তামাক পাতা
13 comments
মাথা ঝাকিয়ে উচ্চস্বরে গলা মিলিয়ে গান গাওয়াটা হয়তো সমসাময়িক সময়ে নিজের কাছে স্মার্টনেস মনে হতে পারে। রক্তের তেজে হয়তো, শোরগোল পাকানো কিংবা জটলা বেঁধে হৈহুল্লোড় করা কে অনেকটা স্বাভাবিক মনে হতে পারে।
তবে ভাই, এই বিনোদনটা হয়তো খুবই স্বল্প সময়ের জন্য। যা হয়তো তোমার আগ্রাসী মনকে কিছুটা ক্ষেপিয়ে তুলে প্রশান্তি দেবে, তবে তারপরেও তুমি দিনশেষে নিতান্তই শূন্য। বলতে গেলে অনেকটা মরীচিকার মতো।
এই যে দৃঢ় বন্ধন, গলা ফাটিয়ে চেঁচানো, সবকিছুই একটা সময় ঠান্ডা হয়ে যায়। মানিয়ে নিতে হয় চিরন্তন বাস্তবতাকে। কেউ কারো পাশে থাকে না, অনেকেই ব্যবহার হয় আবার অনেকেই ব্যবহারযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
ক'টা বছর যাক না, এমনিতেই সবকিছু স্বচ্ছ পানির মতো টলটলে পরিষ্কার হবে। হাস্যকর লাগছে ব্যাপারগুলো তাই না। লাগাই স্বাভাবিক, তবে ৩২ বছর কাটিয়ে তারপর দুটো কথা লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করছি এই আরকি।
এর আগে কেউ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না, যা করার আমরাই করব বা ইতিহাস হয়ে থাকবে, এ ধরনের আত্মবিশ্বাসী কথাবার্তা গুলো কে সাধুবাদ জানানো যায়, তবে কাজগুলো যদি আরো সৃষ্টিশীল বা গঠনমূলক হয় তাহলে সেখানে সর্বপরিসরে আরও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
প্রতিটা প্রজন্মই নিজেকে সর্বসেরা ভাবে, তাই হয়তো মাঝপথেই অনেকে হারিয়ে যায়। গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে একত্রে আগ্রাসী মেজাজে গান গাওয়া যদি, এলাকায় চিহ্ন রেখে যাওয়ার মত কার্যক্রম হয়, তাহলে সেই এলাকার পরবর্তী প্রজন্ম আরো কি শিখবে, সেটা ভাবতেই যেন মগজটা গুলিয়ে যায়।
কিংবদন্তিরা আর নতুন করে আগমন ঘটায় না, তারা দূর থেকে সব দেখে আর মুচকি মেরে হাসে। সস্তা বিনোদনে যে প্রজন্ম নিজেদের সঁপে দিয়েছে, সেখানে গুণী আবৃত্তিকার, সংগীত শিল্পী কিংবা যারা প্রকৃত অর্থেই শিল্পীসত্তা নিজের ভিতরে লালিত করে, তারা এমনিতেই পিছু হটে।
বড্ড আফসোস হয়,
এ প্রজন্ম সহজে তামাক পাতা কে গ্রহণ করে,
তবে
বজ্রকন্ঠে সাম্যের গান গাইতে পারে না।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ashes নামে নাকি একটা মিউজিক ব্যান্ড ঈদের পরে আমাদের এলাকায় কনসার্ট করতে আসবে, তার জন্য এলাকায় উঠতি বয়সী তরুণ প্রজন্মের এখন থেকেই হা-হুতাশ শুরু হয়ে গিয়েছে।
কি একটা অবস্থা ?
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments