শীতের সকালে গরম পরটা
0 comments
কেমন আছেন আপনারা। আশা করি ভালোই আছেন। দেখতে দেখতে শীত চলে আসলো। চলেও যাবে এক দেড় মাসের মধ্যেই। আবহাওয়া এখন এমন খারাপ হয়ে গেছে যেখানে ছয় মাসের ছয় মাস গরম থাকার কথা। সেখানে বাংলাদেশে এখন সারা বছরই গরম থাকে এক মাস শীত থাকে। ঢাকায় এখন তেমন শীত নেই। তবে গ্রামের দিকে অনেক শীত ঠান্ডা। এই শীতে গ্রামে নানান ধরনের পিঠাপুলি তৈরি হয়। কাঁচা খেজুরের রস। তো আমরা যখন বাড়িতে যাই সবসময়ই আমরা শীতের মধ্যে বিকালের দিকে অথবা সকালে বের হই। শীতের সকালে বের হতে এত মজা লাগে ঠান্ডা ঠান্ডা কুয়াশা একদম মুখে এসে লাগে । এরকম একজন সকালে আমরা দুজন বের হই। এত ঠান্ডা জমে যাচ্ছিলাম মনে হচ্ছে। ভালো লাগছিল বাতাসে একটা অন্যরকম গন্ধ। শান্তি শান্তি ফিল হয় নিজের এলাকায়। এত সকালে হাঁটতে হাঁটতে আমরা গ্রামের দিকে চলে গেলাম। তারপর ওখান থেকে ঘুরে আসার সময় একটা হোটেলে গেলাম। সকাল সকাল হোটেলে পরোটা বানাচ্ছে আর ডাল ভাজি। সাথে গরম গরম মিষ্টি। পরোটা গুলো একদম ডুবো তেলে মচমচে করে ভাজা।
তো আমরা পড়লাম খাবারের জন্য। অর্ডার করে দিলাম তারপর আমাদের খাবার চলে আসলো দুই এক মিনিটের মধ্যেই। আমার তো দেখেই লাভ লেগে যাচ্ছিল। তারপর একটু পর ওটা ছিড়ে ডালের মধ্যে চুবিয়ে মুখে দিলাম। কি মজা যেন হেভেন মনে হল। আমি তো আর কোন দিকে না তাকিয়ে চপ চপ করে সব খেয়ে নিলাম।
একদিকে পর একবার পরোটা দিয়ে ডাল আর একবার মিষ্টির ঝোল দিয়ে। অন্যরকম এক মজাই এই মজার সাথে আর কোন মজার তুলনা হয় না। সাধারণত ঢাকায় একদম নরম হয় এই ধরনের মজা পাওয়া যায় না। আমি বাড়িতে গেলেই চেষ্টা করি এই জিনিসটা খাওয়ার।
তারপর খাওয়া শেষ করলাম। বিশেষ করে আবার আবদার করলাম কবে আসবো আমরা আবার এটা খেতে। কারণ এত মজা লাগে মনে হয় খেয়েই যায় খেয়ে যায়। তাই হোক আপনাদেরও দাওয়াত থাকলো আমাদের এলাকায় একদিন চলে আসবেন যার গরম পরোটা আর ডাল ভাজি খেতে।
Sajeeb
Comments