কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব রকি ভাইয়া আর সোনিয়া আপুর উপস্থিতিতে আমাদের গ্রামের বঙ্গ এগ্রো পার্ক ভ্রমণের অনুভূতি।
আপনার অনেকে জানেন কয়েকদিন আগে আমাদের রকি ভাইয়া এবং সানিয়া আপু আমাদের মেহেরপুর ভ্রমণে এসেছিলেন। ওনাদের সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি আমরা বেশ কয়েকজনের। তবে এক পড়ন্ত বিকেলে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে আমাদের গ্রামের "বঙ্গ এগ্রো পার্কে" ভ্রমণ করেছিলাম। পার্কটা আমাদের গ্রামে হলেও তেমন একটা এর মধ্যে আমার প্রবেশ করা হয় না। এইমিলে মাত্র তিনবার প্রবেশ করলাম পার্কের মধ্যে। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল আমাদের জন্য। আমাদের গ্রামের এই পার্কটা পুকুরকে কেন্দ্র করে তৈরি। এখানে অসংখ্য ফুলের গাছ রয়েছে এবং খুব সুন্দর ভাবে পুকুরগুলো সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফুল গাছ দ্বারা। আমাদের গ্রামের এ পার্কটা বেশ পরিচিত লাভ করেছে এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন ডিস্ট্রিক থেকে এখানে মানুষ ভ্রমণ করতে আসে। বিভিন্ন ফুল গাছ পাতাবাহার গাছ দিয়ে অনেক সুন্দরভাবে সাজানো চারপাশ। দীর্ঘ এক বছর পর আবার প্রবেশ করলাম ভাইয়াদের জন্য। গত বছরের যেমনটা দেখেছিলাম তার চেয়ে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম এবার।
পার্কের মধ্যে জায়গায় জায়গায় লতা জাতীয় ফুল গাছ তুলে দেওয়ার জন্য গেট আকারে তৈরি করা হয়েছে। আমরা যেমনটা বড় বড় পার্কের লক্ষ্য করে থাকি। অপরাজিতা ফুল গাছসহ বিভিন্ন বিদেশি ফুল গাছ তুলে দেওয়ার জন্য এমন গেট নির্মাণ করে। বেশ অনেকগুলা এমন গেট লক্ষ্য করলাম। এছাড়াও দেখলাম এখানে ওয়াশরুম কিচেন রুম সহ বিভিন্ন রুম রয়েছে। বাইরে থেকে ফ্যামিলি নিয়ে আসা মানুষ এখানে অবস্থান করতে পারে। তবে যাই হোক বেশি একটা ধারণা না থাকলেও যতটা দেখলাম এখানে অনেকগুলো সুন্দর রুম রয়েছে এবং ফ্রেশ হওয়ার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। আর ঘরের সম্মুখে বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ দ্বারা বেষ্টিত। এক কথায় বলতে গেলে পুকুর পার্ক এতটা মনোরমভাবে নির্মিত হয়েছে যে এর ভেতরে আসলেই অনেক অনেক ভালো লাগবে। সারাদিনে প্রচুর মানুষের আসা-যাওয়া এবং ফটো ধারণ করা চলতে থাকে এর মধ্যে। আমরা যখন উপস্থিত হলাম তখন আমরা সহ আরো অন্যান্য মানুষ অনেকেই ছিলেন চারিপাশে। এখানে একটি পুকুর কে কেন্দ্র করে শাপলা ফুল রয়েছে। বড় একটা পুকুরে নৌকায় চড়ায় সুব্যবস্থা রয়েছে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ দ্বারা বেষ্টিত দেখে।
বেশ কিছুক্ষণ আমি তার মধ্যে অবস্থান করেছিলাম। জেনেছিলাম রকি ভাইয়েরা অনেকক্ষণ আগে এসেছেন। তবে আমার সেখানে উপস্থিত হতে একটু দেরি হয়ে গেছিল। তবে যতটা সময় তাদের সাথে ছিলাম সবার মত আমিও সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম। বিশেষ করে এখানে বিভিন্ন রকমের জবাব ফুল গোলাপ ফুল সহ অন্যান্য ফুল লক্ষ্য করলাম। তবে বেশিরভাগ গাছে গাছে ফুল ফুটে রয়েছে। গাছে গাছে ফুল রয়েছে তাই পরিবেশটা যেন মনোরমভাবে গড়ে উঠেছে। কিছু কিছু ফুলগাছ রয়েছে মাটিতে লাগানো আবার কিছু কিছু ফুল গাছ রয়েছে সুন্দর সুন্দর ফুলদানিতে সাজানো। মূলত পার্কটা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতেই তাদের এত অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে ভালো লাগে আমাদের গ্রামে এমন সুন্দর একটি পার্ক রয়েছে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সেখানে আসা-যাওয়া করে এবং নিজেদের মতো করে ছবি ভিডিও ধারণ করে আবার অনেকেই tiktok করে থাকেন। আরো ভালো লেগেছে এখানে নিয়ম শৃঙ্খলা রয়েছে যার জন্য বাইরের মানুষ তেমন খারাপ মাইন্ড নিয়ে প্রবেশ করতে পারে না। এটা কিন্তু পার্কের জন্য একটা ভালো দিক।
যাইহোক এভাবে আমরা বেশ অনেকটা সময় সেখানে অতিবাহিত করেছি, খাওয়া-দাওয়া করেছি, গল্প করেছি। আর এভাবেই একটা মুহূর্তে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলো। আমরা সবাই একসাথে অনেক ফটো ধারণ করেছি সে সমস্ত বিষয়গুলো আলাদাভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। তবে আমাদের সবার একসাথে ভ্রমণটা অনেক অনেক আনন্দের। কারণ আমাদের মাঝে দূর থেকে আগত রকি ভাইয়া আর সোনিয়া আপু ছিল বলে। আশা করব এমন সুন্দর মুহূর্ত সুন্দর দিন আবারো আমাদের মাঝে ফিরে আসবে ফিরে আসবে ভালোলাগার সময়।