New to Nutbox?

সোহাগের স্বপ্ন পূরণের গল্প ( দশম পর্ব)

1 comment

steem-articles
75
3 days agoSteemit2 min read

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সোহাগ মনে মনে এটাও ঠিক করে রাখে। যদি সে প্রথম ম্যাচে ভালো খেলতে পারে। যদি সে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। তাহলে তার প্রথম ট্রফিটা তার সেই প্রতিবেশী আর কোচের জন্য উৎসর্গ করবে। সোহাগ দেশে ল্যান্ড করতেই ক্রিকেট বোর্ডের লোকজন এসে তাকে রিসিভ করে। সরাসরি জাতীয় দল যে হোটেলে আছে সেখানে নিয়ে যায়। পরের দুইদিন সোহাগ জাতীয় দলের সাথে প্র্যাকটিস করে। তবে এখানে এসে সে সম্পূর্ণ অন্যরকম পরিবেশ দেখতে পায়। এখানে খেয়াল করে দেখে সবাই তাকে খুব সহযোগিতা করছে।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240823_000814_0000.png

নতুন প্লেয়ার বলে তাকে কেউ অবজ্ঞা করছে না। দেখতে দেখতে ম্যাচের দিন চলে আসে। সোহাগরা টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে গেলে তার ক্যাপ্টেন তাকে ব্যাটিং করতে পাঠায়। সোহাগ ব্যাটিংয়ে নেমে ৭০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে। সোহাগের এই ৭০ রানের উপর ভর করে তার দল মোটামুটি একটা ফাইটিং স্কোর গড়তে সমর্থ হয়। সোহাগরা যখন বোলিং করতে নামে তখন প্রতিপক্ষ দল খুব সহজেই তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। তখন সোহাগ বল হাতেও ঝলসে ওঠে।

মাত্র দুই ওভারের ব্যবধানে সোহাগ তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত সোহাগ ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করে। ব্যাটিংয়ে ৭০ রান এবং বোলিং এ ৫ উইকেট পাওয়ার জন্য সোহাগ এখানেও ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। যখন উপস্থাপক তাকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের ট্রফি নেয়ার জন্য ডাকে। তখন সোহাগ সাথে করে তার সেই প্রতিবেশী এবং প্রথম কোচ কে নিয়ে যায়। ম্যান অব দ্যা ম্যাচের ট্রফি নিয়ে সে এই দুজনের হাতে তুলে দেয়। তারপর সে স্পিচ দেয়ার সময় তার জীবনে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ

Comments

Sort byBest