সততার পুরস্কার ( শেষ পর্ব)

steem-articles -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ফুয়াদের সেই বন্ধু ফুয়াদকে পরামর্শ দেয়। হয় তুই সেই ফাইলটাতে সিগনেচার করে দে। আর না হলে ট্রান্সফার হয়ে সেখান থেকে চলে আয়। কারণ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তোর জীবন সেখানে ঝুঁকির সম্মুখীন। কিন্তু ফুয়াদ কোনটাতেই রাজি হয় না। ফুয়াদ যুক্তি দেখায় বাংলাদেশের যেখানেই চাকরি করতে যাবো সেখানেই এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি আমাকে হতে হবে। যার ফলে যদি একবার এদের কাছে মাথা নোয়াই। তাহলে আর কখনো এরা আমাকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবে না। তখন ফুয়াদের সেই বন্ধু ফুয়াদকে পরামর্শ দেয়। তাহলে তুই এক কাজ করতে পারিস। তুই কোর্টে গিয়ে সেই লোকেদের নামে একটা অভিযোগ দায়ের কর।

কোর্টে গিয়ে মামলা করলে তখন হয়তো তারা কিছুটা ভয় পাবে। পরামর্শটা ফুয়াদের কাছে খুব পছন্দ হয়। পরদিন ফুয়াদ কোর্টে গিয়ে তার অফিসের বস এবং সেই প্রভাবশালী লোকের নাম উল্লেখ করে সাথে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের কথা উল্লেখ করে মামলা করে আসে। এই মামলার খবর তার বস জানতে পেরে তার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সাথে যার ফাইল আটকে রেখেছিলো সেও ফুয়াদের উপর আরো রেগে যায়। এভাবে একদিন ফুয়াদ অফিস শেষ করে তার বাসার দিকে ফিরছিলো। হঠাৎ করে পথের ভেতর তিনজন লোক তার গতি রোধ করে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে।

সাথে সাথে ফুয়াদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরদিন পত্রিকার পাতায় খবর বের হয় সরকারি চাকরিজীবী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আর এভাবেই একজন সৎ মানুষের জীবনের সমাপ্তি হয়। তবে ফুয়াদ মারা গেলেও তার করে যাওয়া কেসের কারণে সমস্ত চক্র পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ হওয়ায় এই মামলা আর তারা ধামাচাপা দিতে পারে না। শেষ পর্যন্ত ফুয়াদ হত্যা মামলায় তার অফিসের বস সহ স্থানীয় সেই প্রভাবশালী আরো কয়েকজন মানুষের সাজা হয়। আর এভাবেই ফুয়াদের মতো একজন সৎ যোদ্ধা মরে গিয়েও জিতে যায়। (সমাপ্ত)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ