সিঁথিরমোড় মেলায়। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

swagata21 -

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে সিঁথিরমোড় মেলার কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।


রাত পোহালেই মহালয়া। কাশ ফুল, শিউলি ফুল আর নীল আকাশের ছোঁয়ায়ে মেতে উঠেছে প্রাণ।ঢাকের আওয়াজ ছাড়া যেমন দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয় না ঠিক তেমনি মহালয়ার দিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না । মহালয়ার ভোরের আলো ফোটার আগে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ' আশ্বিনের শারদ প্রাতে ...।এর মধ্যে এক অন্য আবেগ রয়েছে ,রয়েছে এক অনন্য অনুভূতি । আর এই মহালয়ার দিন থেকে শুরু হল দেবীপক্ষ। অলরেডি বাঙালির মনে প্রাণে পুজো ভাব এসে গেছে । এই মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান করা হয়।


যাইহোক কাল মহালয়া বলে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। অনেক প্ল্যান রয়েছে কালকে, ভীষণ ব্যস্ত থাকবো সারাটা দিন। আজ হঠাৎ করেই কলেজের বন্ধুরা ঠিক করলাম সিথির মোড়ে মেলায় যাওয়ার জন্য । আসলেই অনেক দিন ধরেই ঠিক করেছিলাম কিন্তু যাওয়া আর হয়ে উঠছিল না ,যেহেতু পূজোর মধ্যেও মেলায় যাওয়া সম্ভব নয় তাই জন্যই আজ গেলাম। সন্ধ্যে ছটার সময় আমরা সিঁথির মোড়ে মিট করলাম আর আমি সব কিছুতেই লেট তাই আমার যেতে সাড়ে ছটা বেজে গেল ।যাই হোক মেলা যত দেরি করে যাওয়া যায় ততই ভালো লাগে ,ফাঁকায় ফাঁকায় মেলায় যেতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না। কিন্তু আমরা যখন আজকে মেলায় ঢুকেছি তখন ফাঁকাই ছিল। তাই একটু তাড়াতাড়ি ঘোরা হয়ে গেছিল পুরো মেলাটা ।কিন্তু ওই যে যত তাড়াতাড়ি মেলা ঘোরা হোক না কেন ! আমার দুজন বান্ধবী রয়েছে যাদের মধ্যে একজন কানের দুলের দোকানে দাঁড়ালে সেখানে কিছু কিনুক বা না কিনুক ১০-১৫ মিনিট করে সময় নষ্ট করবেই। আর সেখানেও কিছু বলা যায় না ।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বেশির ভাগ সময়টাই।আর দাঁড়াতেই আমার সবচেয়ে বিরক্তিকর লাগে 😟।আমি যতই বলি না কেন কিছু কেনার হলে তাড়াতাড়ি কিনে নিবি এইভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দোকানে সময় নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না । কিন্তু কে কার কথা শোনে।বারবার ঘুরে ফিরে একই জিনিস দেখতে থাকবে আর পরবর্তীতে কিছুই কিনবে না। মাঝে মাঝে মনে হয় যে আমি একাই আছি যার খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু কেনাকাটি হয়ে যায়। এই জন্যই মনে হয় বেশিরভাগ ছেলেরা বলে মেয়েদের শপিং নিয়ে যাওয়া খুব ভয়ংকর ব্যাপার ,এই জিনিসটা আমিও মানি😝 ।


যাইহোক অনেকক্ষণ ঘোরা ফেরার পর অলরেডি আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি। এবার ঢুকলাম শাড়ির দোকানে ।সবচেয়ে মজার ব্যাপার আমরা একটা শাড়ির দোকানে ঢুকেকিছু শাড়ি দেখাতে বলেছিলাম যেগুলো ওনার কাছে সেদিন ছিল না। বলেছিল যে পরের দিন চলে আসবে তাই আমরা বেরিয়ে যাচ্ছিলাম।এরপর উনি আমাদের সেই দোকানে কিছুক্ষণ বসতে বললেন তো আমরা কোনো কিছু না বলেই বসলাম, যেহেতু পা ও ব্যথা করছিল। যেই কিছু লোক ওখানে শাড়ি দেখতে আসলো ব্যাস আমাদেরকে বললে এবার তোমরা যাও । উনি বোঝাতে চাইলেন যে আমরা ওখানে শাড়ি কেনার জন্য ভিড় করে বসে আছি এটা দেখে যেন বাকি লোকেরাও সেই দোকানে আসে এই ব্যাপারটা আমার বেশ ভালোই লেগেছে। আর কিছু না বলে আমরাও সেখান থেকে উঠে গেলাম ।

মেলা থেকে সেদিন আর কিছু খাইনি ।কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আর ছবি তুলে বেরিয়ে গেলাম। বেরিয়ে সামনে মিও আমোরে থেকে স্যান্ডউইচ আর ফিস রোল খেলাম ।তারপর একসাথে সবাই মিলে বাসে করে বাড়ি চলে এলাম।এরকম বন্ধুদের সাথে অল্প সময়ের জন্য মিট করলে বেশ ভালই লাগে আর সাথে মনটাও খুব ভালো হয়ে যায়।


ধন্যবাদ