বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের জন্য আর কিছুদিনের অপেক্ষা। আর এই উৎসব উপলক্ষ্যে মানুষ কেনাকাটি দু মাস আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে। পুজোর এক মাস আগে থেকেই তো কলকাতার মার্কেটগুলোতে পা ফেলা দায় হয়ে যায় । আর করোনার দু'বছর পরে এই প্রথম পুজো যেখানে সবাই একটু স্বাভাবিক নিয়মে এসেছে তাই বুঝতেই পারছেন যে কত ভিড় হতে পারে এই পুজোয়।যাই হোক কিছুদিন আগেই আমার বিএড ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে ,তাই আর একটা দিন ও অপেক্ষা না করেই পুজোর কেনাকাটি করতে গেলাম @blacks আর @tanuja দির সাথে ।এই বছর ব্ল্যাকস এর সাথে আমার প্রথম পুজো কাটানো । তাই ওর ইচ্ছে অষ্টমীর দিনকে ওর দেওয়া শাড়ি পড়েই যেন আমি অঞ্জলি দিই। তাই শাড়ি কিনতে গেলাম সেই দিনকে।আমাদের এই কলকাতার সব থেকে বড় শাড়ির মল আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল ,সেখানেই শাড়ি কিনতে গেলাম। এটি এমন একটি মল যেখানে সমস্ত ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়। যেহেতু সন্ধ্যা হলেই দোকানগুলোতে ভিড় বেড়ে যায় তাই জন্য আমরা বিকেল বিকেল বেরিয়ে ছিলাম। আর এই বছর ব্ল্যাকসের ও এই প্রথমবার আমাদের সাথে বলতে গেলে মেয়েদের সাথে শপিং করতে যাওয়া😜।
সাড়ে ছটার মধ্যেই শাড়ির মলে পৌঁছে গেলাম ।যাইহোক আমি কিন্তু সত্যি কথা বলতে শপিং করতে খুব একটা টাইম নিই না, যেটা পছন্দ হয় সেটাই কিনে ফেলি কোনো কনফিউশন থাকেনা ।তাই আমার কোনো কিছুই কেনাকাটি করতে খুব একটা দেরি হয় না । আর আমারও দিভাইয়ের সাথে এই প্রথম কেনাকাটি ছিল ,দিভাই ও এদিক থেকে আমার মতো দেখলাম । তাই আমাদের দুজনেরই মোটামুটি আধ ঘন্টার মধ্যে শাড়ি পছন্দ হয়ে গেল। পূজো উপলক্ষ্যে দিদি পাঁচটা শাড়ি কিনলো। আর আমি তিনটে শাড়ি কিনলাম। মোট আটটা শাড়ি কিনে সাতটার মধ্যে ওখান থেকে বেরিয়ে গেলাম।
কেনাকাটির পর খাওয়া-দাওয়া তো করতেই হবে তাই জন্য আমরা হাতিবাগান করিমস এ ঢুকলাম। এই করিমস কিন্তু মটন বিরিয়ানির জন্য ভীষণভাবে বিখ্যাত। এই করিমস এর মেইন ব্রাঞ্চ দিল্লিতে তারই একটি শাখা হাতিবাগানে যেখানে আমরা গিয়েছিলাম ।ওখানে গিয়ে সবার প্রথমে যার যার পছন্দের খাবার অর্ডার করলাম। সবার প্রথমেই টিনটিন কি খাবে জিজ্ঞাসা করতেই কোল্ডড্রিংকস খাবে বলে চিৎকার করতে লাগলো😜। তারপর ওকে কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে শান্ত করে নিজের নিজের পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার করলাম। সবার প্রথমে ব্ল্যাকস এর সবচেয়ে ফেভারিট চিকেন তান্দুরি সেটা অর্ডার করলাম ।তারপর আমি আর দিভাই বাসন্তী পোলাও, মাটন কষা, তার সাথে লাচ্ছা পরোটা নিলাম। সবশেষে ভার্জিন মজিটো নিলাম।
সেদিন যেহেতু দাদা যায়নি তাই দাদার জন্য চিকেন টেংরি কাবাব আর শিক কাবাব পার্সেল নিয়ে ছিলাম। প্রত্যেকটি খাবারের টেস্ট খুব ভালো ছিল শুধু একটাই জিনিস একটু মোটামুটি লেগেছে সেটা হল প্রত্যেকটা খাবার খুব মিষ্টি মিষ্টি ছিল তাছাড়া সব ঠিকঠাকই ছিল। এইভাবে খুব সুন্দর ভাবে সন্ধ্যেটা কাটিয়ে বাড়ি চলে এলাম।