পড়ন্ত বেলায় নানু বাড়িতে

shuvo35 -

এই মুহূর্তটা কয়েকদিন আগের, সেদিন পড়ন্ত বেলায় চলে গিয়েছিলাম হীরার নানু বাড়িতে। মূলত পুরো পরিবার নিয়েই গিয়েছিলাম। যেহেতু ওখানে হীরার পৈতৃক পুকুরে মাছ ধরা হচ্ছিল আর তাছাড়া মাছগুলো সকলের মাঝে ভাগাভাগি হবে এই জন্যই যাওয়া হয়েছিল।

খুব বেশি সময় লাগেনি আমাদের এখান থেকে যেতে, মোটামুটি মিনিট বিশেক এর ভিতরেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তাছাড়া পুকুরটা যেহেতু একদম জমির ভিতরের দিকে ছিল তাই সেখানে যাওয়া হয়নি।

তবে দীর্ঘদিন পরে নানু বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম। দেখছিলাম গ্রামের ছোট ছেলেরা টায়ার দিয়ে খেলছিল রাস্তায় । এমন মুহূর্ত আমার শৈশব জীবনেও ছিল, বাবু তো বিষয়টা দেখে বেশ খুশি হয়ে গিয়েছিল, অবশেষে ছোট ছেলেগুলোকে থামিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম এবং ছবি তুলেছিলাম।

কিছুদিন পরেই ধান কাটা শুরু হবে, কেননা ইতিমধ্যেই মাঠের ধান পাকতে শুরু করেছে। হয়তো তখন আবারো নানু বাড়িতে আসা হবে কেননা তখন থাকবে শীতের পিঠার দাওয়াত। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যত দেরিতে যাওয়া যায় ততই আদর যত্নের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়।

এই যে সেদিন বহুদিন পর গিয়েছিলাম , সবাই যেন আমাদের মাথায় তুলে রেখেছিল। স্বল্প সময়ের মধ্যেই কত আয়োজন করেছিল,থাকার জন্য বেশ অনুরোধ করেছিল, তবে কাজের চাপের কারণে থাকতে পারিনি। তাও যতোটুকু সময় ছিলাম, বেশ ভালই লেগেছে সবকিছু।

আশেপাশের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেও গিয়েছিলাম তারাও বেশ সাবলীল ভাবে আলাপচারিতা করেছিল, আমরা চতুর্দিকে হালকা ঘোরাফেরা করেছিলাম, সবকিছু যেন সজীব ও প্রাণবন্ত লাগছিল আমাদের কাছে। যদিও এখন গ্রামেই থাকা হয়, তারপরেও যখন অন্য গ্রামে আসা হয়েছে এবং সেখানকার পরিবেশ প্রকৃতি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম বেশ ভালোই লেগেছিল সবকিছু। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল টায়ার খেলা।

যদিও সময়ের পরিক্রমায় এই টায়ার খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে, তাও যখন হুট করে সেদিন দেখলাম তখন আচমকা একটা ভালো লাগা কাজ করছিল নিজের মাঝে। মনে হচ্ছিল শৈশবটা যেন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল।

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy