অবশেষে বিয়েটা করেই ফেললাম !!
13 comments
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখার জন্য। আজকে আমি আমার নিজের বিয়ের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আশা করছি আপনারা সকলে আজকের ব্লগ উপভোগ করবেন।
কথায় আছে, জন্ম ,মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি বিষয় সম্পূর্ণই আল্লাহর হাতে। আল্লাহ যখন ইচ্ছা করে মানুষকে জন্ম দিতে পারেন আবার নিমিষের মাঝেই মানুষের মৃত্যু হয়ে যায়। জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝে তৃতীয় যে বিষয়টি তা হল মানুষের বিয়ে। বিয়ের বিষয়টা সৃষ্টিকর্তা নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং বিয়ে হল একটি ভাগ্যের বিষয়।
তবে শুধু শুধু ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল হলে আমরা কখনোই আমাদের জীবনের অগ্রগতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো না। আমরা যদি নিজেদেরকে আরও বেশি সামনের দিকে অগ্রসর করতে চাই তাহলে সর্বপ্রথম আমাদেরকে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আমিও চিন্তা করেছিলাম হয়তো বিয়ে যেহেতু ভাগ্যের বিষয় তাই একদিন হয়ে যাবে। এই আশায় বসে থাকতে থাকতে আমার আশেপাশের ছোট ভাই ব্রাদাররা করে ফেলেছিল এবং এত বেশি বয়সে এসেও আমি বিয়ের ফুল ফোটাতে পারিনি।
অবশেষে চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের ভেতর তার মামাতো বোনের সাথে আমার পরিচয় হলো। আমার চাচাতো ভাইয়ের মামাতো বোনের নাম ছিল হাফিজা।
হাফিজা দেখতে অনেক সুন্দর ছিল এবং তার মায়াবী দৃষ্টি আমাকে আকর্ষিত করেছিল। আমি তার চোখের মায়ায় মুগ্ধ হয়ে ছিলাম এবং চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের ভেতরে আমি তাকে প্রপোজ করেছিলাম।
কিন্তু হাফিজা ছিল একজন লজ্জাবতী নারী। আমাকে তৎক্ষণাৎ সে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। বিয়ের তৃতীয় দিন পর্যন্ত আমার সাথে সে কোন কথা বলেনি এবং সে আমার সাথে কথা বলতে অনেক লজ্জা পেতো।
যাইহোক দীর্ঘ দেড় বছর পর হঠাৎ করেই হাফিজা আমাকে আমার ইমু একাউন্টে নক দিয়েছিল। আমি যথারীতি প্রথমে আশ্চর্য হয়েছিলাম এবং এরপর আমরা কথা বলতে শুরু করি।
কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে আমাদের মাঝে একটি চমৎকার রিলেশনশিপ তৈরি হয়েছিল। রিলেশন তৈরি হবার পর আমরা একে অপরের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম কোন কিছুই ভালো লাগতো না এবং খাওয়া গোসল সবকিছু বন্ধ করে আমরা শুধু আমাদের আলাপ চালিয়ে যেতাম।
এর প্রায় এক সপ্তাহ পর, আমার চাচাতো ভাইয়ের ছোট মামী, হঠাৎ আমাকে একদিন ভিডিও ফোন দিয়েছিল। এখন দেওয়ার পর আমাকে আমার মামী জানিয়েছিল আমার জন্য তার ছোট মেয়ে হাফিজা অনেক বেশি কান্না করছে। তাই আমার মামি আমার পরিবারের সাথে কথা বলতে চাই এবং আমাদের বিয়ের সম্বন্ধ পাকা করতে চাই।
খবরটা শুনে আমি আমার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কারণ এত সহজে আমি আমার প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে যাব বিষয়টি নিয়ে আমি বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যাইহোক অবশেষে পুরো বিষয়টি আমি আমার পরিবারের কাছে খুলে বলেছিলাম। পরিবার রাজি হয়ে গিয়েছিল।
তবে এখানে একটি বেশ ভালো মানের সমস্যা ছিল। হাফিজার বয়স ছিল মাত্র 12 বছর। তবে আমি তারপরেও তাকে বিয়ে করতে চাই এবং আমি একদিনের জন্যও তাকে হারাতে চাই না।
তাই বিয়ের কোন প্রকার এরেঞ্জ ছাড়াই আমি তাকে বিয়ে করতে চেয়ে। রাতে আমার পাঁচজন গার্জিয়ান নিয়ে আমি আমার প্রিয় মানুষের বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। এখানে কাজী উপস্থিত ছিলেন এবং মৌলবি সাহেব উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে আমাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। রাত 9 টা বেজে পনের মিনিট ১৫ই নভেম্বর আমাদের বিয়ের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছিল এবং এর জন্য আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে চির কৃতজ্ঞ।।
যাই হোক অবশেষে, আল্লাহর অশেষ রহমতে ও আমার ভাগ্যের পরিহাসে আমি আমার প্রিয় মানুষকে পেয়ে গিয়েছিলাম। এখন আমি অনেক বেশি খুশি।
সকলেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আগামী দিনগুলো আমরা একসাথে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারি। আমার বাংলা ব্লগ ও সমস্ত স্টিমিয়ান বন্ধুদের কাছে আমি দোয়া প্রার্থনা করছি। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন, ইনশাআল্লাহ
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
Comments