মায়ের অপারেশনের জন্য জাহাঙ্গীরনগর থেকে প্রথমবার ঢাকা পান্থপথে যাত্রা || প্রথম পর্ব

sumon09 -


আসসালামু আলাইকুম




হাই বন্ধুরা!

কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঢাকা জাহাঙ্গীরনগরে অবস্থান করে আম্মার অপারেশনের জন্য ঢাকা পান্থপথের হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে যাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য।

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


ফটোগ্রাফি সমূহ:


কুড়ি মে ২০২৪, ঢাকা সাভার ২০ মাইল পানধোয়া বাজার নোয়া খালাম্মার বাসাথেকে ঢাকা পান্থপথের উদ্দেশ্যে বের হব। বিষয় আমার অপারেশনের বিষয়টা এবং আমার সেটআপ পড়ানোর বিষয়টা ঠিকঠাক করতে হবে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর সুযোগ বুঝে কিছুটা কাজে এগিয়ে নিলাম পোস্ট কমেন্টের। ইতোমধ্যে রান্নাবাড়া সম্পন্ন করে খাবার রেডি করে আমি যে রুমে অবস্থান করেছিলাম সেখানে এনে দিল, আমার কলিজার টুকরা ছোট্ট বোন বা খালাতো মেজ ভাইয়ের বউ @sumiya23, আমি এদিকে দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। ওদিকে সুমাইয়া শিমু আমার আম্মাকেও খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ক যত্ন নিয়ে দ্রুত রেডি করে দিলেন। তার সুন্দর ব্যবহার কষ্টের মাঝখানেও যেন সাহস যুগিয়ে ছিল এবং মন সন্তুষ্ট রেখেছিল আমাদের। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টাকা এবং মায়ের বিভিন্ন ডাক্তারের দেখানো প্রেসক্রিপশন গুলো রেডি করে নিলাম। ক্যাশ হিসেবে আমার কাছে ৫০ হাজার এর কিছু বেশি ছিল। আর এদিকে মোবাইল একাউন্টে 20 হাজার রেখেছিলাম। তাই ৫০০০০ এর মধ্যে থেকে দশ হাজার টাকা সাথে নিলাম। বাকি ৪০ হাজার টাকা খালাম্মার বাক্সের মধ্যে রেখে দিলাম। এরপর রেডি হয়ে দ্রুত বের হয়ে পড়লাম যেহেতু সেখান থেকে ঢাকার পান্থপথ যেতে ট্রাফিক জ্যামের জন্য ২ ঘন্টা লেগে যাবে। তবে এদিকে হসপিটালে আমরা মোবাইলে কথা বলেছিলাম বলেছিল ডাক্তার আসবে তিনটার পর। তার আগে যে সমস্ত চেকাপের কাজগুলো রয়েছে সেরে নিতে হবে তাই একটা সময় যেন আমরা পৌঁছে যায়। আরো বলে দিয়েছেন আমার আম্মা যেন কোন কিছু না খেয়ে যান। আমার আসে এভাবেই রেডি হয়ে পথে বের হয়ে পড়লাম।

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


খালাম্মার বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না। এখানে অটোরিকশা প্রতিনিয়ত চলাচল করে। কিন্তু ওই মুহূর্তে যেন কোনো গাড়ি চোখের সামনে বাদছে না। প্রচন্ড গরমের দিন ছিল সেদিন। রাস্তায় হাঁটতে যেমন বিরক্তি ফিল করছিলাম কেমন মনের মধ্যে প্রচন্ড টেনশন কাজ করছিল, জীবনে এভাবে কখনো হসপিটালে উপস্থিত হয়নি। আর সেখানে নিজের মায়ের অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে অপারেশনের জন্য যেতে হচ্ছে। মানসিক টেনশন আর প্রচন্ড গরমের অতিষ্ঠ তা আমাকে বেশ নার্ভাস করতে লাগলো। তবে সাথে খালাম্মা থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মনের মধ্যে ছিল সাহস ছিল। তবে রাস্তাঘাটে কেমন মানুষের দেখায় মিলছে না প্রচন্ড গরমের কারণে। এদিকে গুগল সব সময় লোকেশন আমি দেখে চলছি। কারণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওদিকে আর কোনদিন যাওয়া হয়নি আমার এই প্রথম যেতে চলেছি। কিছুটা পথ এগিয়ে যেতে দাঁড়িয়ে থাকতেই পেয়ে গেলাম একটি গাড়ি। এরপর আমরা গাড়িতে উঠে পরলাম উদ্দেশ্য পান ধোয়া বাজার অতিক্রম করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ মাইল গেট।

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


গাড়িতে উঠে অগ্রসর হলাম পান ধোয়া বাজারের দিকে। আমি যেদিন ঢাকাতে উপস্থিত হলাম ঐ সন্ধ্যা রাতেই বাজারে এসেছিলাম শসা সহ বিভিন্ন কিছু কেনার জন্য। কারণ এই বাজারটা আমার এর আগেই পরিচিত। এর আগে একবার এসেছিলাম এবং এই বাজারে বেশ চলাচল করেছিলাম। যে কয়দিন থেকে ছিলাম সেই কয়দিন বেশ ঘোরাঘুরি করেছিলাম এই বাজারে। তাই প্রথম রাত টাই কিছুটা সময়ের জন্য এই বাজারে চলাফেরা করে কেনাকাটা করে অন্যরকম ভালোলাগা মনের মধ্যে ছিল। গাড়িটাও ঠিক সে বাজারের দিকে অগ্রসর হতে থাকলো ধীরে ধীরে। কিন্তু রাস্তার অবস্থা তেমন ভালো নয়। হেয়ারিং পার হয়ে পিস ঢালা রাস্তা। আমার জায়গায় জায়গায় হেয়ারিং। আবার জায়গায় জায়গায় এতটাই ভাঙ্গা চলতেউ বেশ কষ্ট। এভাবে একটি মুহূর্তে বাজারটা অতিক্রম করে চলে আসলাম বাজারের অপোজিট পাশে। কারণ বাজারের উপর রাস্তা এতটাই ভাঙ্গা, গাড়ির মধ্য থেকে মোবাইল ধরে ফটো ধারন করা সম্ভব নয়।

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location Dhaka savar


এরপর ধীরে ধীরে আমরা অগ্রসর হতে থাকলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির প্রান্তে রাঙ্গামাটি প্লেগ্রাউন্ড ও বিশমাইল স্তম্ভ এর দিকে। এই জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালোলাগার। যতদিন অবস্থান করেছিলাম তার মধ্যে বেশিরভাগ বাজারে এদিক সেদিকে ভ্রমণ করতে গিয়ে এসে সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে এখানে রেস্ট নিয়েছি। তাই কঠিন মুহূর্তের দিনগুলো কিছুটা সময়ের জন্য প্রশান্তির খোঁজ মিলিয়ে ছিল এই জায়গা। কিছুটা নির্জনতায় উপস্থিত হয়েছি এখানে। আশেপাশে মানুষজনের খেলাধুলা বসে থাকা আকাশের চাঁদ তারা উপভোগ করেছি শীতল বাতাস গ্রহণ করার পাশাপাশি। আগামী পর্বে এই স্থানের চিত্রগুলো শেয়ার করব, আর এখান থেকে বিশ মাইল ফ্লাইওভার পর্যন্ত সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করব আপনাদের মাঝে।

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোস্ট বিবরণ


ব্লগারsumon09
ডিভাইসInfinix Hot 11s
লোকেশন গাংনীWhat3words
ক্যামেরা50mp
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ।