পহেলা বৈশাখে চায়ের আড্ডায়
15 comments
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রথমেই সকলকে জানাই শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। প্রত্যেকের নতুন বছর খুব ভালো কাটুক এবং সকলেই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন ।এই কামনাই করি।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম উৎসব পয়লা বৈশাখ। এই দিনটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির কাছে ভীষণই স্পেশাল। পয়লা বৈশাখের সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি।পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ নতুন বছর প্রত্যেক বাঙালির কাছেই অনেকটা আবেগ জুড়ে থাকে ।এই দিনটাতে ছোটোবেলায় খুব মজা করতাম। কারণ মা বলতো নতুন বছর, নতুন ভাবে সবকিছু শুরু হবে ।এই দিনটাতে কোনো বকাবকি করা যাবে না। ওই দিন নতুন জামা কাপড় পড়তাম। তারপর এই দিনে প্রতিটা দোকানে গণেশ লক্ষ্মীর পুজো হতো ।তার জন্য প্রতিটা দোকানে কিছু কিনলেই মিষ্টি আর ক্যালেন্ডার দিতো ।এখন ও দেয়।তাই ছোটোবেলায় সকাল বেলা উঠেই একটু পড়াশুনা করে কাকার সাথে বাজারে যেতাম।তখন একটা আলাদা আনন্দই কাজ করতো। সে জিনিসটা এখন একটু কমে গেছে। তবুও যেহেতু একটা নতুন বছর শুরু হচ্ছে তাই একটা ভালো লাগা তো কাজ করেই ।
সব মিলিয়ে এই বছরটা আমার শ্বশুরবাড়িতে প্রথম পয়লা বৈশাখ বলে কথা ,তাই অনেক সকাল সকাল উঠে গিয়েছিলাম, তাড়াতাড়ি স্নান করে পূজো দিয়ে নতুন জামা কাপড় পড়ে সকলকে প্রণাম করে দিনটা শুরু করলাম ।প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে ঘুরতে যাওয়া হয় ,কিন্তু এই বছর সেভাবে কিছু প্ল্যান করা ছিল না। তবুও দাদাকে বলেছিলাম যে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।আর এই ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্ল্যান সব সময় আমারই থাকে কারণ আমি খুব ঘুরতে পছন্দ করি ।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল যে নিউটাউন কফি হাউস যাব বিকেল বেলা। কিন্তু দুপুরবেলা ঠিক করা হয় যে কাছাকাছি কোথাও চা খেয়ে আসবো। যখন কাছাকাছি যাওয়ার কথা হয়েছিল তখনই ভেবেছিলাম যে তাহলে আমি কলকাতায় বাপের বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারবো ।তাই সন্ধ্যা নাগাদ চা খেতে গিয়েছিলাম খুব কাছে একটি জায়গায়।
শুধু চা খাওয়া বললে ভুল হবে তার সাথে ঘোরাও হয়ে গেছিল। আর এই জায়গাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কারণ অনেকটা জায়গা জুড়ে এই চা খাওয়ার জায়গাটা। পুরোটাই আম বাগানের উপর। বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের ঘর বানিয়ে রাখা হয়েছে ।তাছাড়াও বাগানের মাঝখানে চেয়ার টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে ।
পরিবেশটা খুবই সুন্দর তবুও কালকে খুব গরম থাকার খুব একটা হাওয়া দিচ্ছিল না। তাই একটা জায়গায় বসে চা আর ফিশ ফিঙ্গার অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু খুব কম সময় হাতে নিয়ে বেরিয়েছিলাম তার মধ্যে কলকাতায় যেতে হতো। তাই তাড়াতাড়ি চা খেতে খেতে অল্প কিছুক্ষণ গল্প করে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম। আর তার মধ্যে কালকে দিদিভাই ও বেরিয়েছিল। দিদিভাই বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ।তাই অনেকদিন বের হতে পারিনি।কালকে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঘুরতে বেরিয়েছিল ,তাই আরো ভালো লেগেছিল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে আবার কলকাতা চলে গিয়েছিলাম ।ওখানেও সবার সাথে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম ।তার অনুভূতি আমি পরে কোনো একটি পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Comments