লোভনীয় মাটন রোগান জোশের রেসিপি

tania69 -

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আপনাদের সঙ্গে খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করবো। তা হল মাটন রোগান জোশ। এই রেসিপিটির নাম শুনলেই মুখে পানি চলে আসে। অবশ্য খাসির মাংস যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই মজা লাগে। খাসির রেজালা, খাসির ঝাল ফ্রাই, খাসির রোগান জোশ। কোনটি রেখে কোনটির কথা বলবো।বাসায় খাসির মাংস আনলে প্রথমে চিন্তায় পড়ে যাই কিভাবে মাংসটি রান্না করবো। কারণ এই তিন রকম ভাবেই খাসির মাংস আবার আমাদের বাসার সবাই খুব পছন্দ করে। এর আগেরবার খাসির রেজালা করেছিলাম। তাই এবার ভাবলাম যে রোগান জোশ করি। অনেকদিন রোগান জোশ তৈরি করা হয় না। এভাবে খাসির মাংস রান্না করলেন এত সুন্দর কালার আসে যে দেখে লোভ সামলানো যায় না। আজকে এই পোস্টটি তৈরি করার সময় তো আমার মুখে পানি চলে এসেছে। অনেক দিন আগে তৈরি করেছিলাম তো তাই। মনে হচ্ছে দু-একদিনের মধ্যে আবার রান্না করতে হবে।



খাসির মাংস যেভাবে রান্না করা হয় এই রোগান জোস একটু ভিন্ন রকম ভাবে রান্না করতে হয়। রোগান জোস রান্না করতে হলে অবশ্যই সরিষার তেলে রান্না করতে হবে। তা না হলে এর আসল মজা পাওয়া যায় না। দুই রকম ভাবে এই রেসিপি তৈরি করা যায়। আগে মাংসগুলোকে সিদ্ধ করে নিয়েও তৈরি করা যায়। আবার আজকে আমি যেভাবে তৈরি করেছি এভাবেও তৈরি করা যায়। দুই রকম ভাবে খেতেই বেশ মজা লাগে। আপনারা সময় পেলে এভাবে বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি খুব ভালো লাগবে।




খাসির মাংস--১ কেজি
পিঁয়াজ-- ১ কাপ
আদা বাটা- ১.৫ টেবিল চামচ
রসুন বাটা-- ১ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া--৩ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১ চা চামচ
গরম মসলার গুড়া --২ চা চামচ
টক দই-- হাফ কাপ
চিনি-- ২ চা চামচ
লবণ-- পরিমাণ মতো
সরিষার তেল-- পরিমাণ মতো




প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।



পিঁয়াজ কুচি গুলোকে ভেঁজে বেরেস্তা তৈরি করে নিয়েছি। তারপর তার মধ্যে মাংসগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।



মাংসগুলো বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। যখন মাংসগুলো ভাঁজতে ভাঁজতে সাইজে ছোট হয়ে গিয়েছে তখন বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।



বাটা মসলাগুলো দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়েছি। তারপর গুঁড়া মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর সবকিছু আবারও নেড়েচেড়ে নিয়েছি বেশ কিছুক্ষণ।



এভাবে নাড়তে নাড়তে যত সময় নিয়ে কষানো যায় রেসিপিটি তত বেশি সুস্বাদু হয়।



এখন একটি বাটিতে টক দই নিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়ে টক দই ভালোমতো ফেটিয়ে নিয়েছি।



টক দই মাংসের মধ্যে দিয়ে মাংসগুলো আবারো নেড়েচেড়ে নিয়েছি।



ঢাকনা দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি। এত বেশি কষাতে কষাতে টায়ার্ড হয়ে প্রেসার কুকারে দিয়ে দিয়েছি।



মাংসগুলো সিদ্ধ হওয়ার পর আবারো ফ্রাইপ্যানে ঢেলে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করে ঝোল কমিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।





এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।


VOTE @bangla.witness as witness

OR SET @rme as your proxy