আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় যাচ্ছে। কিছুতেই সময় বের করতে পারছি না। বিশেষ করে পোস্ট রেডি করার তো একদমই সময় পাচ্ছি। যে পোস্ট করছি সেগুলো আগে থেকে রেডি করা ছিল। আমি মাঝে মাঝে কিছু পোস্ট রেডি করে রাখি যাতে বিপদে পড়লে তখন সেগুলো শেয়ার করতে পারি। আজকে একটু সময় পেলাম তাই এই পোস্ট তৈরি করতে চলে আসলাম। আজকের পোষ্টটিতে মানুষের জীবন মৃত্যু নিয়ে কিছুটা লেখার চেষ্টা করেছি।
আমাদের জীবন মৃত্যুর কোন ঠিক ঠিকানা নেই। মৃত্যু যে কখন কার কি অবস্থায় চলে আসবে তা আমরা কেউ বলতে পারি না। নিঃশ্বাসের থেকেও কাছে রয়েছে আমাদের মৃত্যু। তারপরও আমাদের কত চিন্তা ভাবনা। ভবিষ্যৎ নিয়ে কত চিন্তা করে রাখি। কিন্তু আমরা একবারও চিন্তা করি না যে আগামীকাল আমরা ঘুম থেকে উঠতে পারবো কিনা। তারপরও আমরা আগামীকাল সারাদিন কি করবো, তারপর পরেরদিন কি করবো এরকম আগামী বেশ কয়েক বছরের পরিকল্পনা করে রাখি। মৃত্যুর পরে আমাদের কি হবে তা নিয়েও চিন্তা করিনা। মৃত্যুর পরের জন্য কোন প্রিপারেশনে আমরা গ্রহণ করি না। শুধু পৃথিবীর মোহে পড়ে থাকি।
আজকে একটি ঘটনা শেয়ার করি আপনাদের সঙ্গে। এই ঘটনাটি দেখার পর থেকে আমার কাছে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা হচ্ছে। যদিও মাঝে মাঝে চিন্তা করি তারপর এখন বেশি চিন্তা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালবেলায় স্কুলে যাচ্ছিলাম। আমরা স্কুলের বাসে করে স্কুলে যাই। ৩০০ ফিট দিয়ে যেতে হয়। এই রাস্তাটিতে কখনোই জ্যাম হয় না। মাঝেমধ্যে হঠাৎ টুকটাক হয়। এজন্য স্কুলে যেতে খুব একটা সময় লাগে না। সেদিন হঠাৎ করে দেখলাম যে রাস্তায় অনেকটা জ্যাম। লোকজন গাড়ি ঘুরিয়ে সাইড রোড দিয়ে যাচ্ছে। কিছুটা বিরক্ত লেগেছিল লোকজনের এমন কাজ দেখে। তারপর কিছুক্ষণ পর জ্যাম ছুটলে আমরা সামনের দিকে গেলাম। সামনে গিয়ে দেখতে পেলাম যে একজন মহিলা রাস্তার উপরে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। আর কিছু লোক মহিলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে যাতে অন্য কোনো গাড়ি আবার উপর দিয়ে চলে না যায়। মহিলাটিকে দেখে যা মনে হল যে সে মারা গিয়েছে। খুব সম্ভবত এক্সিডেন্ট করেছে। ৩০০ ফিট রাস্তা খুবই চওড়া এবং বেশ সুন্দর। গাড়ি গুলো খুব স্পিডে চলে। আসলে এই রোডে গাড়ি চালাতে গেলে এমনিতে গাড়ির স্পিড উঠে যায়। তারপরও লোকজন জীবনের রিক্স নিয়ে রাস্তা পার হয়। ফুটওভারে উঠতে চায় না। খুব সম্ভবত মহিলাটি রাস্তা পার হতে গিয়ে হয়তো এই অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখলাম অনেক পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তার পাশে একটি ট্রাক উল্টে রয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম না যে রাস্তার এই সাইডে ট্রাক উল্টে আছে আর মহিলাটি রাস্তার ওপর সাইডের মাঝখানে পড়ে আছে। তাহলে কি মহিলাটি ট্রাকের বাড়ি খেয়ে অত দূরে গিয়ে পড়েছে। আসলে চিন্তা করতেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল।
তা দেখেই চিন্তা করছিলাম যে আমাদের জীবনের এক মিনিটেরও ভরসা নেই। এই যে আমরা যে রাস্তাঘাটে বের হচ্ছি কখন কি অবস্থায় পরি তার কোন ঠিক নেই। আমরা ওই মহিলার মত রাস্তাঘাটে অ্যাক্সিডেন্ট করতে পারি। কিন্তু তা নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। কিছুটা সময় বাঁচানোর জন্য আমরা জীবনের রিক্স নিয়ে রাস্তা পার হই। এই কাজটি আসলেই কারো করা উচিত না। মহিলাটি যে মারা গিয়েছে তার পরিবারের খোঁজ কি পুলিশ বের করতে পারবে? পরিবারের লোকজন কি জানতে পারবে যে তাদের পরিবারের একজন রাস্তায় এভাবে মারা গিয়েছে। এজন্য আমাদের সবারই উচিত রাস্তা ঘাটে খুব সাবধানে চলাফেরা করা। সময়ের মূল্য থেকে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness