শীতের কেনাকাটা খাওয়া দাওয়া
8 comments
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। শীত মোটামুটি পড়ে গিয়েছে সব জায়গায়। কিন্তু ঢাকায় তেমন একটা শীত নেই। রাতের বেলা কিছুটা ঠান্ডা লাগলো দিনের বেলায় অত ঠান্ডা থাকে না। আবার মাঝেমধ্যে রাতের বেলায় দেখা যায় বেশ গরম। ফ্যান ছাড়তে হয়। আমার ছোট ছেলের জন্যতো গরমের কারণে সারারাতই ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়। সে যত শীত পড়ুক না কেন গায়ে কোন কম্বল বা কাথা দিবে না। তার গরম লাগে। তার নাকি ঠান্ডা বেশি ভালো লাগে। আমি যখন ঠান্ডায় কুচি মুচি হয়ে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাই তখন মাঝেমধ্যে তারা গায়ে দিয়ে দেই। কিন্তু যত গভীর ঘুমে থাকুক না কেন কম্বল দিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিবে। কিন্তু জাগা অবস্থায় আবার তার ঠান্ডা লাগে। তখন শীতের কাপড় পড়তে হয়। কিছুক্ষণ পর আবার যা তাই। যাই হোক শীত আসলে বাচ্চাদের জন্য নতুন করে আবার কাপড়চোপড় কিনতে হয়। কারণ দেখা যায় গতবার যেগুলো কিনে পড়ানো হয়েছে সেগুলো এই বছর গায়ে হয় না। বাচ্চারা খুব দ্রুত বড় হতে থাকে। গরম আসলে আবার একই অবস্থা। শীতের সময় যেগুলো উঠিয়ে রাখা হয় সেগুলো আবার গায়ে হয় না। এজন্য শীতের শুরুতে একবার কাপড় কিনতে হয় বেশি করে। আবার গরমের শুরুতে একই অবস্থা। তাছাড়া সারা বছর তো টুকটাক কাপড় কেনার থাকেই।
সেদিন বাচ্চাদের কাপড় কেনার জন্য চলে গিয়েছিলাম যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে। যদিও আগে অনেকবার নিউ মার্কেটের ঐদিক থেকে একবারে বেশি করে কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এবার ওদিকে যাওয়া হচ্ছে না। অনেক দূর হয়ে যায়। তাছাড়া যেতে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। এজন্য এখানেই গিয়েছিলাম। বাসার পাশে হওয়ার কারণে খুব একটা ঝামেলা হয় না যেতে। তাছাড়া এখন ভেতর দিকে ছোট গেটটি খুলে দেওয়ার কারণে খুব সহজেই যাওয়া যায়। এই গেটটি যখন বন্ধ ছিল তখন মেইন রোড দিয়ে ঘুরে যেতে অনেক কষ্ট হতো।
শুরুতেই চলে গিয়েছিলাম Astorion এ। আমাদের বেশিরভাগ কাপড় চোপড় এই দোকান থেকেই কেনা হয়। অবশ্য এই দোকানে গেলে আরো একটি প্রবলেম আছে। আমার হাজবেন্ড যে কত কাপড় কিনে নিয়ে আসে তার ঠিক নেই। কারো জন্য কোন কিছু না কিনলেও তার জন্য বেশ কিছু কাপড় এই দোকানে ঢুকলেই কেনা হয়। এখানে গিয়ে বাচ্চাদের কিছু কাপড়চোপড় কিনলাম।
আরো বেশ কিছু দোকান ঘুরে বাচ্চাদের কেনাকাটা শেষে চলে গেলাম বাটাতে। সেখানে গিয়ে ছোট ছেলের জন্য জুতা কিনলাম এবং আমারও একটা জুতা কেনার ছিল। তাই ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। পছন্দ না হাওয়াতে এপেক্স এ গিয়ে একটি জুতা পছন্দ হলে সেখান থেকে কিনে নিলাম। জুতাটি পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। তাছাড়া শীতকাল আসলেই জুতাগুলো বেশি পড়া হয়। গরমের সময় জুতা পরতে পারি না গরম লাগে পায়ে।
যমুনা ফিউচার পার্কে এসেছি আর এখান থেকে কোন কিছু না খেয়ে কি বাসায় যাওয়া সম্ভব। বাসা থেকে বাইরে বের হলে বাচ্চাদের এত পরিমানে ক্ষুধা পায় যে কি আর বলবো। বাসায় সারাদিন না খেয়ে থাকলেও খাবার কথা বলে না। কেনাকাটা করতে করতে মার্কেট প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল। বেশিরভাগ খাবার দোকানে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই আমরা ঢুকে গিয়েছিলাম শর্মা হাউজে। সেখানে গিয়ে পিজ্জা অর্ডার দিলাম। শর্মা হাউজের পিজ্জা সবসময় বেস্ট। বেশ মজা করে খাওয়া যায়।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে পরে আমরা বাসায় চলে আসলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Comments