লেখা পড়ে বা ছবি দেখে কোন কিছু অনুমান করা হয়তো টুকটাক যায়, তবে প্রকৃত অর্থেই যারা বাস্তবতা খুব কাছ থেকে দেখছে কিংবা সেই সময়টার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, সেটার গভীরতা নিদারুণ।
এখানকার বেশিরভাগ লোকজন অনেকটা দারিদ্র্য অবস্থার ভিতরে বসবাস করে। ঊর্ধ্বগতির বাজারে সবার জীবন এমনিতেই বিপর্যস্ত, তার ভিতরে বেঁচে থাকার তাগিদে এই ঠান্ডার ভিতরেও নানা রকম দৈনন্দিন কর্মকান্ডের সঙ্গে তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বেশ অনেকটা দিন ধরেই বিকেল বা সন্ধ্যাবেলার দিক করে গ্রামীণ এলাকায় বিচরণ করার চেষ্টা করছি, তবে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর দিকে যখন দেখি, তখন তাদের চোখে যেন প্রকৃতির সঙ্গে মোকাবিলা করে টিকে থাকার আকুতি বেশ স্বচ্ছ ভাবে দেখতে পাই।
গরম কাপড় তাদের সংগ্রহে কতটুকু আছে তা তাদের বাহ্যিক অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়। প্রচন্ড ঠান্ডার ভিতরেও অনেককেই দেখেছি, কোনরকমে হালকা পাতলা কাপড় পরিধান করেই কর্মের তাগিদে বাজারে চলে এসেছে। পরিস্থিতির সঙ্গে দিব্যি তারা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে ।
কতজন যে ঠান্ডা জনিত অসুখে ভুগছে কিংবা সেসব রোগের সঠিক চিকিৎসা পর্যন্ত যে করতে পারছে না, একথাও অস্বীকার করা যাবে না। আশেপাশে শক্তভাবে কান পাতলেই অনেকের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কথা হরহামেশাই শোনা যায়।
ফুসফুস গুলো যেন মুরগির বাচ্চার মত মৃদু সুরে প্রতিনিয়ত চেঁচাচ্ছে আর শুষ্ক কাশির মাধ্যমে তা জানান দিয়ে যাচ্ছে । জীবন এখানে সত্যিই বড্ড এলোমেলো। এমনিতেই শীতের প্রখরতা, রোগবালাই এর সঙ্গে সংগ্রাম কিংবা সচ্ছল ভাবে বেঁচে থাকার লড়াই। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কি দাঁড়াচ্ছে , তা একটু বুঝে নিয়েন !
স্বচক্ষে এসব দেখে নিজেকেই বড্ড অসহায় মনে হয়, লজ্জায় মাথা কেটে যায়।
এই প্রান্তিক সাধারণ মানুষগুলো কে আবার সামনে রেখেই সিজন ভিত্তিক আশা-প্রত্যাশার বিশেষ রাজনীতি হয়। এই আশা-প্রত্যাশার ছিটেফোঁটা উষ্ণ হাওয়া সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা হলেও প্রান্তিক অঞ্চলে ছুঁয়েও যায়। তবে সর্বপরিসরে যদি বিবেচনা করা যায়, তাহলে জরাজীর্ণ অবস্থা থেকেই যায়।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR