আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে পটল দিয়ে চিংড়ি শুটকির ভর্তার রেসিপি শেয়ার করবো। ভর্তা পছন্দ করে না এমন লোক মনে হয় পাওয়া যাবে না। গরম ভাতের সঙ্গে যে কোন ধরনের ভর্তা হলেই বেশ জমে যায়। যেদিন বাসায় ভর্তা তৈরি করা হয় সেদিন মনে হয় খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। যে কোন ভর্তা তৈরিতে যদি ঝালের পরিমাণ বেশি দেওয়া যায় তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। যদিও আমাদের বাসায় সব তরকারির ঝাল কম দিতে হয়। বেশি ঝাল দিলে বাচ্চারা খেতে পারে না। তারপরও আজকের ভর্তায় ঝালটা একটু বেশি দিয়েছিলাম। এভাবে পটল এবং শুটকি চিংড়ি দিয়ে আগে কখনো ভর্তা করিনি। পটল এবং তাজা চিংড়ি দিয়ে ভর্তা করেছিলাম। শুটকি চিংড়ি দিয়েও যে এত মজা হবে বুঝতে পারিনি। খুবই মজা লেগেছিল খেতে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে রেসিপিটি।
প্রথমে চিংড়ি শুটকিগুলোকে তাওয়ায় টেলে গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছিলাম কিছুক্ষণ। তারপর পানি ফেলে দিয়েছি।
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিয়াজ এবং কাঁচামরিচ দিয়েছি। তারপর রসুন কুচি দিয়েছি।
সবকিছু কিছুক্ষণ ভেঁজে নিয়ে চিংড়ি শুটকিগুলো দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ ভেঁজে নিয়ে পটলগুলো দিয়ে দিয়েছি।
পটলগুলো মসলা সংগে নেড়েচেড়ে গুড়া মশলাগুলো সব দিয়ে দিয়েছি।
আবারও সবকিছু ভালো মতন নেড়েচেড়ে নিয়েছি। তারপর বেশ কিছুক্ষণ রান্না করেছি। পটলগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে ধনিয়া পাতা দিয়েছি।
ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
কয়েকটা শুকনা মরিচ ভেঁজে বাটিতে নিয়ে নিয়েছি। তারপর সবকিছু পাটায় ভালোমতো বেটে নিয়েছি।
এভাবে আমার ভর্তা তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy