ভারত বহুজাতিক ও বহু-সাংস্কৃতিক দেশ। Lএক রাজ্যের সংস্কৃতি অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক।এটি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ এবং প্রায়শই সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
উদাহরণস্বরূপ,বাংলার রবীন্দ্রসঙ্গীত যেমন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রভাব ফেলেছে,তেমনই দক্ষিণ ভারতের কার্নাটক সঙ্গীত বা উত্তর ভারতের ক্লাসিক্যাল ঘরানা বাংলায় জনপ্রিয় হয়েছে।যখন অন্য রাজ্যের বা অঞ্চলের সংস্কৃতি কোনো অঞ্চলের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়কে অবদমিত করে বা চাপিয়ে দেওয়া হয়,তখন তা "সংস্কৃতি আগ্রাসন" বলে বিবেচিত হতে পারে। এটি প্রায়শই রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ক্ষমতার দ্বারা চালিত হয়।
ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা ও গ্লোবালাইজেশনের ফলে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমে যাচ্ছে যা বাংলা সাহিত্য এবং ভাষার ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগের কারণ।
ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র শিল্প দীর্ঘদিন ধরে বলিউডের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে।বলিউডের বিশাল বাজেট, তারকা-ভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং সর্বভারতীয় বিপণন ব্যবস্থা বাংলার নিজস্ব চলচ্চিত্র শিল্পকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।বলিউডের হিন্দি সিনেমাগুলি বাংলার প্রেক্ষাগৃহ দখল করে নেওয়ায় বাংলা সিনেমার প্রদর্শনী সীমিত হচ্ছে।দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা, যেমন তামিল এবং তেলেগু সিনেমার জনপ্রিয়তাও বাংলার দর্শকদের মধ্যে বেড়েছে যা বাংলার নিজস্ব চলচ্চিত্রের জন্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করেছে।
বলিউড সঙ্গীত বাংলার সঙ্গীত ঐতিহ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে।বর্তমানে অনেক বাংলা গান হিন্দি গানের রিমিক্স বা অনুকরণ।অন্য রাজ্যের লোকজ সঙ্গীত যেমন রাজস্থানি বা মারাঠি সঙ্গীত বাংলার শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।যদিও এটি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উদাহরণ,এটি বাংলার নিজস্ব লোকজ সঙ্গীতের জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তর ভারতের পাঞ্জাবি খাবার বা দক্ষিণ ভারতের ইডলি-দোসা বাংলায় অত্যন্ত জনপ্রিয়।এটি খাদ্য সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে বাড়ায়,তবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নার স্থান সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।উত্তর ভারতের চূড়িদার বা দক্ষিণ ভারতের শাড়ি বাংলার পোশাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।তবে এটি সামাজিক স্বীকৃতির প্রসার ঘটিয়েছে বলে ধরা যায়।
কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির প্রভাব বেশি হওয়ায়,হিন্দি বলয়ের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বাড়ছে।এই প্রভাব বাংলার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে আগ্রাসন হিসেবে অনুভূত হতে পারে।বড় বড় কর্পোরেট হাউজ এবং বিনোদন সংস্থাগুলি হিন্দি ভাষা এবং সংস্কৃতি প্রচারের জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করে, যা বাংলা সংস্কৃতির প্রচারে সমান সুযোগ পায় না।
বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং শিল্পকলা নিয়ে বেশি আলোচনা এবং গবেষণা হওয়া উচিত।বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলা চলচ্চিত্র,গান এবং সাহিত্যকে তুলে ধরতে হবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |