মায়াকান্না
5 comments
সমাজে যারা অধিক শিক্ষিত বলে নিজেদেরকে দাবি করেন, দিনশেষে তারা একটু বেশিই স্বার্থপর। যদি কথাটা বিশ্বাস না হয়, তাহলে একটু গভীরভাবে ভেবে দেখিয়েন, উত্তর পেয়ে যাবেন ।
সমাজের আধা শিক্ষিত কিংবা মূর্খ মানুষকে কোন বিষয়ে যত দ্রুত বোঝানো সম্ভব, তা কিন্তু কোনভাবেই অধিক শিক্ষিত মানুষকে বোঝানো সম্ভব না। অধিক শিক্ষিত মানুষ সবকিছুই নিজের মতো করে ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, নিজের মতো করে ভাবা দোষের কিছু না। তবে নিজের মতো করে ভাবতে গিয়ে যখন স্বার্থপরতার মত আচরণ হয়ে যায়,তখন সেটা কিছুটা দৃষ্টিকটু লাগে।
যেকোনো আন্দোলন কিংবা সংগ্রামে অধিক শিক্ষিত মানুষকে সর্বদা গণজমায়েতের দেখবেন একদম সামনে পাওয়া যাচ্ছে আর পিছনে থাকছে আধা শিক্ষিত বা মূর্খ মানুষরা। মানে অধিক শিক্ষিত মানুষরা সাধারণ মানুষগুলোকে প্রতিনিয়তই বলির পাঁঠা বানায়, তারা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করে সাধারণ মানুষজন কে। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ শুধুইমাত্র, তাদের ব্যবহারের বিষয় বস্তু। তার বাইরে আর কিছুই না।
যদি সংগ্রামের সময় গণজমায়েতে কোনভাবে হট্টগোল লেগে যায়, তাহলে দেখবেন অধিক শিক্ষিত মানুষরা খুবই দ্রুত তাদের নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং হট্টগোল চলাকালীন সময়ে তাদেরকে আর খুঁজেই পাওয়া যায় না।
তবে অধিক শিক্ষিত স্বার্থপর মানুষগুলোকে আবারো খুঁজে পাওয়া যায়, হয়তো সেটা হট্টগোল ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরে নতুবা সংগ্রামের বিজয়ে। এবং তখনো তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। এবার তারা আরো অনেকটা এগিয়ে যায় এবং এগিয়ে গিয়ে সবার সামনে থেকে প্রতিনিয়ত ভাষণ দিয়ে যায়।
তবে মজার ব্যাপার, এই ভাষণগুলো হয় অনেকটা মায়া কান্নার। যেটা সাধারণ মানুষ কোন অবস্থাতেই বুঝতে পারে না। তবে যারা পুরো ব্যাপারটার দৃশ্যপট নিয়ে একটু গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে , মূলত তারাই স্বার্থপর মানুষগুলোর আসল চেহারা খুব দ্রুত ধরতে পারে।
এটাই সমাজের আসল বাস্তব চিত্র, যা একটু লেখার মাধ্যমে তুলে ধরলাম। কারো চরিত্রের সঙ্গে মিলে গেলে, আমার কিছুই করার নেই।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments