আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগে আপনাদের সঙ্গে একদিন শেয়ার করেছিলাম স্কুল ছুটির পর আমরা পূর্বাচলের দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে জিন্দা পার্কে ঘুরতে যাব। জিন্দা পার্কের অনেক গল্প শুনেছি। মাঝেমধ্যে যাওয়ার জন্য প্ল্যান করি কিন্তু সেভাবে সুযোগ হয়ে ওঠেনা। তাছাড়া ঢাকা শহরের পার্কগুলোতে ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় থাকে। ঠিক মত কোনো কিছু দেখাই যায় না। আমার হাজবেন্ড ছুটির দিনে কোথাও যেতে চায় না এই ভিড়ের কারণে। ছুটির দিন ছাড়া আবার ঘোরার সুযোগ কোথায়। যেহেতু হাজবেন্ড ছুটি নিয়েছিল এই ফাঁকে ঠিক করলাম যে জিন্দা পার্কে গিয়ে ঘুরে আসি। পূর্বাচল থেকে খুব বেশি সময় লাগে না। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে আমরা রওনা দিলাম জিন্দা পার্কের দিকে। আমরা মেইন রোড দিয়ে না গিয়ে ভিতরের রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম। মেইন রোডের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার কাজ হচ্ছে। কোনরকম চলাচল করার মত রাস্তা রয়েছে। ভিতর দিয়ে যাওয়ার পরেও দেখলাম যে রাস্তার মাঝে মাঝে খুব খারাপ অবস্থা। মনে হচ্ছে যে রাস্তার মাঝখান থেকে কিছু অংশ উঠিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে লোকজন। এত খারাপ অবস্থা। তারপর ম্যাপ চালু করে ধীরে ধীরে আমরা জিন্দাপার্ক গিয়ে পৌছালাম।
জিন্দা পার্কে যখন ঢুকছিলাম তখন মনে হচ্ছিলো যেন কোন এক জঙ্গলে চলে এসেছি। এত গাছপালা। আমার হাজবেন্ডতো খুবই হতাশ হয়েছে গিয়ে। বলছিল যে এই জিন্দা পার্কে আসার জন্য এত অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। আমিও কিছুটা অবাক হয়েছিলাম যে এই জিন্দা পার্কের প্রশংসা কেন লোকজন এত করেছে। এখানে তো জঙ্গলের মত অবস্থা। তারপরও কি আর করার চলে যখন এসেছি তাহলে তো ভিতরে যেতেই হয়। আমরা গিয়ে টিকিট কেটে নিলাম। ছোট ছেলের টিকিটের টাকা নিলো না। আমাদের তিনজনের টিকিটের টাকা নিলো। টিকিটের দামও খুবই কম ১০০ টাকা করে একেকজনের।
একেতো দুপুরবেলায় গিয়েছি তার ওপরে আবার ছুটির দিন। একদম ফাঁকা ছিল ভিতরে। হঠাৎ দুই একজন লোক দেখা যাচ্ছিলো। কিন্তু ভিতরে ঢোকার পর কিছুটা ভালো লাগছিল। চারপাশের সবুজ গাছপালা আর সামনে খোলা মাঠ এবং ছোট ছোট বসার জায়গা খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো। ঢুকেই আমরা খোলা মাঠটির সামনে একটি বেঞ্চে বসে পড়লাম। আর বাচ্চারা মাঠের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করলো কিছুক্ষণ।
কিছুক্ষণ বসে তারপরে ভিতরের দিকে রওনা দিলাম। ততক্ষণে দুপুরের নামাজের সময় প্রায় চলে যাচ্ছিলো। তাই আমার হাজবেন্ড নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ খুঁজছিলো। ছেলেদের জন্য খুব চমৎকার একটি মসজিদ রয়েছে। সেই সাথে পাশে মেয়েদের নামাজ পড়ার জায়গা রয়েছে। মেয়েদের নামাজ পড়ার জায়গাটা একদম ফাঁকা ছিল। কেমন ভুতুড়ে ভুতুড়ে লাগছিল। তাই বড় ছেলেকে পাশে বসিয়ে রেখেছিলাম। আমার কেমন যেন ভয় লাগছিল।
নিচের এই ছবিটি মসজিদের সামনের। ঘাসগুলো এত সুন্দর করে কাটা এবং পরিষ্কার মনে হচ্ছিল যে কার্পেট বিছানো। যতই ভিতরের দিকে যাচ্ছিলাম ততই সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারছিলাম। বেশ ভালই লাগছিলো তখন।
বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে এটি তৈরি। একদিনে শেষ করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে বাকি অংশের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness