প্রথমেই সবাইকে জানাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। আজকের এই দিনেই ত্রিশ লক্ষ ভাইয়ের রক্ত আর দুই লক্ষ বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পেয়েছিলাম নিজের দেশ।যেখানে কেউ আর আমাদের উপর চোখ রাঙাতে পারবে না,শোসন করতে পারবে না। নিজের মত করে বাচতে পারব যেখানে।
আজকেই সেইদিন যেদিন প্রায় তিরানব্বই হাজার পাকিস্তানী সেনার আত্মসমর্পণএর মাধ্যমে আমরা অর্জন করি চূড়ান্ত বিজয়। প্রতিবছর এই দিন আমাদের দেশে ধুমধাম করে পালন করা হয় সারাদেশেই।দেশের এই সঙ্কটকালেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
আমাদের এলাকায় নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল,সেই সাথে ছিল বিজয় মেলা। আপনারা জানেন আমাদের একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। আমাদের লাইব্রেরী উপজেলা পরিষদের অধীনে। আর যেহেতু এবার সব কিছু উপজেলা থেকে পালিত হচ্ছে,তাই উপজেলা পরিষদ থেকে আমাদের ও বলা হয় কিছু একটি উদ্যোগ নিতে।
তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একটি কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হবে। প্রশ্ন গুলো থাকবে বাংলাদেশ,মুক্তিযুদ্ধ আর গোবিন্দগঞ্জ নিয়ে। সেই অনু্যায়ী প্রচার ও চালানো হয়। সিদ্ধান্ত হল আজ ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু করা হবে।
আমরা তিনভাগে প্রতিযোগীকে ভাগ করে নেই।প্রাইমারি লেভেল "ক" বিভাগ, হাইস্কুল লেভেও "খ" বিভাগ আর কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত "গ" বিভাগ। সবার পরীক্ষা আলাদা আলাদা রুমে নেওয়া হবে। আমাদের একটি প্রাইমারি স্কুল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে।
আমাদের এখানে প্রতিবছর বিজয় দিবসে প্যারেডে সব স্কুল অংশগ্রহণ করে,তাই আমরা ভেবেছিলাম অনেক ছাত্রছাত্রী হবে।তবে এবার সেই প্যারেড হয়নি। তাই স্টুডেন্ট আমারা যতটা আশা করেছিলাম, ততজন হয়নি। তবে আবার একদম কম হয়নি।
একদম দশটায় শুরু করার কথা থাকলেও সঙ্গত কারনে তা হয়ে ওঠে নি,কারন স্টুডেন্ট তখনো আসছিল। যেহেতু শীতের দিন তাই আমরা একটু দেরি করার সিদ্ধান্ত নেই। তারপর ঠিক ১০.৩০ এ পরীক্ষা শুরু করি। ২০টি করে প্রশ্ন,সময় বিশ মিনিট। প্রতিটা ভুলের জন্য ০.২৫ করে নেগেটিভ মার্কিং।
১০.৫০ এ খাতা সংগ্রহ করে আমরা লাইব্রেরীতে নিয়ে গেলাম,সেখানেই খাতা কাটা হবে। উত্তরপত্রে সবার ফোন নাম্বার নেওয়া হয়েছিল, তাই সবাইকে জানানো হল রেজাল্ট ফোনেই জানিয়ে দেওয়া হবে।এরপর খাতা দেখার পালা।।আমরা ৪-৫জন একসাথে খাতা কাটায় বেশি সময় লাগল না। দ্রুতই সব যাচাই বাছাই করে রেজাল্ট তৈরি করে আমরা উপজেলা পরিষদে দিয়ে দিলাম।কারন পুরস্কার সেখান থেকেই দেওয়া হবে।