আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে আমার হাজবেন্ড একটি মোবাইল কিনবে ঠিক করেছে। দুই বছর পর পর সে মোবাইল চেঞ্জ করে। যেহেতু তার মোবাইল চেঞ্জ করার সময় হয়ে গিয়েছিল তাই কিছুদিন ধরে খুজছিল যে কি মোবাইল কিনবে। আমি তাকে iphone কেনার জন্য বলছিলাম। কিন্তু সে iphone কিনতে রাজি নাই। সে ভেবেছিল স্যামসাং S24 ultra কিনবে। এই টাইপের ফোনই সবসময় ইউজ করে। কখনো iphone কিনে না। যেহেতু আমি iphone ইউজ করি তাই আমি বারবার জোর করছিলাম যেন আইফোন কিনে। পরে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সেও সিদ্ধান্ত নিল যে আইফোন কিনবে। কিন্তু সে pro max কিনবে না। কারণ pro max গুলো অনেক বড় পকেটে রাখতে অসুবিধা হয়। পরে শুধু i phone 16 কেনার জন্য রাজি হলো। তার মোবাইল কেনার জন্য গিয়েছিলাম যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলে।
শপিংমলে ঢুকেই শুরুতে বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করার জন্য গেলাম। বড় ছেলে হুডি কেনার জন্য অস্থির হয়েছিল। ছোট ছেলেকে কিনে দিয়েছি তাকে দেই নি। তাই আজকে হুডি কিনে দিতেই হবে। এজন্য শুরুতে তার জন্য হুডি খুঁজতে থাকলাম। পরে Torr এ গিয়ে বেশ কয়েকটি হুডি পছন্দ হলো। সেখান থেকে দুইটি কিনলাম তার জন্য। তারপর সেখান থেকে চলে গেলাম ফোন কেনার জন্য উপরে। প্রথমে আমার হাজব্যান্ড দু একটি দোকান ঘুরে দেখল যে মোবাইলের দাম কোন দোকানে কেমন। দেখার পর দেখলো সব দোকানের মোটামুটি একই রকম দাম চাচ্ছে। তারপর আমাদের পরিচিত দোকানে চলে গেলাম ফোন কেনার জন্য। সেখানে গিয়ে আবারো বেশ কিছুক্ষণ ভাবছিল যে কোন ফোনটি নিবে। বারবার তাকে pro max কেনার জন্য বলছিলাম। কিন্তু সে কিছুতেই pro max কিনতে রাজি হলো না। পরে শুধু iphone 16 কিনলো। এই ফোনটির দাম নিয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। সাথে চার্জার, ব্যাক কভার সবকিছু দিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা নিল। এই ফাঁকে আমি একটি I pod কিনে নিলাম।
কেনা শেষ হলে ভাবলাম যে কিছু একটা খাওয়া যাক। যদিও বাচ্চাদেরকে আগেই বলে গিয়েছিলাম আজকে বাইরে আর খাব না। সব সময় গেলে বাইরে খাওয়া হয়। কিন্তু ফোনের দোকানের উপরেই ফুড কোর্ট থেকে খাবারের ঘ্রাণ আসছিল। বুঝতে পারছিলাম বাচ্চাদের খেতে ইচ্ছা করছে। তাই আর না করলাম না। চলে গেলাম ফুড কোর্টে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম যে বেশিরভাগ খাবার দোকান গুলোই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম যে নিচে এসে বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাব। প্রথমে ভেবেছিলাম চিকেন ফ্রাই খাব। কিন্তু পরে এই দোকানটি দেখে এখানেই ঢুকে পড়লাম। যদিও বড় ছেলের খুব মন খারাপ হয়েছিল চিকেন ফ্রাই খেতে পারবে না তার জন্য।
ঢুকেই দেখলাম বসার কোন জায়গা নেই। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর জায়গা ফাঁকা হলে আমরা বসলাম। তারপরে খাবার অর্ডার দিলাম। চিকেন গ্রিল, নান রুটি, পরোটা সাথে চিকেন খাবারটি। খুবই মজা ছিল কিন্তু নাম আমার মনে নেই। শুরুতে তো বড় ছেলে রাগ করে কিছু খাবে না। পরে খাবার দেখে রাগ চলে গিয়েছে। তখন বেশ মজা করে খেয়েছে। এই রেস্টুরেন্ট আগে কখনো আসিনি। রেস্টুরেন্টটি নরমাল ছিল অত সাজানো গোছানো না। কিন্তু খাবারের মান বেশ ভালো ছিল। খুব মজা করে খাওয়া গিয়েছে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পরে আমরা বাসায় চলে এসেছি। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness