আমার মা যখন রোড এক্সিডেন্ট করেছিল, তারপরে জরুরী ভিত্তিতে ১৭ ভাগ রক্তের দরকার পড়ে। ভাগ্যিস আমি সেই যাত্রায় রক্ত ম্যানেজ করতে পেরেছিলাম। হয়তো পুরোটাই সম্ভব হয়েছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের কারণে । এমনও হয়েছিল যে আমি সর্বশেষে ২৭ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করতে পেরেছিলাম। অর্থাৎ আমার নিজের প্রয়োজনের বাইরে গিয়েও আরো অনেক রক্ত থেকে গিয়েছিল।
আচ্ছা শুভ ভাই, ধরুন তো যদি আমি প্রান্তিক অঞ্চলে থাকতাম, তাহলে কি মুহূর্তেই এতগুলো রক্ত ম্যানেজ করা সম্ভবত হতো কি? হয়তো এক্ষেত্রে অন্যরকম কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো। আমি আসলে সেই যাত্রাতেই প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম রক্তের প্রয়োজনীয়তা। যে বিষয়টা আমাকে প্রচুর পরিমাণে ভাবিয়েছিল।
সেদিন সন্ধ্যায় এক ছোট ভাইয়ের সঙ্গে অনেকটা সময় গল্প হয়েছিল। তার মুখ থেকেই মূলত এই কথাগুলো শুনেছিলাম। খুবই সাম্প্রতিক সময়ে সে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি সম্পন্ন করেছে। সে এখন চিন্তা করছে তার নিজের চাকরির পাশাপাশি, রক্তদান নিয়ে অনলাইনে কিছু করবে।
মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করতে সে ইতিমধ্যেই অনেকগুলো কার্যক্রম করেছে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মস্থল এবং নিজেদের এলাকায়। তার চিন্তা-চেতনা এখন পুরোটাই রক্তদান কেন্দ্রিক। সে চায় রক্তদান নিয়ে অ্যাপস বানাতে, যেখানে ডোনার এবং গ্রাহক উভয়ের মধ্যেই সংযোগ স্থাপন হবে এবং যার যার প্রয়োজনে তারা নিজেদের ভিতরেই কথা বলতে পারবে এবং তার অ্যাপসে নানা ধরনের রক্তদান নিয়ে প্রচুর ফিচার থাকবে।
যখন কথাগুলো সেই ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে শুনছিলাম তখন নিজের কাছেই গর্ব হচ্ছিল কেননা আমাদের নিজেদের এলাকার ছেলেরাও আজকাল বেশ ভালো চিন্তা-ভাবনা করছে এটা ভেবে।
ব্যক্তিগতভাবে, রক্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না। কেননা এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং সঠিক সময়ে রক্ত পেলে অনেক জীবন বেঁচে যায়। স্থানীয় এলাকার পরিচিত ছোট ভাইয়ের এমন উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR