স্বরচিত নতুন একটি কবিতা " সাত জন্মের বন্ধন"

tanuja -

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমাদের এখানে প্রায় সারাদিন মেঘলা থাকে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়। তার মধ্য কেমন একটা ভ্যাপসা গরম। কিছুদিন ধরে নিজের শরীর খুব একটা ভালো না। মাঝে মাঝে শরীরটা ভীষণ দুর্বল লাগে। আবার মাথাটা একটু একটু ব্যাথা করে। বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে। তবে আমি সামান্য কিছুতে ভেঙ্গে পড়ি না। খুব সহজে আমার মানুষটিকে কিছু বলি না। কারণ ও সারাদিন কাজে ব্যাস্ত থাকে। তাই আমি এর ভিতরে ওকে আর টেনশনে রাখতে চাই না। আমি আমার জন্য কেউকে কষ্ট দিতে চাই না। তাই আমি সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করি আমার পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে।
আজ সকাল থেকে শরীরটা ভালো লাগছে না। সকালে কাজ করছি আর আমার প্রিয় বোনের সাথে কথা বলতে বলতে একটি কবিতা লিখি। আজ সেই কবিতাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। হটাৎ করেই এটি লিখা। সামনে রাখি পূর্ণিমা তাই ভাবছিলাম সেটি নিয়ে কিছু আঁকবো সেটা আর হলো না। মাঝে মাঝে যা চিন্তা করি তা আর হয় না। অনেক দিন পর আবার একটি ভালোবাসার কবিতা লিখছি।আশা করি কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে। যাই হোক কবিতাটি শুরু করা যাক

সাত জন্মের বন্ধন

একে অপরের প্রতি অলিখিত অধিকার হয়ে গিয়েছে নিজেরাই বুঝিনি!
কবে থেকে যেন সম্মোধন পাল্টেছে ,সম্পর্কের ভালোবাসার
কি ভাবে স্বপ্ন শুরু হয় জানিনা, শুধু জানি তোমায় ভালোবাসি।
কত দিন, কত নির্ঘুম রাতে আমি পেয়েছি তোমার ভালোবাসার সেই উত্তাপ,
মান-অভিমানে কাটতে থাকা দিনের শেষে আসে দিনের আলো,
গঙ্গার ঘাটে পাশাপাশি হাতে হাত রেখে হেঁটেছি অনেকটা পথ।
আজও আমাদের প্রতিটি রাত কাটে শুধু ভালোবেসে।

আমায় একটু ঢুকতে দাও তোমার মাঝে
একবার সাঁতরে পার হই, যেখানে জল থই থই
তোমার প্রেম দাড়িয়ে আছে!
আমায় একবার তাকাতে দিও শুধু তোমার পানে,
তোমার শান্ত দিঘির মত গভীর চোখে,
চোখে চোখ রেখে একটিবার বল ,তোমায় ভালোবাসি!
আমি সেই বিশ্বাসে ডানা ঝাপটে যাই তোমার কাছে,
বাঁচতে পারি এভাবে যেন আরো অনেক গুলো বছর,
আমায় একটু সুখ ধার দিও যদি তাতেই ভরে ওঠে জীবন।
শুকিয়ে যাওয়া নদীর জলে নিঃশ্বাসটুকু,
সাত রঙে রঙিন হলো আমাদের দীর্ঘশ্বাসটুকু।
তোমার আমার যে হয়েছে সাত জন্মের বন্ধন।