসরি ছাদেই চলে গেলাম। কেভেন্টারে বসে কাঞ্চনঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করবো ও ব্রেকফাস্ট করার আনন্দই আলাদা।আমরা বসেই খাবার অর্ডার করলাম।পাহাড়ে শুধু একটাই অসুবিধা সেটা হলো উঠা নামার কষ্ট।পাহাড়ের পথ ঘাট অনেক উঁচু নিচু। তাই ভারী খাবার খেয়ে একটু অসুবিধা হবে।তাই আমরা একটু হালকা ব্রেকফাস্ট করেছিলাম।আমরা চিকেন স্যান্ডউইচ, চিকেন হট ডগ, চিকেন বার্গার ও জনপ্রিয় হট চকলেট,আর চিকেন হ্যাম, সসেস, ব্যাকোন। প্রায় ১৫ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে এলো।খাবার গুলো দেখতে যতটা সুন্দর লাগছিলো খেতে কিন্তু দারুন ছিলো। এখানের খাবারের থেকে হাজার গুণ ভালো ছিলো। আমরা খাওয়া শেষ করে কিছু ছবি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম "রক গার্ডেন" এর উদ্দেশ্যে। আমাদের সেখানে যেতে সময় লেগেছিলো কারণ পথে একটু জ্যাম ছিলো তাই। আসলে পাহাড় কেটে ছোট রাস্তা তৈরি করা হয়েছে তাই মাঝে মধ্যে জ্যাম হয়। আমি ওখানের খুব বেশি ছবি তুলতে পারিনি। কারণ প্রচুর হওয়া দিচ্ছিলো তাই ঠান্ডা ও ছিলো বেশ। তাই বেশি ছবি তুলতে পারিনি।

কেভেন্টারের ভেতরের পরিবেশ। খাবার টেবিলে বসে ও বাইরের প্রকৃতি উপভোগ করা যাবে। বিভিন্ন ধরনের ফুলের সমারোহ দেখেই মনটা ভরে যায়।


কেভেন্টারে অর্ডার করা খাবার। বাকি গুলোর ছবি তোলার আগেই আমার বাবু খাওয়া শুরু করেছিলো।


রক গার্ডেনে সুন্দর একটা ঝর্না রয়েছে। এর আশে পাশের পরিবেশটা বেশ সুন্দর।