এমনিতেই শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়েছি, তার ভিতরে ভোরবেলার সময় হঠাৎই আশেপাশে বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে কিছুটা বিরক্তবোধ করছিলাম। অবশেষে কৌতূহল নিয়েই বিছানা থেকে উঠলাম, তবে গিয়ে যা শুনলাম তা সত্যিই বড্ড হৃদয়বিদারক।
এমনিতেই প্রচুর কুয়াশা, তার ভিতরে কনকনে ঠান্ডা। এর মাঝেই পার্শ্ববর্তী বাড়িতে দুদিন হলো আত্মীয়-স্বজন এসেছিল। কয়েকদিন ধরেই দেখছিলাম সেই বাড়িতে যেন আনন্দের ছড়াছড়ি। তবে মুহুর্তেই তা যেন বিষাদে পরিণত হয়েছে।
এমনিতেই ঘন কুয়াশা, তার ভিতরে প্রধান সড়কে যানবাহনের গতির তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই । সড়ক গুলো যেন একেকটা মৃত্যু ফাঁদ। এই মৃত্যু ফাঁদেই পা দিয়েছিল পার্শ্ববর্তী বাড়ির আত্মীয়-স্বজন।
জীবন কত অনিশ্চিত তাই না, সকালবেলাই তারা এখানকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে বেশ হাসিখুশি ভাবে আমাদের এখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছিল, তবে এ চলে যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হবে, তা কিন্তু কেউ জানতো না।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রধান সড়কে বিপত্তিটা ঘটে যায়, মুখোমুখি দুটো গাড়ির সংঘর্ষ লেগে মুহূর্তেই যা ঘটার তাই ঘটে। সকাল সকাল এমন ঘটনা শুনে বেশ খারাপ লাগছিল নিজের কাছে। কবে যে মহাসড়ক গুলো নিরাপদ হবে, কবে যে মানুষ শান্তিতে মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে, এই প্রশ্ন বেশ ভাবায় আমাকে।
আসলে যার যায়, সেই বুঝে। যারা এই মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে, তাদের সঙ্গে যদি এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটতো, তাহলে হয়তো তাদের নজরদারি বেশ পরিপক্ক ভাবে লক্ষণীয় হতো মহাসড়কে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR