ভিডিওগ্রাফিঃ চাটমোহর রেলস্টেশনে ট্রেন আসার মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি।

tanha001 -
আসসালামু আলাইকুম

আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001

আজ ০৯ নভেম্বর রোজ শনিবার ২০২৪ ইং:।

বাংলায় ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি......
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি পরিবার পরিজন নিয়ে আপনারাও নিশ্চয়ই ভালো আছেন পরিবার পরিজনদের কে নিয়ে। এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে যার কারণে ছোট বড় অনেকেই অসুস্থ হচ্ছে। যারা অসুস্থ আছেন তাদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি, আমার নতুন ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনের একটি ভিডিওগ্রাফি এ শেয়ার করব।দুদিন আগে নার্সারিতে গিয়েছিলাম কিছু গাছ কেনার জন্য। রেলস্টেশনে এর পাশেই ছিল নার্সারিটি। আমাদের নার্সারি থেকে গাছ কেনা হয়ে গেলে আমরা একটু আইয়ান বাবুকে নিয়ে স্টেশনে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আইয়ান বাবু ট্রেন দেখতে অনেক পছন্দ করে। আমরা স্টেশনে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি ট্রেনের জন্য। পাঁচটা বেজে দশ মিনিটের যে ট্রেনটি ছিল স্টেশনে দাঁড়াবে না। কিন্তু পাঁচটা বেজে এিশ মিনিটে একটি ট্রেন ছিল যে ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়াবে। ৫ঃ৩০ মিনিটে যে ট্রেনটি ছিল ওই ট্রেনের জন্য অনেক যাত্রীরা অপেক্ষা করছে। আমরা স্টেশনে থাকা অবস্থায় ৫ঃ১০ এ ট্রেনটি এসেছিল তাই তখন আমি ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম। যেহেতু সন্ধ্যা লেগে যাচ্ছিল সেজন্য ৫ঃ৩০ পর্যন্ত আর থাকা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।চাটমোহর রেলস্টেশনে যেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। স্টেশনটি দেখতে খুবই সুন্দর সেখানে রয়েছে অসংখ্য মানুষের যাতায়াত। আশা করি আমার ধারণা ভিডিওগ্রাফিটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেখে আসা যাক।

পাবনার চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। এটি চাটমোহর উপজেলায় অবস্থিত এবং ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী রেলপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত। পাবনা জেলার চাটমোহর রেলস্টেশন বাংলাদেশের প্রাচীন রেলস্টেশনগুলোর মধ্যে একটি, যা রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন।এ অঞ্চলের লোকজন এই স্টেশন ব্যবহার করে পাবনা, ঈশ্বরদী, রাজশাহী এবং অন্যান্য অঞ্চলে যাতায়াত করেন। সকাল ও সন্ধ্যায় প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকে এবং উৎসবকালীন সময়ে স্টেশনটি আরো ব্যস্ত হয়ে ওঠে। চাটমোহর স্টেশনের আশেপাশের এলাকা কৃষিনির্ভর হওয়ায় এটি কৃষিপণ্য পরিবহণ ও বাণিজ্যের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল, এবং এর স্থাপত্যে প্রাচীন রেলস্টেশনের চিহ্ন বহন করছে। পুরনো ভবন, ছোট্ট প্ল্যাটফর্ম, এবং লাল ইটের দেয়াল দেখে বোঝা যায় এটি বাংলাদেশের রেলওয়ে ইতিহাসের একটি অংশ। স্টেশনটির কাছাকাছি বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানও রয়েছে, যেমন বড়াল নদী যা স্টেশনের পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে। অনেকেই ট্রেনের অপেক্ষায় নদীর তীরে বসে সময় কাটান, যা এক বিশেষ অভিজ্ঞতা দেয়।

চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে দৈনিক বিভিন্ন আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনের যাত্রাবিরতি হয়। এটি শুধু একটি যাতায়াতের মাধ্যম নয়, বরং স্থানীয়দের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনটি এখানকার মানুষের স্মৃতি, আবেগ, আর ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে চিরস্থায়ী রয়ে গেছে।এই স্টেশনটির কাছে চাটমোহরের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান যেমন চাটমোহর পুরাতন মসজিদ, বড়াল নদী ও স্থানীয় বাজার রয়েছে, এবং ছোটখাটো অনেক স্থানে আছে যা দর্শকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।

ভিডিওগ্রাফির লিংক

Loading iframe

পোস্টে বিবরণীভিডিওগ্রাফি
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল
লোকেশনপাবনা


আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর আমার ভিডিওগ্রাফিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাবেন।
১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়


আমি তানহা তানজিল তরসা। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।