আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার জন্মদিনের একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চাই। আশা করছি সকলে আমাকে অভিনন্দন জানাবেন আমার জন্মদিনে। তবে জন্মদিনের বেশ কয়েকদিন পর আমি এই পোস্ট লিখছি।
গত 11 ডিসেম্বর ২০২৪। এই দিনের ১৯৯৯ সনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং গত ১১ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন ছিল।
আমার যে জন্মদিন ছিল বিষয়টি আমার একদম মনে ছিল না। কারণ আমি এর আগে কখনো জন্মদিন উৎসব কিংবা কোন উৎসব পালন করিনি। তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আমার ফেসবুক বন্ধুরা আমাকে আমন্ত্রণ করেছিল। আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছিল এবং আমি ফেসবুক কমিউনিটির অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছিলাম।
শুভেচ্ছা বার্তা পাওয়ার পর আমাকে যে সকল বন্ধুরা ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল তারা আমাদের গ্রামেরই অধিকাংশ। সুতরাং আমি আমার জন্মদিনে বেশ আনন্দিত ছিলাম এবং সকলে যখন আমাকে উইশ করছিল তখন আমার বেশ ভালো লাগছিল।
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ছোট্ট একটি পার্টি আয়োজন করার জন্য। তবে হাতের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল। কারণ মার্কেটের অবস্থা একদম খারাপ হওয়ার কারণে হাতের অবস্থা একদম বাজে। তাছাড়াও বাড়তি কোন ইনকাম না থাকার কারণে আমি কোন রকমের জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করতে পারিনি।
তবে এখানে একটি আশ্চর্য বিষয় লুকিয়ে রয়েছে। আর তা হলো আমার জন্মদিনে সব থেকে বড় সারপ্রাইজ করেছিল আমার ছোট বোন মরিয়ম।
মরিয়ম কিন্ডারগার্ডেন ইস্কুলে পড়ে। তবে তারপরেও তার মানসিকতা আমাকে বেশ আশ্চর্য করেছিল। মরিয়ম স্কুল থেকে ফেরার পথে আমাকে না জানিয়ে সারপ্রাইজ করার জন্য স্কুল ব্যাগের ভেতরে করে একটি কেক নিয়ে এসেছিল। এরপর আমি যখন সন্ধ্যার পরে বাসায় এসেছিলাম তখন লক্ষ্য করেছিলাম মরিয়ম আমার জন্মদিনের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছিল।
আমি যখন রুমের ভিতরে প্রবেশ করি তখন দেখি মরিয়মের হাতে বেশ কিছু চকলেট । চকলেট গুলো দেখে আমি বেশ আশ্চর্য হয়েছিলাম এবং তখন আমি বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। যখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তখন আমার ছোট বোন অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিল এবং আমাকে বার্থডে কেক দিয়ে উইশ করেছিল এবং আমি তখন বেশ আনন্দিত ছিলাম।
এরপর মরিয়ম আমার সামনে একটি জন্মদিনের কেক পরিবেশন করেছিল এবং আমার মাথায় টুপি পরিয়ে দিয়েছিল। বিষয়টি আমার কাছে এত বেশি আনন্দিত মনে হয়েছিল যা এর আগে আমি কখনো এত বড় সারপ্রাইজড হয়নি। কারণ মরিয়ম আমাকে অনেক ভালো মানের একটি সারপ্রাইজ দিয়েছিল এবং বিষয়টি আমাকে বেশ আনন্দিত করেছিল।
যাইহোক অবশেষে আমার, সহধর্মিনী, আমার ছোট বোন ও আমার ভাগিনা আমরা সকলে মিলে কেক কেটে ছিলাম এবং আমি একে অপরের মুখে কেক তুলে দিয়েছিলাম। সকলেই আমাকে হাসিমুখে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিল এবং আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম।
তার থেকেও বেশি খুশি হয়েছি আপনাদের মাঝে আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা পোস্ট লিখতে পেরে। আমি আশাবাদী আমার জন্মদিনে আপনারা সকলেই উইশ করবেন, যদিও একটু দেরিতে।
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা জানিয়ে আজকে বিদায় বলছি। আল্লাহ হাফেজ🎂🎈🎉