ঝটিকা সফর নানী শাশুড়ির বাড়িতে
7 comments
এ মুহূর্তটি গত দুদিন আগের, এই শীতের মধ্যে দাওয়াত দিয়েছিল আমার নানী শাশুড়ি। মূলত সেখানে পিঠা খাওয়ার জন্য সব নাতি-নাতনি তাদের জামাই ও তার মেয়ে জামাইদের দাওয়াত দিয়েছিল। যদিও কমিউনিটির কার্যক্রমের জন্য সেখানে গিয়ে রাত্রি যাপন করতে পারিনি, তবে পার্শ্ববর্তী এলাকা হওয়ার কারণে দুপুরবেলা গিয়েছিলাম এবং হীরা ও বাবুকে রেখে এসেছিলাম।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেদিন বহুদিন বাদে আকাশে সূর্য উঠেছিল। আজকাল তো অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাওয়াই যায় না। দুপুরবেলা যখন যাচ্ছিলাম, তখন আশেপাশে এলাকার গ্রামীণ চিত্র দারুণ ভাবে উপভোগ করে ছিলাম।
সবাই ব্যস্ত যে যার মত করে, কেউ হয়তো ধান শুকাতে দিয়েছে রাস্তায় কেউবা ফসলের জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। সব মিলিয়ে গ্রামীণ মানুষের এই সময় ব্যস্ততার শেষ নেই। আমি আগে থেকে বলে রেখেছিলাম, আমি গিয়ে সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারবোনা, কেননা সেখানে নেটওয়ার্কের অবস্থা একদম শোচনীয়।
তাই তারা দুপুরবেলা আমার জন্য বেশ ভালই খাবারের আয়োজন করেছিল। হরেক রকমের শীতের পিঠা ও মাছ মাংসের তরকারি, বিরিয়ানি এসব তো ছিলই। যদিও সেসব খাবারের ছবি তুলতে পারিনি,কেননা দীর্ঘদিন পরে যেহেতু গিয়েছিলাম তাই একটু অতিরিক্ত আদর যত্নে ছিলাম।
হীরার ছোটবেলা কেটেছিল এই বাড়িতে, ও সবাইকে পেয়ে বেশ ভালোই খুশি হয়েছিল। আমি গিয়েই দ্রুত বসে গিয়েছিলাম খেতে। যদিও ঘরের ভিতরে খাবার দিতে চেয়েছিল, তবে আমি ইচ্ছে করেই বাড়ির উঠোনে শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে খাওয়ার পর্ব শেষ করেছিলাম।
প্রতিবছরই এই দাওয়াতটা পেয়ে থাকি, তবে বিগত তিন বছর থেকে এখানে কখনোই রাত্রি যাপন করা হয়নি, হয়তো ভালো নেটওয়ার্ক থাকলে তখন ব্যাপারটা অন্যভাবে ভাবা যেত।
তবে এই যে স্বল্প সময়ের জন্য এখানে আসা কিংবা সকলের সঙ্গে দেখা হওয়া, এর মাঝেই যেন আলাদা ভালোলাগা কাজ করে। এ যাত্রায় বেশ ভালই সময় কেটেছিল সেদিন।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments