বিশেষ বিশেষ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি ও অনুভূতি শেয়ার

sumon09 -


আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আমার বিভিন্ন বিষয়ের অনুভূতি শেয়ার করতে চলেছি এই পোষ্টের মাঝে। আশা করি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারবেন।


Edit by mobile phone gallery


ফটোগ্রাফি সমূহ:



আপনার অনেকেই জানেন আমার আম্মা দীর্ঘদিন অসুস্থ। উনার অসুস্থতার কারণে বেশ অনেকবার কুষ্টিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেছি। বর্তমান পাকস্থলীতে পলিপ ধরা পড়ার কারণে ঢাকাতে নিতে হবে অপরজনের জন্য। তবে তা দুই তিন মাসের মধ্যেই অপারেশন করতে হবে। তার পূর্বে বেশ অনেক প্রকার ঔষধ দিয়েছে ডাক্তারের। আর এই ওষুধগুলো প্রায় ম্যানেজ করা হচ্ছে বামুন্দি বাজার অথবা হেমায়েতপুর বাজার থেকে। কাল রাতে ঠিক ঔষধ গুলো ম্যানেজ করার জন্য হেমায়েতপুর বাজারে উপস্থিত হয়েছিলাম এরপর হাট বোয়ালিয়া বাজারে। কারণ সব সময় সব জায়গায় ওষুধগুলো পাওয়া যায় না। তারপর যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ দুই বাজারে ঔষধ গুলা সব পাওয়া গেছে। এদিকে নিজের শরীরের অবস্থা বেশি একটা ভালো না তাই পাশাপাশি স্যালাইন নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।




আলহামদুলিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে মোটামুটি আমার ধারণা রয়েছে। যেগুলো নিজের প্রয়োজনে সমস্যা হলে খুব সহজে সমাধান করে ফেলতে পারি। কিছুদিন আগে পুকুরে পানি দেওয়ার জন্য মটর টা রানিং করছিলাম এরপর হঠাৎ ক্যাপাসিটর পড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি ক্যাপাসিটর চেঞ্জ করে পুনরায় মোটরটা ঠিকঠাক করে ফেলি। ঠিক এভাবে নিজেদের সিলিং ফ্যান ঝাকা ফ্যান, বিভিন্ন প্রকার বাল্ব সহ কারেন্টের জিনিস গুলো নিজেই সমাধান করে থাকে।




আমরা সকলে জানি বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড গরম আর তাপদাহ চলছে আমাদের সারা দেশব্যাপী। বিশেষ করে মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা। আর এই মুহূর্তে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক সকল শ্রেণীর মানুষ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় সর্বশ্রেণীর মানুষের অসুখ নিয়ে উপস্থিতি। ঠিক তেমনি এক পরিবেশ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আমারও। কিছুদিন ধরে আমার বাচ্চাটা খুবই অসুস্থ ছিল। তাই উপস্থিত হতে হয়েছে গাংনী সরকারি হাসপাতালে। সেখানে মারুফ স্যারকে দেখানোর পর বেশ কিছু ঔষধ এবং স্রাব লিখে দেন। এরপর আলহামদুলিল্লাহ এখন মোটামুটি সুস্থ রয়েছে।




মা ও মেয়ের বেশ কিছুদিনের অসুস্থতা কারণে মানসিক টেনশন। সবকিছুর পরেও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য করেছিলাম অক্লান্ত পরিশ্রম। অন্যান্য জনার পরিশ্রমের পিছনে সহায়তা থাকে কিন্তু আমার কেউ ছিলনা এই কাজে সহায়তা করার। সারাদিন টাই যেন পারিবারিক বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে এখানে বেশি সময় দিয়েছিলাম। কারণ কনটেস্ট বলে কথা।




লোডশেডিং এর সমস্যা আমরা সকলেই কমবেশি ফেস করি। আর লোডশেডিং এর বিকল্প হিসেবে আমরা অনেকেই সৌর প্যানেল অথবা ব্যাটারি সিস্টেম গ্রহণ করতে শুরু করেছি। এ মোটর টা দেখতে পাচ্ছেন,এটি একটি ডিসি মোটর। এটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারি অথবা সৌর প্যানেল দিয়ে চালানো যায়। তাই টিউবলের মটরের পাশাপাশি এটা স্থাপন করেছি,যখন কারেন্ট থাকে না তখন ব্যাটারির মাধ্যমে চালানো হয়। এটার ফলের বাড়িতে বেশ সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।



পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোস্ট বিবরণ


বিষয়কেনাকাটা
লোকেশনLocation
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix hot 11s
ফটোগ্রাফার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ।