কপালে থাকলে ঠেকায় কে?
1 comment
কথায় আছে যেখানেই যাও গোপাল সঙ্গে যাবে কপাল।সহজ অর্থে আপনার অদৃষ্টে যা আছে আপনি তা কোন ভাবেই এড়াতে পারবেন না। তা ঘটবেই। আচ্ছা ঠিক আছে ভনিতা না করে আসল গল্পে আসি।
তোরা আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ড ছাড়াও ছোট বোন আর ইমিডিয়েট জুনিয়র।ওর সাথে পরিচয় একটু অদ্ভুত ভাবে। আমার পাশের বাসার আন্টি হেলথ এ চাকুরি করে,তার চাকুরির সুবাদে টিকা কাজে স্বেচ্ছাসেবক দরকার পরে। উনি আমাকেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়ে যেতেন।পকেট মানি পাইতাম আর প্রাইভেট ফাকি মারা যেত তাই আমিও খুবই উৎসাহের সাথে যেতাম।
সেখানেই আন্টির কলিগ এর ভাতিজি হল তোরা।ওর সাথে আমার পরিচয় ২০১৪ থেকে। কিন্তু অবাক হবেন এটা জেনে যে ওর সাথে এই দশবছরে আমার একবার ও দেখা হয়নি। অথচ আমার বাড়ি থেকে ওর বাড়ির দূরত্ব ১০মিনিটের। এক সময় দেশ ও রাজনীতী নিয়ে ওর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা চলত।এখনো এটা চেঞ্জ হয়নি।অথচ দুইজনই চরম মাত্রায় ইন্ট্রোভার্ট হওয়ায় দেখা টাই শুধু হয়নি।
যাই হোক গতকাল ছিল তোরার জন্মদিন। সকালে উইশ করলাম।তখন তোরা বলল," দাদা বিকেলে ট্রিট দিব,বিকেলে অবশ্যই ফ্রি থেকো।" বর্তমানে মাসের শেষ।পকেট গড়ের মাঠ।ভাবলাম বেতন পাইলে ওরে ডেকে ট্রিট দিব নি। আজ না যাই।তাই মিথ্যা অজুহাত দিলাম,আর বললাম শীঘ্রই দেখা হবে।
এই বলে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এরপর বিকেল হল,আমার লাইব্রেরীতে বই জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ছিল কাল।বই জমা না দিলে জরিমানা হবে,তাই গুটি গুটি পায়ে লাইব্রেরি দিকে গেলাম।লাইব্রেরিতে বই জমা দিয়ে,নতুন বই নিয়ে বের হব এর মাঝে দেখি তোরা আর তার বান্ধবী ওদিক দিয়ে যাচ্ছে।যেখানে বাঘের আমাকে দেখেই বলতেছে,দাদা তুমি নাকি অসুস্থ তাইলে লাইব্রেরিতে কি করো?
আমি আর কি বলি,মিথ্যা বলে ধরা পড়ে গেছি।লাইব্রেরিয়ান আমার বন্ধু তাই দোষ চাপালাম ওর ঘাড়ে।বললাম এই যে বন্ধু জোর করে নিয়ে আসছে।তখন বলল ভালই হইছে,চলো কেক কাটি।কি আর করা গেলাম ওদের সাথে। মাঠের মাঝে বসে কেক কাটলাম। তারপর খাওয়াদাওয়ার পালা।তোরা বাড়ি থেকে ওর বান্ধবীর জন্য আর ওর বান্ধবী ওর জন্য রান্না করে এনেছে।আমি মাঝখানে এক্সট্রা।তাই বললাম,আমার পেটের সমস্যা।তোমারা খাও,আমি কেক আর এক টুকরা না হয় বেশি খাই।
এভাবেই খেতে খেতে অনেক ক্ষণ আড্ডা চলল।অনেক বিষয় নিয়ে কথা হল।এর মাঝেই বেরসিক সন্ধ্যা এসে হাজির। সূর্য ডোবার সাথে সাথে আড্ডা সাঙ্গ করে ওদের রিক্সায় তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।প্রতিটি মূহুর্ত স্মৃতির পাতায় থাকবে সারাজীবন। তোরার জন্য মন থেকে অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইল।আপনারাও ওর জন্য দোয়া করবেন।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Comments