আজ - সোমবার
১৬ বৈশাখ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। আশা করি এই নাটকটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে যদি আমার রিভিউ পড়ে থাকেন এবং নাটকটি দেখেন। আমরা জানি হাড় কিপটে নাটক ১০৫ পর্ব। আজ আমি ৩২ তম পর্ব আপনাদের মাঝে রিভিউ করে তুলে ধরতে যাচ্ছি। চলুন আর দেরি না করে এখনই শুরু করি।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
🤔নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ🤔 |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৩২ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @banglavisiondrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হাড় কিপটে নাটকের ৩২ তম পর্বের শুরুতে লক্ষ্য করা যায় হারাধন দত্তের ছেলে ভূপেন নতুন শার্ট প্যান্ট পড়ে বাবুগিরি হয়ে এসে তার কুলাঙ্গার বন্ধুদের সাথে পুকুর ঘাটে বসলেন। তারা বিশেষ এক মিটিং এর আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু দেখা যায় সেই মিটিং এ নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলে শুধু ভূপেনের জামাকাপড় নিয়েই ঝামেলা সৃষ্টি করছে। আর এতে তাদের ফুফাতো ভাই গোল্লা বেশি রাগ হয়ে বারবার উঠে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হারাধন দত্তের দুই কুটুম এসেছে কিন্তু তারা তাদের সাথে ভালো ব্যবহার না করে, কোন খাবার জল না দিয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা। কিন্তু তাদের ভাগ্নে শিবানী যে মামাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে তাও কিন্তু করেনি। তাই হারাধন দত্তের দুই কুটুম এসে উপস্থিত হল বন্ধু নজর আলীর বাড়িতে। নজর আলীর স্ত্রীর সাথে বেশ অনেক আলোচনা হল। কিভাবে তাদের বোন মারা গেছে সেই বিষয়ে জানতে পারলো। তার বোনের করুন মৃত্যুতে তারা খুবই কষ্ট পেল। কিন্তু হারাধন দত্ত এমন এক কৃপণ নিজের বউ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল কখনো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়নি। উনি জানতেন তার অসুস্থ বউ যদি হায়াত থাকে বেঁচে যাবে আর যদি হায়াত না থাকে মরে যাবে অযথা ওষুধ কিনে টাকা খরচ করে লাভ নেই। আর তার এমন পাষাণ অনুভূতি জানতে পেরে দুই ভাই খুবই কষ্ট পেল। তবে এদিকে নজর আলীর বউকে হারাধনের দুই কুটুম বড় বোন সম্বোধন করে কথা বলে। তাই বলে এই দুই ভাইকে কিছু খাবার দেওয়ার চেষ্টা করলেন নিজের বাড়িতে ডেকে। উনার এই সুন্দর ব্যবহারে আত্মীয় দুইটা খুবই খুশি হলেন।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে গোল্লা খুব সুন্দর একটি প্যাচ লাগিয়েছে তার নজর আলী মামার কাছে। সে খুব সুন্দর করে ভাঙ্গিয়ে বহর আলীর নামে মামার কাছে মিথ্যা বলেছে। গোল্লা তার মামাকে বলেছে বহরের কাছে 1000 টাকা তারও বেশি টাকা রয়েছে। এদিকে নজর আলী এমন কথা শুনে বহরের উপর সন্দেহ পোষণ করেছেন। কারন সে জানে যদি টাকা থাকতো তাহলে জমি কিনতে পারতো কিন্তু বহর গোপনে গোপনে এত টাকা জমাচ্ছে আমার কাছে না জানিয়ে। এজন্য তো আর খারাপ লেগেছে আরো বেশি। এই সমস্ত কথা শুনে বহর আলী সত্যি খুবই কষ্ট পেল এবং রেগে উঠলো। তোর দ্রুত তার আব্বার কাছে জানতে চাইলো কে এমন মিথ্যা বলেছে। সজ্ঞানে বুঝে ফেলল এগুলা গোল্লার কাজ হবে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে ভূপেনের দুই মামা যখন বুঝে গেছে তার বোনকে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে দিনে দিনে তিলে তিলে মারা হয়েছে, এর জন্য তারা কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। কিন্তু বোনের মেয়ের শিবানী সব সময় তার বাবার পক্ষে। তার দূর আচরণ দুই মামাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। সে যে তার বাবার মত কৃপণ হয়েছে এটা কিন্তু মোটেও জানা ছিল না তার দুই মামার। দুই মামা এখন মুখোমুখি হতে চায় হারাধন দত্তের সাথে। কিন্তু হারাধন দত্ত কিছুতেই তাদের সামনে আসে না। এদিকে শিবানী তার মামাদের সাথে খারাপ আচরণ করে চলছে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
নজর আলী কৃপণের দুই কুলাঙ্গার ছাওয়াল প্রেম করেছে অনেক আগে। ছোটটা কথা বলে ফেলেছে মেয়ের বাবার সাথে। মেয়ের বাবা বলে দিয়েছে তার মা অথবা বাবা এসে প্রস্তাব রাখুক তখন চিন্তা ভাবনা করবে। তাই নজর আলীর ছোট ছেলে রান্নাঘরে এসে উপস্থিত হয়েছে তার মায়ের কাছে। অনেক মিনতি করে বোঝালেন যেন তার মা প্রেমিকার বাবার সাথে কথা বলে। এতে দেখা যায় একটি পর্যায়ে তার মা রাজি হয়।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
বহর বুঝে গেছে গোল্লা তার মামার কানে প্যাঁচ লাগিয়ে কথা বলেছে এবং বাবা ছেলের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সেই প্রতিবাদে এসে উপস্থিত হয়েছে গোল্লার কাছে। কিন্তু তার বড় ভাই কিছুতেই এই বিষয়গুলো বুঝতে পারেনা গোল্লার সাথে যুক্ত হয়ে। এদিকে তারা যে ডাব চুরি করে খেয়েছে একথাও বহর পূর্বে ধারণা পেয়েছে ও জেনেছে এবং সেখানে প্রতিবাদের মধ্যে বলে বসেছে। অবশেষে বহর গোল্লা কে সাবধান করে গেল। আর ঠিক এভাবেই এই পর্বের সমাপ্তি।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
হারকিপটে নাটকের ৩২ তম পর্বে দুইটা বিষয় বেশি লক্ষণীয়। যেখানে হারাধনের বাড়িতে দুইটা কুটুম এসেছে কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত ঠিক ভাবে জল পানির দেখা পেল না। বরং তাদের খাবার দেওয়ার ভয়ে বিভিন্ন উপোষের কথা বলে তাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিজেরই ভাগ্নে শিবানী। আর এদিকে নজর আলী কৃপণের বাড়িতে তার ভাগ্নে গোল্লা সব সময় প্যাচ লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বাপ ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার কৌশল অবলম্বন করেছে। এই পর্বের সবচেয়ে সুন্দর অভিনয় করেছে নজর আলী কৃপণের স্ত্রী। সে খুব সুন্দর ভাবে আত্ম দুজনার মাঝে তাদের বোন মারা যাওয়ার বিষয় উপস্থাপন করেছে। এদিকে ছোট ছেলেকে সান্ত্বনা স্বরূপ বুকের পাশে রেখে স্নেহের সাথে কথা বলেছে। তবে নাটকের সুন্দর চরিত্র ছিল গোল্লা, বহরালী আর নজর আলী। নাটকের অভিনয় কৌশল আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। একদিকে কৃপণতার কারণে আত্মীয়র বন্ধন ছিন্নের দিকে চলে যাচ্ছে। আরেক দিকে কৃপণদের কৃপণতা বেড়ে চলেছে।
৯/১০
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
Comments