নমস্কার বন্ধুরা, আপনারা কেমন আছেন ?আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি ।কিন্তু জগদ্ধাত্রী পূজা সারা রাত্রি ব্যাপি দেখতে গিয়ে এবং সারা রাত্রি ব্যাপি প্রতিমার দুই রাত পর পর ভাসাণ দেখতে গিয়ে ভালোই ঠান্ডাটা লাগিয়েছি। যেহেতু আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছে গরমটা চলে গিয়ে কৃষ্ণনগর শহরের ভালোই ঠান্ডা পড়ে গেছে। সুতরাং ঠান্ডাটা লেগে গেছে কাল রাত্রে জ্বর জ্বর ভাবছিল। কিন্তু আরেকটি মজাদার বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাই।
গতকাল ছিল কার্তিক পূর্ণিমা ।তাই বলাই যাই কার্তিক পূজা আয়োজিত হতে চলেছে। মা দুর্গার চার চার সন্তানের মধ্যে একজন হচ্ছেন এই কার্তিক মহারাজ। তাকে বলা হয় দেবতাদের সেনাপতি নামে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন জায়গায় কার্তিক পূজা, তবে এই পূজার আরেক নাম কার্তিক লড়াইও বলা চলে ।কার্তিক পূজার আগের দিন কিছু কিছু বিষয় থাকে তার মধ্যে একটি আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।
শরীরটা ভালো নয় তাই কালকে তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে কেবলই শুতে যাব। এমন সময় মা উৎসাহের সাথে আমাদের ডাকতে ডাকতে আমাদের উপরের ঘরে চলে এলো অধীর আগ্রহে জানতে চাইছিলাম যে মা তুমি এত উত্তেজিত হয়ে কি বলবার চেষ্টা করছো ।কোন কি বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে ডাকছো ।তখন মা বলে শিগগিরি নিজে চল একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছে। তখন আমি অধীর আগ্রহে মাকে জানতে চাই যে মা কি এমন ঘটেছে ।তখন মা আমাকে বলল যে বাবু যেহেতু কালকে কার্তিক পূজা ।তাই দেখ আমাদের বাড়ির সদর দরজার সামনে কে একটি ছোট্ট সুন্দর কার্তিকের মূর্তি রেখে গেছে। এই কথাটি শুনে আমি সত্যি খুব আশ্চর্য হয়ে গেলাম এবং মনে মনে যেন একটু আনন্দ লাভ করলাম ।তখন মাকে আমি জানতে চাইছিলাম মা তাহলে এই যে কার্তিকটি রেখে গেল তাহলে এখন কি উপায় ।কারণ এ বিষয়ে আমি হালকা কিছু গল্প শুনেছিলাম।
তবে মায়ের মুখে শোনার পরে মনে হলো মা বলল যে কার্তিক পূজার আগে বাড়ির দরজায় যদি কেউ কার্তিক পুতুল বা মূর্তি রেখে যায় সে ক্ষেত্রে সেটি পরের দিন যথারীতি পূজা করতে হয়। তখন আমি মনে মনে ভাবলাম বাস্তবতার সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে। যেহেতু আমার মা আমাকে এই কথাটি বলছে সুতরাং নিশ্চয়ই এই কথাটাই সত্যতা আছে, যদি ছোটবেলায় গল্পের মতো করে শুনেছি। বড়দের মুখে। তাই আর আনন্দ সমালোচনা করে ছুটতে ছুটতে গেলাম সদর দরজার কাছে গিয়ে দরজার খুলে দেখি সত্যিই কি অপূর্ব অপূর্ব সুন্দর একটি কার্তিক মূর্তি রাখা আছে। তবে এটি ঠিক মূর্তি বলবো না ছোট্ট একটি সুন্দর পুতুল। ছোটবেলায় শুনেছি যে কার্তিকের সঙ্গে একটি ছোট্ট চিরকুটে কিছু লেখাও থাকে অর্থাৎ যে ব্যক্তি লুকিয়ে যার দূয়ারে রেখে যান ।তিনি তার কিছু মনোকামনা তাতে লিখে যান । এবারে আপনারা নিশ্চয়ই মনে মনে একটু আগ্রহী হতে পারেন। যে ওই চিরকুটটিতে কি লেখা আছে। হ্যাঁ আপনাদের মত আমিও খুবই আগ্রহী ছিলাম। যে চিরকুটে কি লেখা আছে। তবে আপনারা ও জানুন ওই চিরকুটে যে লেখাটি লেখা আছে ।সেটি আমাদের উদ্দেশ্যে আমিও এই পোস্টটিতে লিখে দিলাম।
লেখাটি হলো"আমার কার্তিক লুচি খাবে। আলুর দম খাবে। ফল ,মিষ্টি খাবে, আমার কার্তিক বাজনার আওয়াজ শুনবে। আমার কার্তিক ঠাকুমার কোলে উঠবে। আমার কার্তিক ফ্রাইড রাইস খাবে। আমার কার্তিকের বাজেট এক হাজার টাকা।"
তবে এই বছর এই কার্তিক পূজা আমরা বাড়িতে উদযাপন করতে পারবো না। কারণ আমার একটা জ্যাঠামশাই এই বছরই পরলোক গমন করেছেন ।সুতরাং আমাদের সনাতন ধর্ম মতে আমাদের এক বছর কোন পুজো করতে নেই। তাই কোনো রকম কোনো পূজা অর্জনের ভাগ নিতে আমরা পারব না ।এমনকি বাড়িতেও কোন পূজা অর্চনা আমরা দিতে পারবো না। সুতরাং মা আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই পূজাটির আগামী বছর আমরা খুব সুন্দর ভাবে আমরা বাড়িতে পালন করব ।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আশাকরি আমার এই পোস্টটি আপনাদের হয়তো ভালো লাগবে । আপনাদের সকলকে মহা কার্তিক পূজার শুভেচ্ছা ভালোবাসা অভিনন্দন রইল। সকলে ভালো থাকবেন
সুস্থ থাকবেন । ধন্যবাদ।