আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। নতুন নতুন পোস্ট করতে খুবই ভালো লাগে। ছেলে আজ সকালে একদমই ঘুমাতে দিলো না। গ্ৰামে সবাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ে আর ছেলেকে যত বার গ্ৰামে নিয়ে যাই ততবারই এই অভ্যাস হয়। এরপর ঢাকায় আসলে বেশ কিছুদিন সেই অভ্যাস রয়ে যায়। তারপর আবার ঢাকার অভ্যাসে চলে আসে। দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া আবার দেরি করে ঘুম থেকে উঠা,যদিও এই অভ্যাস গুলো ভালো নয়। কিন্তু কি করবো এই অভ্যাস থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়। গ্ৰামের কথা আলাদা সেখানে অনেক মানুষজন রয়েছে আর তাড়াতাড়ি ঘুমালে আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লেও সমস্যা হয় না।
কিন্তু শহরে তার বিপরীত আর সেজন্যই যত বেলা করে ঘুম থেকে উঠে ততই আমার জন্য ভালো। একদিন হলো গ্ৰাম থেকে এসেছে আর সেজন্য গ্ৰামের অভ্যাস রয়েছে গিয়েছে। আজ সকাল ৭ টা বাজে উঠে বলছে আম্মু ভাত খাবো। এরপর উঠে ভাত খাইয়ে মোবাইল ধরে দেখি ৭.৩০ বাজে আর সকালে একবার ঘুম ভাঙলে আর ঘুম আসতে চায় না। এরপর চিন্তা করলাম মাংসের তারকারি যেহেতু রয়েছে তাহলে আজ রুটি বানাবো।
অনেক দিন হয়েছে রুটি বানানো হয় না। ছেলে খুব বিরক্ত করে আর সেজন্য রুটি খেতে চাইলে হোটেল থেকে কিনে খাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও পরোটা পাওয়া যায় কিন্তু রুটি পাওয়া যায় না। আমি আবার পরোটার থেকে রুটি খেতে বেশি পছন্দ করি। এরপর রুটি বানাতে শুরু করবো আর এমন সময় দেখি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দেখে খুব ভালো লাগলো। এমন দিনে সকাল বেলা চায়ের সাথে রুটি খেতে দারুণ লাগে। যদিও চা বানানো হয়নি কারণ বক্স ধরে দেখি চা পাতি রয়েছে কিন্তু চিনি শেষ।
তবে মাংসের ঝোল দিয়ে খেতে দারুণ লেগেছিল। গরুর মাংস বলে ছবি দিতে পারিনি। একটা সময় ছিল আমি একদমই রুটি বানাতে পারতাম না আর বানালেও ফুলে উঠতো না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব কিছু শিখে গিয়েছি। নিজের প্রশংসা নিজেই করি, আমার রুটি খেয়ে আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি খুব প্রশংসা করেছে। এমন কি খুব সুন্দর ভাবে গোল হয় আর ভাজার সময় ফুলেও উঠে। রুটি ভাজার সময় আমার ছেলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে রুটি বেলুনের মতো ফুলে ওঠা দেখার জন্য।
আমার ছেলে এটা দেখে খুব মজা পায়। বৃষ্টি হলে শুধু খেতে ইচ্ছে করে। সারাদিন শুধু ভাবতে থাকি কি দিয়ে কি রান্না করা যায় আর খাওয়া যায়। আজ আকাশটা খুব মেঘলা রয়েছে আর সাথে পরিবেশ খুবই ঠান্ডা রয়েছে। এমন সময় যা খাবেন তাই ভালো লাগবে। তাইতো অনেক দিন পর রুটি বানিয়ে খুব ভালো লাগলো। যদিও গতকাল সকালেও দোকানের পরোটা খেয়েছি কিন্তু আজকের মতো এমন অনুভূতি পাওয়া যায়নি। ঘরে নিজে তৈরি করা খাবার খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতও হয়।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। |
---|
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।