পৌরসভা কার্যালয়ে কিছুসময়
5 comments
গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম পৌরসভা কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে মোটামুটি যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাই আপনাদের সঙ্গে আজ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার, সেটা হচ্ছে সেদিনের সময়টা আমার বেশ ভালই কেটেছিল আর তাছাড়া সেখানে আমার এক পূর্ব পরিচিত ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তার আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় মূলত বাবুর জন্ম নিবন্ধনের কাজটা খুবই দ্রুত সময়ে হয়ে গিয়েছিল।
আসলে বাবুর জন্মের পর থেকে জন্ম নিবন্ধনের কাজটা করা হয়ে ওঠে নি। যেহেতু এই কাজটা সময় সাপেক্ষ আর অনেকগুলো ধাপের মাধ্যমে করতে হয়, তাই কিছুটা সময় আমি নিজের থেকেই নিয়ে ছিলাম।
আসলে এই কাজের জন্য যে পরিমাণ সময় দরকার, সেই সময়টাই বের করা আমার জন্য একটু কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। তাই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। তবে জন্ম নিবন্ধন কিন্তু খুবই জরুরী বিষয়, তাই আমিও চাচ্ছিলাম আর সময় অপচয় না করে, দ্রুত কাজটা সেরে ফেলার জন্য।
যদিও এদিকটাতে খুব একটা আসার প্রয়োজন পড়ে না। তাছাড়া আমার ব্যক্তিগতভাবেই এরকম পাবলিক সার্ভিস অফিস-আদালতে খুব একটা যেতে ভালো লাগেনা। কেন ভাল লাগে না, তা আর নতুন করে বলতে চাই না। তবে মোটামুটি সকল জায়গার অবস্থা একই রকম। যদিও এই সকল জায়গাগুলো মূলত জনগণের সেবা প্রদানের জন্যই নির্মিত, তবে বাস্তবিক চিত্র কিছুটা উল্টো। হ্যাঁ , সেবা ঠিকই পাওয়া যায়। তবে বেশ ভালই বেগ পোহাতে হয়।
রশিদ ভাই আমার এক ব্যাচের বড় ছিল। মোটামুটি সেই ছোটবেলা থেকে কৈশোর সময় পর্যন্ত একসঙ্গেই খেলাধুলা করেছিলাম কুঠিবাড়ি মাঠে। হয়তো সময়ের পরিবর্তনে তার আজ কর্ম হয়েছে পৌরসভা কার্যালয়ে। তবে এসবের বাইরেও তার সঙ্গে আমার পূর্বের যে সম্পর্কটা ছিল, সেটা অনেকটাই বন্ধুত্বপূর্ণ।
পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে যখন রশিদ ভাইকে দেখেছিলাম, তখন কিছুটা হলেও মানসিকভাবে হালকা হয়েছিলাম। আমাকে কোন বেগ পোহাতে হয়নি, ভাই বেশ দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমার বাবুর জন্ম নিবন্ধনের কাজটা করে দিয়েছে এবং কোন পয়সা ছাড়াই।
রশিদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল বিধায় আমি দ্রুত সময়ের ভিতরে আমার কাজটা করে নিতে পেরেছি। তবে আমি জানিনা অন্য সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রে কি অবস্থা হয়। তারপরেও আমি রশিদ ভাইকে যতটুকু ব্যক্তিভাবে চিনি, আমার মনে হয় তার জায়গা থেকে সে চেষ্টা করে অন্যদেরকেও ঝামেলাহীন ভাবে তাদের কাজগুলো দ্রুত করে দেওয়ার জন্য।রশিদ ভাইয়ের কর্মজীবন সুখকর হোক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
একটা বিষয় দেখে বেশ ভালো লেগেছে যে, আমাদের এখানকার মেয়র, পৌরসভা ভবনটাকে একদম নতুনভাবে সাজিয়েছে এবং পুরো পৌরসভা কার্যালয়ের ছাদে ফুলবাগান করেছে এবং ভবনের বাহিরের অংশেও নতুনত্বের ছাপ ফেলেছে। এককথায়, চেষ্টা করছে ভবনটাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য।
তবে যত কিছুই হোক না কেন, এসকল পাবলিক সার্ভিস প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ জনগণ যেন প্রতিনিয়ত ঝামেলাহীন ভাবে তাদের প্রাপ্য সেবাটা বুঝে পায়, এমন খবর যখন প্রতিনিয়ত শোনা যাবে,তখনই মনে হয় আমি বেশি প্রশান্তি পাবো ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments