দীর্ঘদিন পরে সুপ্তর সঙ্গে
5 comments
বড় ভাইয়া যেহেতু ঢাকায় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ম্যানেজার পদে চাকরি করে, তাই বাড়িতে আসার সুযোগ তেমনটা পায় না বললেই চলে । প্রায় প্রতিনিয়তই ভাইয়া-ভাবী ও ভাতিজি ( সুপ্তর ) সঙ্গে ভিডিও কলে কথাবার্তা হয়।
যেহেতু ভাইয়ার তেমনটা আসার সুযোগ হয় না, তাই ভাবী সুপ্তর স্কুল ছুটি পাওয়া মাত্রই, তাদের গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে এসেছে। আমরা যেখানটাতে থাকি সেখান থেকে ভাবীর গ্রামের বাড়ির দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারের মতো।
যেহেতু ভাবী তার গ্রামের বাড়িতে এসেছে, তাই ভাতিজিকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করছিল। অতঃপর হীরার সঙ্গে কথা বলে, আমরা পরিবার নিয়ে ভাবীর গ্রামের বাড়িতে গতকাল বেড়াতে গিয়েছিলাম।
দুপুর বেলার কিছু পরেই সেখানে গিয়ে হাজির, আমাদের দেখে ওখানকার লোকজন বেশ ভালই খুশি হয়েছিল। যেহেতু দীর্ঘদিন পরে গিয়েছে, তাই আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন সবাই চেষ্টা করছিল কুশল বিনিময় করার জন্য। প্রায় সকলের সঙ্গেই কথা বলার চেষ্টা করেছি এবং যতদূর সম্ভব হয়েছে খোঁজখবর নিয়েছি।
তাছাড়া ভাতিজি আমাকে ও বাবু কে দেখে বেশ খুশি। হীরা ও ভাবীর মাঝে প্রায় দীর্ঘ অনেকটা সময় কথাবার্তা হয়েছে। ওরা তো নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছিল।
তাছাড়া যদি খাবার আয়োজনের কথা বলি, সেটাও ছিল বেশ লোভনীয়। ভাবী জানে আমার পছন্দের কথা, দেশি মুরগির মাংসের তরকারি, মাছ ভাজি, সবজি, বুটের ডাল, ডিমের তরকারি, খাসির মাংসের তরকারি ও সাদা পোলাও ছিল দুপুরের খাবারের আয়োজনে।
এমনিতেই দুপুরবেলা বেশ ক্ষুধার্ত ছিলাম তার মাঝে এমন সব খাবার পেয়ে বেশ ভালই ভুরিভোজ হয়েছে। অতঃপর সকল আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনরায় দেখা করে সন্ধ্যের
ঠিক আগ মুহূর্তে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
যদিও ভাবী বেশ অনুরোধ করেছিল থাকার জন্য, তবে নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যার কারণে সেখানে আর কোন ভাবেই থাকা হয়নি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments