আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৫৮ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে।
দেশ
বাংলাদেশ
ভাষা
আঞ্চলিক বাংলা
ধরণ
কমেডি,ড্রামা
পর্বের সংখ্যা
১০৫
রিভিউ
৫৮ তম পর্ব
দৈর্ঘ্য
১৩ মিনিট
প্ল্যাটফর্ম
ইউটিউব @banglavisiondrama চ্যানেল
চরিত্রেঃ
মোশাররফ করিম (গোল্লা)
আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
কাহিনীর সারসংক্ষেপ
আমরা হারকিপটে নাটকের গত পর্বে লক্ষ্য করে দেখেছি ফরহাদের দোকান থেকে মিলন ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ১ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে এসেছে। ফরহাদ যখন জানতে পেরেছে মিলন শিবানির খালাতো ভাই, সে চিটারি করে যার কাছে টাকা নিয়ে গেছে। তাই ফরহাদ এসে বসে রয়েছে শিবানির বাড়িতে। যতক্ষণ মিলন কে না পাচ্ছে ততক্ষণ সে এই বাড়ি থেকে উঠবে না। শিবানী বিভিন্ন রকমের কথা বলতে থাকে তাতে কোন কাজ হয় না। সে মিলনকে ধরবে মারবে ইত্যাদি। একপর্যায়ে তাদের মামা এসে উপস্থিত হল। শিবাজীর মামা ফরহাদকে যুক্তি দিল তার নামে কেস করুক এবং উচিত শিক্ষা দিন। এতে শিবানী বেশ কষ্ট পেল এবং বলল মামা হয়ে কিভাবে সে ভাগ্নের কেসে ফেলানোর চিন্তা করে। আসলে বিষয়টা বেশ দুঃখজনক মনে হয়েছিল। তবে দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য,শিবানী মিলন শিবানির বাবা একটি ধারা কৃপণ। আর তারা কিভাবে অন্যের খোঁজ শুনে ফরহাদের সাথে এমন খারাপ কাজ করল।
এদিকে মিলন যে মজনু মুকুলের কথা শুনে এমন একটা কাজ করবে বিষয়টা গোল্লার জানা ছিল না। যখন তারা একত্রে বসে ছিল হঠাৎ গোল্লা তাদের মাঝে এসে উপস্থিত হলো। বিষয়টা এমন ছিল যে ফরহাদের দোকান থেকে এভাবে টাকা এনে পরে খাসি জবাই করে পিকনিক করে খাবে তারা। পক্ষান্তরে দেখা গেল বিষয়টা খারাপ দিকে গড়াচ্ছে তাই গোল্লা তাদেরকে বলল ফরহাদের টাকা যেন ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু মিলন তো কিছুতেই দিবেনা। এজন্য সে দ্রুত তাদের মাঝখান থেকে উঠে পালিয়ে গেল। কারণ মিলন টাকা গুলো এনেছে সে এমনি এমনি ফিরিয়ে দেবে না।
স্বামীর দোকানে এমন ছিনতাই হয়েছে শোনার পর ফরহাদের স্ত্রী বেশ আনন্দিত এবং হাসিতে মাতোয়ারা। ফরহাদ দুঃখ করে বলল আমি যদি জেলে যাইতাম তাহলে আমার বউকে কে দেখতো তাই আমি হাতজোড় করেছি এক হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছি ম্যাজিস্ট্রেট ভেবে। কিন্তু তারা যে তার সাথে এমন প্রতারণা করছে কে জানত। তবে যাই হোক সেই জায়গায় বউ তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার কথা তা না করে হাসছে। বউয়ের হাসি যেন তার কাছে বিষ মনে হচ্ছিল। এদিকে ফরহাদের বউ মনের আনন্দে হাসছে তার দেবর এবং তার বন্ধুরা মিলে এমন কান্ডটা করেছে সত্যিই স্বামীর শিক্ষা দরকার।
নজর আলী তার বড় ছেলের বিয়ে দিতে সম্মতি দিয়েছে কিন্তু সেখানে শর্ত ছুড়ে দিয়েছে। যদি বড় ছেলের প্রেমিকার বাবা তার নামে ৫ বিঘা জমি লিখে দেয় তখনই তার বড় ছেলেকে বিয়ে দিবে। এমন কথা শোনার পর ছোট ছেলে বাবার কাছে এসেছে। ছোট ছেলেও চাই তার বাবা ছোট ছেলের বিয়েতে রাজি হোক। সে তার হবু শ্বশুরের কে বলে ৫ বিঘা জমি বাবার নামে লিখে দিবে। কিন্তু নজর আলী রাজি হল না ছোট ছেলের বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। সে জানে জব্বার দিনদিন তার কাছে জমি বিক্রি করছে আর জব্বারের জমি নজর আলীর হতে চলেছে। জাব্বারের মেয়ে বাড়িতে এনে আলাদা ষড়যন্ত্র সৃষ্টি আর করতে চায়না। এতদিন যে সমস্ত জমিগুলো কিনেছে না জানি সে জমিগুলো কিভাবে বাবার ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই ষড়যন্ত্র করে। তাই ছোট ছেলের বিয়েতে তিনি সম্মতি দেন। এই কারণে ছোট ছেলের খুবই মনোকষ্ট পেল। আরেক দিকে বড় ছেলের যুক্তি শালা করছে কিভাবে বিয়েটা সম্পন্ন করা যায়। গোল্লা অর্থাৎ ফুপাতো ভাই বলেছে তাদের বাড়িতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করবে। এদিকে নিজের দুলাভাই বলছে তাদের বাড়িতে বিয়ে দিবে। এখন ফজর আলীর মনে আনন্দ কিন্তু চিন্তা চুমকির বাবা তো পাঁচ বিঘা জমি দিবে না। এইজন্য পালিয়ে যেয়ে বিয়ের বিষয়টা। না জানি পরবর্তীতে তার বাবা কোন রিএকশন নেয়।
আসলে এ পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি নজর আলী কৃপণের কৃপণতার একদম নিম্ন পর্যায়েটা। যেখানে ছেলেকে বিয়ে দিতে হলে তার নামে ৫ বিঘা জমি লিখে দিতে হবে। আসলে এই ছোট মন মানসিকতা বর্তমান যুগে বিরল। এছাড়াও লক্ষ্য করে দেখেছি ফরহাদের দোকানে ১ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেওয়ার মতো মিলন কান্ড কলা ঘটিয়েছে। মিলন এই গ্রামের গেস্ট হয়ে কেন এমনটা করলো। তবে তাদের যুক্তিসালা ছিল ফরহাদ এর দোকান থেকে টাকা এনে সেই টাকা দিয়ে পিকনিক করবে। যখন গোল্লা টাকাটা ফেরত দিতে বলে তখন দেখা গেল মিলন টাকা না দিয়ে পালিয়ে যায়। এখানেও তার কৃপণতার প্রকাশ মেলে। আর এভাবেই এই নাটকের অভিনয় সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যে পর্যায়ে যার অভিনয় গুলো ফলো করি সেই পর্যায়ে প্রত্যেক জন ব্যক্তির অভিনয়ের সার্থকতা খুঁজে পাই। তবে এই নাটকের বড় সার্থকতা নজর আলী কৃপণের মধ্যে। নজর আলীর কৃপণের অভিনয় দর্শক নন্দিত। আর এখানে লক্ষী নারী হিসেবে আমরা ফরহাদের বউকে খুঁজে পাই। তার অভিনয়টা ঠান্ডা মাথার এবং শান্তশিষ্ট। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পর্ব আমরা উপভোগ করলাম। বাংলাদেশের ধারাবাহিক নাটক গুলোর মধ্যে সার্থক একটি নাটক হাড় কিপটে। আশা করব আগামী প্রজন্মরা এই সমস্ত নাটকগুলো দেখে সুন্দর সুন্দর নাটক নির্মাণ করবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং:
৯/১০
নাটকের লিংক
Loading iframe
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।