পিঙ্ক সিটিতে গিয়ে মজার খাবার খাওয়া ও ফটোগ্রাফি

tania69 -

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম বাচ্চাদের স্কুলের পরীক্ষার পরে পিংক সিটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বাচ্চাদের যেদিন রেজাল্ট দিয়েছিল সেদিন। আমরা সবাই ওয়ান ডিস পার্টির আয়োজন করেছিলাম। যার বাসায় গিয়েছিলাম তার যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য এই আয়োজন। আজকে আপনাদের সঙ্গে কি কি ধরনের খাবার খেয়েছিলাম তাই শেয়ার করবো। আগের দিন আমরা ঠিক করে রেখেছিলাম কে কি খাবার রান্না করে নিব। সবাই এক একটা করে আইটেম বলছিল। আমি পরে দেখলাম যে বাচ্চারা মুরগির মাংস পছন্দ করে। মুরগির মাংসের কথা কেউ বলেনি। তাই আমি মুরগির মাংস রান্না করে নিয়ে গিয়েছিলাম। অন্য এক ভাবিও মুরগির মাংস রান্না করে নিয়ে এসেছিল। যত ধরনের খাবারই খাওয়া হোক না কেন মুরগির মাংস ছাড়া বাচ্চাদের খাওয়া হয়না। তারা সবার আগে রোস্ট অথবা মুরগির মাংস খুঁজে। যেহেতু বেশিরভাগই বাচ্চা ছিল।





আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাবি পেয়ারা খেতে দিলো। আগে থেকে পেয়ারা কেটে রেডি করে রেখেছিল। পেয়ারা ছোট বড় সবাই খুব পছন্দ করে। পেয়ারাগুলো বেশ মজা ছিল। অন্য আরেকটি ভাবি চকলেটগুলো নিয়ে এসেছিল। মূলত বাচ্চারা এই চকলেট পেয়ে খুব খুশি। বিভিন্ন শেপের ছিল চকলেটগুলো। এজন্যই বাচ্চারা আরো বেশি মজা পেয়েছে। অন্য আরেকটি ভাবি এই পিঠাগুলো নিয়ে এসেছিল। এই পিঠাগুলো খুবই কম মিষ্টি ছিল। যার কারণে খেতে খুব ভালো লেগেছিল। সবাই সকালবেলায় নাস্তা করে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। যেতে যেতে বেশ ভালোই ক্ষুধা লেগেছিল। পিঠাগুলো খালি পেটে খেতে বেশ ভালো লাগছিল।




অন্য আরেকটি ভাবি পুডিং তৈরি করে নিয়ে এসেছিলাম। পুডিংগুলো বাচ্চারা এবং বড় সবাই মিলে মজা করে খেয়েছি। তারপর আমরা সবাই আশেপাশে ঘুরে দেখলাম এবং বাচ্চারাও এই ফাঁকে খেলাধুলা করলো। দুপুরের টাইম হয়ে যাওয়ার পরে আবার খাবার আয়োজন। আসলে কোথাও দুপুরের আগে গেলে এই এক ঝামেলা। খাওয়ার আয়োজন করতে করতে সময় চলে যায়। আর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে গল্প করার সময় হয়ে ওঠে না। যেহেতু অনেক লোকজন গিয়েছিলাম তাই একটু এলোমেলো অবস্থা হয়েছিল যাদের বাসা তাদের।




আমরা সবাই মিলে গুছিয়ে দিচ্ছিলাম খাবারগুলো। কারণ সবাই বক্সে করে খাবার নিয়ে এসেছিল। এখানে ডিম ভুনা, বেশ কয়েক রকমের ভর্তা এবং চিংড়ি মাছ ভুনা ছিলো। চিংড়ি মাছ ভুনা অবশ্য যে ভাবীর বাসায় গিয়েছিলাম উনি রান্না করেছিল। তাকে অবশ্য শুধু মাংস এবং রাইসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপর সে এই চিংড়ি মাছ রান্না করেছিল।



এছাড়াও আরো অনেক ধরনের আইটেম ছিল। অন্য একদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
PhoneI Phone 15 Pro Max
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।


VOTE @bangla.witness as witness

OR SET @rme as your proxy