আফতাবগঞ্জ মেলায় মাছ ধরার জাল বিক্রির জমজমাট হাটের কিছু চিত্র

sohanurrahman -

বাঙালিদের জীবন, জীবিকা এবং আনন্দের অন্যতম খোরাক হল মৎস্য আহরণ করা। বিশেষ করে গ্রাম এবং হাওড় এলাকায় বসবাসরত মানুষের অধিকাংশই মাছ ধরা পেশার সাথে যুক্ত। শুধু জীবিকার তাগিদেই মানুষ মৎস্য আহরণ করে না, অনেকে শখের বসে মাছ ধরে থাকেন। আর বর্ষাকাল এলেই গ্রামের মানুষ বিভিন্ন ধরণের মাছ ধরার উপকরণ ব্যবহার করে দলবদ্ধভাবে মাছ শিকার করেন।

মাছ ধরা আমাদের দেশে একটি উৎসবের মত। আমাদের দেশে অনেক জলাশয় আছে যেখানে মাছ চাষ করা হয়। মাছ চাষ করে আমরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হই।এখনকার তুলনায় আগে আমাদের দেশের জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত। মাছের সহজলভ্যতা এবং পুষ্টিকর খাবার হওয়ায় অধিকাংশ বাঙালির পছন্দের খাবার ছিল মাছ। বাংলাদেশে মাছের প্রাচুর্যতা আর বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের খাবার হওয়ায়, আমাদের মাছ ভাতে বাঙালি বলা হয়। আর মাছ ধরার অন্যতম উপকরণ হল বিভিন্ন ধরণের জাল।

জাল দিয়ে মাছ ধরার সুবিধা হল একসাথে অনেক মাছ আহরণ করা যায় এবং আহরণকৃত মাছের তেমন কোন ক্ষতি হয়না। ফলে এসব মাছ বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ পাওয়া যায়। আর নদী কিংবা সমুদ্রের মত বড় বড় মৎস্যক্ষেত্রে জেলেরা বিভিন্ন ধরণের জাল দিয়ে মাছ আহরণ করেন।

মাছ ধরার একটি জনপ্রিয় উপকরণ হল "জাল"। কিছুদিন আগে আফতাবগঞ্জ মেলায় গিয়েছিলাম। সেখানে মাছ ধরার জাল বিক্রির ধুম পড়েছিল। দোকানদাররা সারি সারি জাল সাজিয়ে বসেছিলেন তাদের দোকানে। মেলায় মাছ ধরার জাল বিক্রি হচ্ছে, এরকমটা আগে কোন মেলায় দেখিনি। দেখে মনে হচ্ছে, এখানে মাছ ধরার জালের বেশ চাহিদা।

সামনে বর্ষাকাল আসতে যাচ্ছে, তাই হয়ত এখানে জালের হাট বসেছে এবং জালের বেশ চাহিদা রয়েছে। জালগুলো চমৎকারভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল, তা দেখে আমি বেশ কিছু ছবি তুললাম। তবে এখানে কোনটা কি ধরণের জাল বা এসব জালের আলাদা কোন নাম আছে কিনা, তা আমার জানা নেই।

আমি জাল দিয়ে কোনদিন মাছ ধরিনি। তবে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছিলাম। বাংলাদেশে মাছ ধরা পেশার সাথে নিয়োজিত মানুষের অভাব নেই। এদেশে অনেক জেলে পরিবার আছে যারা বংশগতভাবে এই পেশার সাথে জড়িত। আর তাদের কাছে মাছ ধরার উপকরণ "জাল" -এর অনেক কদর রয়েছে। মৎস্য আমাদের দেশের সম্পদ। বাঙালিদের কাছে মাছ এবং মাছ ধরার উপকরণগুলো ঐতিহ্যগত ব্যাপার।



ডিভাইসস্যামসাং এস২১ আল্ট্রা
লোকেশনG2HP+GW শাল ঘরিয়া, Bangladesh