স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নতুন একটি কবিতা " শ্রেষ্ঠ বীর বিপ্লবীরা"

tanuja -

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে স্বাধীনতা দিবসে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।
মুক্তির মন্দির সোপানো তলে
কত প্রাণ হলো বলিদান
লেখা আছে অশ্রু জলে।
বাস্তবেও তাই শত প্রানের আত্ম বলিদানে আমাদের জন্মভূমি ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট। স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশের দিবস গুলির মধ্য অন্যতম।শত শত দেশপ্রেমী ও বিপ্লবীদের শ্রম ত্যাগের ও প্রাণের বিনিময়ে এসেছে এই স্বাধীনতা। এই দিনটি ভারতবর্ষের কাছে একটি গৌরবময় দিন। দীর্ঘ দুইশ বছরের পরাধীনতার জাল ছিড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো। ভারতবর্ষের সারা বিশ্বের কাছে সভ্যতার সংস্কৃতির পীঠস্থান ছিলো...

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সাথে সাথে মহান বিপ্লবীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই। আজ আমরা অতি আনন্দে যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি। এই স্বাধীনতা সত্যি কি সুখকর ছিল সেই সময়। মহান দেশপ্রেমীরা যে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন যার জন্য এত ত্যাগ তার বিনিময়ে কি এই স্বাধীনতা ছিল। এই ভারতবর্ষে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তিরা পরাধীনতার কলঙ্ক লেপন করেছিল। তবে বাংলা মায়ের সন্তানরা এই অপমান গ্লানি মুখ বুঝে স্বীকার করেনি। তারা জীবন পন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতার মরনযজ্ঞে। ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীন দেশের সূর্য।

১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ব্রিটেনের রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে। এমন সময় ব্রিটেনের পক্ষে আন্তর্জাতিক কোনো রকম সাহায্য লাভ অসম্ভব হয়ে পড়ে। ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারে ভারতের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থ বল ব্রিটিশ ভারতীয় সৈন্যবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে। ভারত ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৭ সালে গড়ার দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে যে ১৯৪৮ সালের মধ্যে ভারতের শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। স্বাধীনতা ঘোষণা সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশে হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্য সম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। ১৯৪৭ সালে জহরলাল নেহেরু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহো ও ভীমজি রামজি প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেত্রীবর্গ ধর্মের ভিত্তিতে বিভাগের প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে যুক্ত হয় পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়। লক্ষ লক্ষ হয় ছিন্নমূল। তারা দলে দলে ব্লাড লিক লাইন পেরিয়ে নিজের পছন্দমত দেশে আশ্রয় নেয়। বেশিরভাগ মানুষ চোখের জলে নিজের দেশ রাখতে বাধ্য হয়। পাঞ্জাবি শিখ অঞ্চল গুলি দ্বিখন্ডিত হওয়ার রক্তক্ষয় দাঙ্গা হয়। দাঙ্গা হয় বাংলা বিহারেও। তবে সেখানে গান্ধীজীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল।

তা সত্ত্বেও প্রায় আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষ সীমান্তের দুই পারের ডাঙ্গায় হতাহত হন। ১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্ট নতুন পাকিস্তান জন্ম হয়। করাচীতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গর্ভনর জেনারেল হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মধ্যরাতে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট জহরলাল নেহেরু তার বিখ্যাত নিয়তির সাথে অভিসার ভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। নতুন ভারতের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রুপে কার্যকর গ্রহণ করেন। মাউন্ট ব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গর্ভনর জেনারেল। ভারত ভেঙে হলো খান খান। দেশভক্ত বিপ্লবীরা কিন্তু এমন স্বাধীনতা চাননি। ইংরেজদের উসকে দেয়া সাম্প্রদায়িক হিংসা পরবর্তীতে ভারতকে এত বড় একটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা সত্ত্বেও আজও সমাজের সম্প্রদায়িক হিংসা জিরিয়ে রেখেছি আমরা। সার্বভৌম সাধারণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করেও সাম্প্রদায়িক হিংসা বিবাদ ঘটে চলেছে।এ যেন জাতির লজ্জা। তাই আমাদের সবাইকে এক হয়ে শপথ নিতে হবে ।সাম্প্রদায়িক হিংসা বিভাগকে চিরতরে উৎখাত করে সুস্থ দেশ গড়ে তুলতে হবে।
আর কথা না বাড়িয়ে চলুন কবিতাটি শুরু করা যাক।আশা করি কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে।

শ্রেষ্ঠ বীর বিপ্লবীরা

তেলেঙ্গা উড়ায় আকাশ পানে মুক্ত হলো দেশ
স্বাধীন হলো ভারত বর্ষ পরাধীনতার হলো শেষ।
শত শত বীর শহীদ ঝড়িয়েছে বুকের রক্ত,
শ্রম দিয়েছে ট্যাগ দিয়েছে দেখিয়েছে দেশভক্ত।
কালজয়ী বিপ্লবীদের নাম কেনা জানে,
অমর হয়ে রয়েছেন তারা সারা ভারতবাসীর প্রাণে।
কাটা পায়ে ক্ষতবিক্ষত রচেছে মুক্তির পথ
দীর্ঘ দা সত্যের শৃঙ্খল ভেঙে এনেছে স্বাধীন ভারতের রথ-
প্রগতির চাকায় দিয়েছিল তারা যে বজ্র-মুটির টান -
বিশ্বের দ্বারে আজ ও পায় শ্রেষ্ঠত্বের মান।
চোখের জলে বুকের রক্তে ভাসিয়ে ভারত মাটি
সেই সন্তান জন্ম নিল সোনার চেয়েও খাঁটি।
স্বপ্ন ছিল বিপ্লবীদের আসবে সুখের দিন
ভারতবাসী ভুলবে না কভু তাদের ত্যাগের ঋণ।
যতদিন বাঁচবে ভারতবাসী, গাইবে জয় গান
বীর সন্তানদের মহান তাগের রাখিবো তাহার মান।
হে বীর শহীদ যেখানে থাকো যেভাবেই থেকো সদা সুখে
অমর রবে চিরকাল তোমরাই ভারতবাসীর বুকে
১৫ ই আগস্ট গাই এস বিপ্লবীদের জয় গান।
আজকের দিনে নিও মোদের যেহস্র কোটি প্রণা